রমা চক্রবর্তী, শিক্ষিকা, আবৃত্তিকার ও ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ হল মুক্তি/স্বাধীনভাবে বিচরণ করা| ইংরজীতে যাকে বলে Freedom/ Independent| স্বাধীনতা বলতে কেবল নিজের স্বাধীনমতো খাওয়া, পড়ার সমস্যা মিটলেই হয় না, স্বাধীনতা বলতে নিজের স্বাধীন মত প্রকাশ করা, স্বাধীনভাবে নিজের কাজকর্ম করা,নিজের ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ানো| নিজের স্বাধীন দেশে বাস করে চোখের সামনে অন্যায় করতে দেখে চোখ বুজে থাকতে হয়,প্রতিবাদ করতে গেলে মৃত্যুর হুমকি খেতে হয় এবং খোঁজখবর /Investigation/Enquary করতে গেলে দেখা যায় কান টানলে মাথা আসে অর্থাৎ বড় বড় রাঘব বোয়াল / বড় বড় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নাম উঠে আসে| অর্থাৎ স্বাধীনতা বলতে এটা নয় যে নিজের ক্ষমতার স্বাধীনভাবে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো,দেশের নিয়ম- শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া| এর ফলস্বরূপ দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে অনেক সহজ সরল মানুষ বিনা দোষে শাস্তি পেয়ে যায়,অর্থাৎ স্বাধীনতা বলতে স্বেচ্ছাচরীতা নয়|
একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশ বিদেশী শাসনাধীন ছিল তখন বিদেশী শাসনকর্তার নিয়ম বিরূদ্ধ হলে ভারতবাসীর শাস্তি অনিবার্য |সেই বিদেশী শাসনকর্তার হাত থেকে ভারতের শাসনভার ছিনিয়ে নিয়ে যাতে ভারতীয় ব্যাক্তি ভারতবাসীদের শাসন করে এবং তাদের সুখ -দুঃখ,ব্যাথা-বেদনা সবকিছুর সমাধান করতে পারে তার জন্য বিপ্লবী বা দেশপ্রেমিকরা ইংরেজদের বিরূদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ও বরণ করেছিলেন|সেই সব বিপ্লবীরা ছিলেন বিদেশী শাসকদের কাছে দাগী আসামী,তাই কারও কারও কপালে দ্বীপান্তর ও জুটেছে| সেই স্মরণীয় বরণীয় ব্যাক্তিরা হলেন বিনয়-বাদল-দীনেশ,ক্ষুদিরাম,প্রফুল্ল চাকী,ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু, বাঘাযতীন,এছাড়াও অমর ব্যাক্তি বর্গের মধ্যে আছেন কাজী নজরুল,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নেতাজী সুভাষ, মহাত্মা গান্ধী,স্বামী বিবেকানন্দ,অরবিন্দ ঘোষ, বঙ্কিমচন্দ্র, চিত্তরঞ্জন দাস, বল্লভ ভাই প্যাটেল, দয়ানন্দ স্বরস্বতী,মৌলানা আবুল কালাম, মাতঙ্গিনী হাজরা, সরজিনী নাইডু,প্রীতিলতা ওয়েদ্দার প্রমুখ| এই সব ব্যাক্তিদের জন্ম মৃত্যুদিনে কেবল ফটোতে মাল্যদান, MLA,MP দের বক্তব্য শুনে পালন করি কিন্তু তাঁদের আদর্শের মর্যাদা দিতে ভুলে গেছি| আর যে এই আদর্শকে মেনে চলবে সে এই বর্তমান সমাজে বসবাসের অযোগ্য| সৃষ্টির আদিপর্বে জনপ্রতিনিধি / নেতা তাকেই মানা হত যে সত্যানুসরন করত| কিন্তু বর্তমানে সমাজের পথ পরিবর্তন ঘটেছে| এখন নেতা তাকেই বানানো হয় যার বিশাল অর্থ-প্রতিপত্ত,ক্ষমতা আছে ,সমাজবদ্ধ জীব আমরা ভয়ে শ্রদ্ধা ভক্তি করি| অর্থাৎ স্বাধীন দেশে বর্তমানে মানুষের স্বাধীনতা বলতে নিজের সুখ-দুঃখ,সুবিধা- অসুবিধা,বাক্ স্বাধীনতা নেতাদের বা তার নীচস্থ কারও কাছে বন্ধক রাখতে হয়|
সুতরাং স্বাধীনতার আসল অর্থ নিজস্ব আজাদী এটা বোধ হয় আমরা আবার হারিয়ে ফেলতে চলেছি|
স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ হল মুক্তি/স্বাধীনভাবে বিচরণ করা| ইংরজীতে যাকে বলে Freedom/ Independent| স্বাধীনতা বলতে কেবল নিজের স্বাধীনমতো খাওয়া, পড়ার সমস্যা মিটলেই হয় না, স্বাধীনতা বলতে নিজের স্বাধীন মত প্রকাশ করা, স্বাধীনভাবে নিজের কাজকর্ম করা,নিজের ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ানো| নিজের স্বাধীন দেশে বাস করে চোখের সামনে অন্যায় করতে দেখে চোখ বুজে থাকতে হয়,প্রতিবাদ করতে গেলে মৃত্যুর হুমকি খেতে হয় এবং খোঁজখবর /Investigation/Enquary করতে গেলে দেখা যায় কান টানলে মাথা আসে অর্থাৎ বড় বড় রাঘব বোয়াল / বড় বড় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নাম উঠে আসে| অর্থাৎ স্বাধীনতা বলতে এটা নয় যে নিজের ক্ষমতার স্বাধীনভাবে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো,দেশের নিয়ম- শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া| এর ফলস্বরূপ দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে অনেক সহজ সরল মানুষ বিনা দোষে শাস্তি পেয়ে যায়,অর্থাৎ স্বাধীনতা বলতে স্বেচ্ছাচরীতা নয়|
একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশ বিদেশী শাসনাধীন ছিল তখন বিদেশী শাসনকর্তার নিয়ম বিরূদ্ধ হলে ভারতবাসীর শাস্তি অনিবার্য |সেই বিদেশী শাসনকর্তার হাত থেকে ভারতের শাসনভার ছিনিয়ে নিয়ে যাতে ভারতীয় ব্যাক্তি ভারতবাসীদের শাসন করে এবং তাদের সুখ -দুঃখ,ব্যাথা-বেদনা সবকিছুর সমাধান করতে পারে তার জন্য বিপ্লবী বা দেশপ্রেমিকরা ইংরেজদের বিরূদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ও বরণ করেছিলেন|সেই সব বিপ্লবীরা ছিলেন বিদেশী শাসকদের কাছে দাগী আসামী,তাই কারও কারও কপালে দ্বীপান্তর ও জুটেছে| সেই স্মরণীয় বরণীয় ব্যাক্তিরা হলেন বিনয়-বাদল-দীনেশ,ক্ষুদিরাম,প্রফুল্ল চাকী,ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু, বাঘাযতীন,এছাড়াও অমর ব্যাক্তি বর্গের মধ্যে আছেন কাজী নজরুল,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নেতাজী সুভাষ, মহাত্মা গান্ধী,স্বামী বিবেকানন্দ,অরবিন্দ ঘোষ, বঙ্কিমচন্দ্র, চিত্তরঞ্জন দাস, বল্লভ ভাই প্যাটেল, দয়ানন্দ স্বরস্বতী,মৌলানা আবুল কালাম, মাতঙ্গিনী হাজরা, সরজিনী নাইডু,প্রীতিলতা ওয়েদ্দার প্রমুখ| এই সব ব্যাক্তিদের জন্ম মৃত্যুদিনে কেবল ফটোতে মাল্যদান, MLA,MP দের বক্তব্য শুনে পালন করি কিন্তু তাঁদের আদর্শের মর্যাদা দিতে ভুলে গেছি| আর যে এই আদর্শকে মেনে চলবে সে এই বর্তমান সমাজে বসবাসের অযোগ্য| সৃষ্টির আদিপর্বে জনপ্রতিনিধি / নেতা তাকেই মানা হত যে সত্যানুসরন করত| কিন্তু বর্তমানে সমাজের পথ পরিবর্তন ঘটেছে| এখন নেতা তাকেই বানানো হয় যার বিশাল অর্থ-প্রতিপত্ত,ক্ষমতা আছে ,সমাজবদ্ধ জীব আমরা ভয়ে শ্রদ্ধা ভক্তি করি| অর্থাৎ স্বাধীন দেশে বর্তমানে মানুষের স্বাধীনতা বলতে নিজের সুখ-দুঃখ,সুবিধা- অসুবিধা,বাক্ স্বাধীনতা নেতাদের বা তার নীচস্থ কারও কাছে বন্ধক রাখতে হয়|
সুতরাং স্বাধীনতার আসল অর্থ নিজস্ব আজাদী এটা বোধ হয় আমরা আবার হারিয়ে ফেলতে চলেছি|
Post A Comment:
0 comments so far,add yours