সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

কি আশ্চর্য্য বলুনতো? স্ত্রীর অভিযোগ, ধূর আর ভালো লাগছে না। জীবনে না আছে ঝগড়া, না অশান্তি, না আছে মন কষাকষি। আচ্ছা এটা কি কোন কথা হলো? যাই হোক ঝগড়া, কথাকাটাকাটি, অশান্তিহীন জীবন তা যেন এক ঘেয়েমি হয়ে গেলো। একটু ঝগড়া করার জন্য মুখিয়ে আছে স্ত্রী, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি নেই আর সেই কারনেই অবাক করা ডিভোর্স হতে চলেছে। আসুন দেখি বিষয়টা কি? 

আজ হটাৎ ডিভোর্স, বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক নিয়ে আজকের ফিচারের বিষয় হবে ভাবিনি। যাইহোক এটা সত্যি সব ডিভোর্সের পিছনে কারন ঝগড়া, অসুখী দাম্পত্য জীবন, অশান্তি, নির্যাতন, সন্দেহ, অবৈধ সম্পর্ক ইত্যদি ইত্যাদি। আজকের এমন এক দম্পতির কথা জানবো তাদের বিচ্ছেদের কারন অদ্ভুদ।

স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসার জন্য স্বামীকে তালাক দিতে চাইছেন এক মহিলা। অবাক করা হলেন তো? সত্যি এমনটাই ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের  ফুজাইরাহ অঞ্চলের শরিয়াহ আদালতে চলছে তারই বিচার। অদ্ভুত কেসের এই বিচার বা ওকালুতির দায়িত্বে থাকলে কেমন হতো? কি করতেন? যাই করতেন না কেন বেশ মজাই পেতেন আর ধন্দে পড়তেন কোন অপরাধে চার্জ গঠন করতেন। যাই হোক  অভিযোগ করে ওই নারী জনিয়েছেন, তার স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসা সহ্য করতে পড়ছেন না । এমন মজার খবরই জানাচ্ছে দুবাই এর একটি সংবাদ মাধ্যম। তাদের দাবী ঐ নারী বলেন, স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসা তার যে আর সহ্য হচ্ছে না। সর্বদা হাসি খুশী সবসময়, সবাই চাই হাসি খুশী, সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই, কিন্তু  ঐ মহিলা চান  তাদের জীবনে একটু বৈচিত্রতা আসুক ঝগড়ার মধ্য দিয়ে, কিন্তু তার স্বামী আমাকে সে সুযোগ দেয় না। তার স্বামী সারাক্ষণ তার সাথে নিচুস্বরে কথা বলে, হাসিমুখে থাকে,  বিরক্তি নেই, মেজাজ হারায় না এবং সকল কাজে সহযোগীতাও করে, ফলে তার সাথে ঝগড়া করার কোন সুযোগ হয়ে না।
কি ভালো লাগছে নিশ্চয়! শুধু তাই নয় মহিলার আরও দাবী, তাকে উপহারের পর উপহার দিয়ে ভরিয়ে রাখে। তাছাড়া নতুন নতুন রান্না করে খাওয়ানো ও ঘর এর সৌন্দর্য্য বাড়াতে ও ঘোছানোর কাজেও সর্বদা সাথে থেকে করেন। আর তার এই অতিরিক্ত ভালোবাসা দাম্পত্য জীবন দমবন্ধ করে তুলেছে।
তবে ওই নারীর স্বামী দাবী, তিনি একজন আদর্শ ও সহযোগীতাপূর্ণ, কেয়ার করা একজন স্বামী হতে তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র।
বিচারকের অবস্থা বুঝুন! রিভার্স পয়েন্টে জীবনের নেতিবাচক আপত্তির পরিবর্তে ইতিবাচক অপরাধ কে মান্যতা দিতে হবে বাদী বা বিবাদী পক্ষের মধ্যে। 
যাই হোক বিচারকের প্রস্তাব বিয়ের মাত্র প্রথম বছরের মধ্যেই এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয় আর মানুষ ভুল থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে। আর এখানে ঠিক থেকে ভুলের শিক্ষা নিতে হচ্ছে? 

আপনি থাকলে কি করতেন? যাক যা করতেন কমেন্টে জানান। তবে আদলতে 
ওই নারী বলেছেন যে তার স্বামীকে মোটা হয়ে যাচ্ছেন বলে ছিলেন একবার আর সেই শুনেই তার স্বামী ডায়েট ও ব্যায়াম করতে যেয়ে পা ভেঙ্গে ফেলেন। এমনি সব অভিযোগের উপর আদালত আপতত  ওই স্বামী স্ত্রী তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক (বেঠিক,তাই হওয়া উচিৎ তো? এটাই অভিযোগ) করার একটি সুযোগ দিয়ে আদালত মুলতবি করেন বিচারক।

এবার একটু ভেবে দেখতে হবে যে বিচার ব্যবস্থা কতটা কঠিন কতটা অপ্রস্তুতকর বিষয়। তাই বিচারকের অবস্থার প্রেক্ষিতে যদি দেখি তাহলে তিনি নিজেও হয়তো হতভম্ব হয়েছেন নিশ্চিত। তবুও আপনি বিচারক হলে কি করতেন জানাতে ভুলবেন না যেনো!

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours