দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

রেডজোনের খপ্পরে পড়ে গ্রীন জোনের শ্রমিক! লক ডাউনের আগে হাওড়ার আমতা -২ ব্লকের জয়পুর থানার অধীন বিনলাকৃষ্ণবাটি গ্রামের রঞ্জয়বার শ্যাওড়া বেড়িয়া এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে আঁটকে পড়েছে বীরভূমের মুরারই ১ ও ২ ব্লকের মোট ১১জন ঠিকা শ্রমিক। তাদের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। জুটছে না দুবেলা দুমুঠো খাবার।
জানা গেছে, মুরারই চাতরার তাসিব সেখ ওই এলাকার একটি বাড়ি তৈরীর কন্ট্রাক্ট্রর। পারিবারিক মৃত্যুর কারণে তাঁকে হঠাত বাড়ি চলে আসতে হয়। তারপর শুরু হয়ে যায় লক ডাউন। এদিকে ডেলি লেবার হিসেবে যেটুকু কাজ করে অর্থ ছিল তা নিঃশেষ। বাবু হক নামে স্থানীয় এক সমাজসেবীর পরামর্শে পায়ে হেঁটে হেঁটে তাঁরা এলাকার পঞ্চায়েত, বিডিও এবং থানার সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং প্রত্যকের কাছে চাল, আলু, ডাল পান। বাকি আনাজপাতি, জ্বালানি নিজেদের কাছে থাকা সামান্য অর্থে কোনরকমে এতদিন একবেলা খেয়ে কাটান। কিন্তু আর পেরে উঠছেন না। এদিকে রেড জোনের বাসিন্দা হওয়ায় প্রশাসনিক নিয়মে তাঁরা গ্রীন জোন হিসেবে স্বীকৃত বীরভূমে ঢোকার অনুমতি পাবেন না। সেটা তাঁরা জানেন।  তবে  মুরারই-২ ব্লকের নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কাঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা ঠিকা শ্রমিক নাসিরুদ্দিন সেখ, সুকু সেখ, মুহাম্মদ সেখ, সহিবুল সেখ, মোজাদ্দিন সেখ, ইমান সেখরা  জানান,  তাঁরা খাবারের অভাবের মধ্যে আঁটকে আছেন। দু’বেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা হলে তাঁদের ভালো হয়। এলাকার বাসিন্দা না হওয়ায় তাঁদের সরকারি সাহায্য যথেষ্ট পরিমানে মিলছে না। একবেলা খেয়ে থাকতে হচ্ছে। আনাজপাতি, জ্বালানি না থাকায় খুব অসুবিধা হচ্ছে। এব্যাপারে কন্ট্রাক্ট্রের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। তবে মুরারই বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রহমান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি শ্রমিকদের নাম, ঠিকানা, ফোন নং প্রতিবেদকের কাছ থেকে নেন এবং তাদের খাবারের সুব্যবস্থা করবেন বলে জানান। তবে হাওড়া রেড জোন হওয়ায় এবং বীরভূম গ্রীন জোন হওয়ায় এখুনি উনাদের আনা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। মুরারই- ২ বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস এবং মুরারই-১ ব্লকের বিডিও নিশীথ ভাস্কর পাল বলেন, আমরা  শ্রমিকদের সাথে কথা বলবো এবং প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেব।

উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসক দপ্তরের মেহেতাজ মল্লিক বলেন, সাহায্য করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।
 

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: