দীপ্তেন্দু চক্রবর্তী, প্রবাসী লেখক, টরোন্টো, কানাডা:

করোনা আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমরা দেখে আসছি কি ভাবে মানুষ টাকা নষ্ট করে স্ফূর্ত্তি করে চলেছে অনেক বছর ধরে। সবাই নাকি বহু মাইনে পায় IT কোম্পানিতে। এরা কফি ক্যাফেতে পাঁচশো টাকা হাজার টাকা খরচ করে থাকে অনায়াসে। ব্যাংকে থেকে প্রচুর ধার করে গাড়ি বাড়ি কেনে। আবার আজ দেখবেন রাত্রে ঘুমুতে পারছে না। করোনা এদের শুধু না সারা বিশ্বের মানুষকে ঘুমুতে দিচ্ছে না। পাঁচ তারা হোটেলে বাফে খেতে যায় মানুষ পনেরশো বা দুহাজার দিয়ে। মুরগি আর হাবি জাবি খাবার কিন্তু মধ্যবিত্তের স্বপ্ন পাঁচতারা হোটেলে দিনার খেয়েছে। একবার আইটিসি  সোনার বাংলায় আমাকে খেতে নিয়ে গিয়েছিলো ব্যবসায়ী বন্ধু। একটি হাতে গড়া চাপাটি রুটির দাম একশো পঁচিশ টাকা। আমি উঠে চলে আসছিলাম। হোক বন্ধুর টাকা বা সরকারি টাকা কেন আমি এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব? কলকাতার শহরে রেস্তোরার অভাব নেই, আর গলা কাটা দাম। মানুষের টাকার অভাব নেই তাই হাজার দুহাজার দিয়ে ফিউশন গার্বেজ খেয়ে চলেছে।খাবার কম, কায়দা বেশি। ওদের দোষ দেইনা কারণ ওদের ভাড়া দিতে হয় অনেক তাই খাবার ভালো দিতে পারে না। তবুও দেখে শুনে কিছু রেস্তোরাতে ভালো খাওয়া যায়। BBQ, পিটার ক্যাট, কিছু ধাবা প্রচুর ভালো খাবার ন্যায্য দামে দেয়। আবার এই কলকাতায় আমার পাড়ায় ফুটপাথের দোকানে পরিষ্কার খাবার বিক্রি হচ্ছে সামান্য দামে। ভাত, মাছ, ডিম্, মুরগি, ডাল, তরকারি তিরিশ টাকা থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্য। কি করে দিচ্ছে? কারণ ওদের ভাড়া দিতে হয় না। এম্বিয়েন্স নেই। না না আমি ওখানে খেতে পারবো না। তবে বাড়িতে এনে খেতে পারি। আপনারা কি করবেন? কি করে এই রেস্তোরার অপচয় বন্ধ করবেন? দু ভাবে করতে পারেন। কয়েকটা রেস্তোরাতে যাবেন যারা দাম ঠিক নেয়, বা আজকাল বহু মানুষ বাড়ি থেকে দারুন খাবার অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি করে থাকে। বা পাড়ার কাউকে ঠিক করুন যে ভালো রান্না করে। তাকে মাছ মাংস কিনে দিন, আর ভালো করে তার রান্নার জন্য ফি দিন। ধরুন উনি দিনে পাঁচটা অর্ডার করবেন। এই পাঁচটা অর্ডারের জন্য তাকে এক হাজার টাকা ফি দিন। উনি ঘরে বসে বাড়ির মেয়েদের নিয়ে এই সুন্দর ব্যবসা করতে পারেন। অবশ্য রেস্তোরাতে খাবার একটা অন্য আনন্দ। আমি খুব একটা যাই না। বাড়িতে খাবার বানাই ইচ্ছা মতো। দু হাজার টাকায় আমি ৫/৬জনকে গলদা, ভেটকি, মাংস খাইয়ে দিই। বিদেশের রান্না শিখুন। স্কুলের ছেলে মেয়েরা খুব ভালোবাসে। পাস্তা, পিৎজ্জা , স্পিগেত্তি, চাইনিস, গ্রিল, কাবাব, ইচ্ছা করলেই বানাতে পারেন। আপনাদের নানা রকমের রেসিপি দেব পরে। সম্পাদক মশাই সুবীর বাবুকে ধন্যবাদ আমাকে লিখতে বলার জন্য। বাজে খরচ করা বন্ধ করুন। ভালো থাকবেন।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: