জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

কারুর পছন্দ হোক কিংবা নয়,
করোনা আবার নতুন করে প্রমান করে দিলো, আন্তর্জাতীক সম্পর্কের বিষয়টি যেখানে এতোদিন  সমাজ বিজ্ঞানের ভিত্তিতে  দাড়িয়ে ছিলো, সেটাই  আসলে
প্রাকৃ্তিক।
দর্শন হিসেবে মার্ক্সবাদ, যদি একদিন   আন্তর্জাতীকতাবোধহীন কোন  বিশ্বের  কল্পনাকেই  যদি কল্পস্বর্গ বলে অবিহিত করে থাকে তবে দর্শন হিশেবে মার্ক্সবাদের    ভিত্তিটাই  ছিলো প্রাকৃতিক।
 আরো একটি বিষয়, চমকানোর মতো -  , সংস্থার পচাত্তর তম বার্ষিকী সম্মেলন  এবং  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবিকতার বিজয়ের পচাত্তোর বার্ষিকী প্রদর্শনী -- উভয়ের উদ্বোধন করতে গিয়ে  জাতীপুঞ্জের মহাসচিব, আন্তেনিও গুতোরেস,   উদ্বোধন করতে গিয়ে
------ যা কিছু বলেছেন এবং অতি সম্প্রতিতে, তিনি করোনাকে নিয়ে বিশ্বযুদ্ধ চালাতে গিয়ে, যা কিছু বলেছেন
----  , তাতে এই আন্তর্জাতীক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার প্রশ্নের সাথে বিশ্বমানবিকতার প্রশ্নটি বারংবার  যুক্ত করেছেন।

এই উভয় ভাষন, কতটুকু বিশ্ববোধকে পরিস্থিতির নেতিবাচকতা, বিশ্বকে অভ্যাসের দিকেই ঠেলতে থাকবে অথবা কতটুকু  ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
-----  সেটা অন্য কথা, কিন্তু বিশ্বসংস্থার অধিবেশনে, এই অন্তসম্পর্কগুলিকে নতুন করে উত্থাপন করাটাই মানবিকতার বিষয়টিকে নিশ্চিত ভাবে  আন্তর্জাতীকতার প্রশ্নে গবেষনার সুযোগ করে দিয়েছে।আগামী প্রজন্ম কতটুকু এই কাজ করবে, সেটা তো ইতিহাসই ঠিক করে দেবে। তবে পুরানো প্রজন্মের একজন হিসেবে, জীবন রায়, তার নিজের কাজটা তো করে দিচ্ছে।
প্রসংগত বলে রাখি, আজ থেকে ৭৫ বছর পূর্বে ১৯৪৫ এর ৭ই মে তারিখে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধাবসানের পর  নাজি বাহিনী  আত্মসমর্পন করে্‌। সে কারনে  ২০২০ সালটা ছিলো জাতীপুঞ্জের যেমন ৭৫ বার্ষিকী, তেমেনি সোভিয়েতের যুদ্ধ বিজয় বার্ষিকী। এই বিজয় উপলক্ষে ২০১৮ এর ৯ই মে মহাসচিব যে অসাধারন ভাষনটি দিয়েছিলেন, তার অংশ বিশেষ আমার হাতে ছিলো, সেটা নিচে দিয়ে দিলাম। অবশ্য সেই ভাষন এখন গুগুলস থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। সেই অংশটা নিম্নরুপঃ
" believe that today’s commemoration has more meaning than in any of the previous years.
We see a world in which conflict is proliferating, we see a world in which so many wars are taking place, and so I believe it is absolutely essential to remind us all of the lessons of the Second World War that, for the Soviet Union, was considered the Great Patriotic War.That was an absolutely unimaginable, devastating destruction in the world and I think we need to pay tribute to those that in the "...
জাতীপুঞ্জে, নাজি বাহিনীর উপর বিজয় সম্পর্কীত এক প্রদর্শনীর উদ্ভোধন করতে গিয়ে,মহাসচিব  বলেন, আজকের ইতিহাস নির্মানের প্রশ্নে  দ্বিতীয় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা শান্তি এবং মানবিকতার প্রশ্নে আজকের বিশ্বে সব রকম যুদ্ধমুক্তিতে শক্তি যোগাবে ।তিনি সেই বিজয়কে মূলতঃ সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় হিসেবে
উল্লেখ করতে গিয়ে বল্লেন, তার অর্থ দাঁড়ায়, যতটুকু স্মরন রয়েছে, সেই পুর্ণাগ ভাষনে সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নাজিবাদের ফিরে আসা সম্পরড়কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিলো ।

২০২০ এর ২২  জানুয়ারী অধিবেশনে
মহাসচিব আন্তানিও গুতারেসের উদ্ভোধনী ভাষন, পরবর্তি কালে কোভিড-১৯ এবং একেবারে সাম্প্রতিক কোভিড লক ডাউনকালে, মেয়েদের যেভাবে ঘোরোয়া সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন, -- সে সবের সব কিছুকে যখন একসুত্রে বেধে দেখা হয়,
দেখা যাবে কীভাবে সামগ্রিকতার বিচারে,
------ বিভিন্ন আঞ্চলিক যুদ্ধ, ক্লাইমেট সন্তুলন ভেংগে যাওয়া, গ্লোবালাইজেসন ভেংগে যাওয়ার কারনে, সারা বিশ্বে দারিদ্রতার বিস্তার এবং আয়ের আকাশ পাতাল ফারাক ইত্যাদি বিষয়গুলিকে এক বিন্দুতে নিয়ে এসে, কীভাবে যে বিশ্বকে মহাসঙ্কটে ঠেলছিলো তা বার বার উল্লেখ করেছেন। সাথে সাথে সারা বিশ্বে সন্তলিত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ করেছেন, পরিস্থিতি বুঝি দ্বিতীয় যুদ্ধকালের অবস্থা থেকেও খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
-----  জানুয়ারী অধিবেশনে তিনি বিস্ময়করভাবে এবং সাহসের সাথে উল্লেখ করেছেন গ্লোবালাইজেসন বিশ্বকে স্বস্তি দিতে পারে নাই, তেমনি প্রযুক্তির ক্ষমতা এবং উৎপাদনের সন্তুলনহীনতার যে ক্রমাগত বিপদের কারন হয়ে উঠেছে, সেকথা উল্লেখ করেছেন।
 কোভিডের প্রশ্নেও বিশ্ব সংস্থার মহাসচিব উল্লেখ করেছেন, এই যুদ্ধে যদি বিশ্ব তার একাত্মতাহীনতায় হের্বে যায় তবে বিপর্য্যয় দ্বিতিয় যুদ্ধ থেকে ভয়ংকর হবে।
আজকের এই উপস্থাপনা শেষ করতে গিয়ে,
বিশ্ব সংস্থার সেই কথাগুলিকেই উল্লেখ করছি,যে কথাগুলিকে এই কলমে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। সেই কথাটি হোল, কোভিড যুদ্ধকে অন্য যুদ্ধগুলি থেকে পৃ্থক করে দেখতে গেলে, কোন সামগ্রিক বিশ্ব দৃষ্টি ভংগী নেওয়া অসম্ভব।
এই সুত্রে বিস্ময়করভাবে, রাষ্ট্রপুঞ্জ মহাসচীব, 'বলা থেকে' 'শোনার উপর' জোর দিতে বলা হয়েছে।
এইভাবে, আন্তর্জাতীকতা এবং মহামানবিকতা  একাত্ম হয়ে, যেঁ বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গীকে উদজীবিত করার চেষ্টা হয়েছে, বর্তমান সিরিজ, এই দৃষ্টিভংগিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে। (ক্রমশঃ)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: