দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চলল গুলি, ফাটল বোমা। বোমায় মৃত্যু হল এক জনের। গুলিবিদ্ধ আরও একজন। মৃত ব্যক্তির নাম শেখ নাসিরুদ্দিন (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার তালিবপুর গ্রামে। এই ঘটনায় পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
     করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করার জন্য স্কুল, কলেজ, হোটেল নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সেই মতো শনিবার বিকেলে পাঁড়ুই থানার তালিবপুর গ্রামে যান প্রশাসনের লোকজন। সেখানে একটি গার্লস হোস্টেলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশ তাতে বাধা দেয়। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে পাঁড়ুই থানার পুলিশ মধ্যস্থতা করে। কিন্তু রাতের দিকে ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। গ্রামের বাসিন্দা বনশঙ্কা অঞ্চল সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ, তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আব্দুল হাইদের নেতৃত্বে বোমা গুলি নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দা মৃত নাসিরুদ্দিনের নিকট আত্মীয় বলেন, “আমরা সবাই তৃণমূল করি। নাসিরুদ্দিনই পঞ্চায়েত সদস্য বানিয়েছিল সাইফুদ্দিনকে। আমরা কোয়ারান্টাইন সেন্টার করতে বাধা দিয়েছিলাম। কারন স্কুলের কাছাকাছি সব বাড়ি রয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সহ সভাপতি জোর করে করার চেষ্টা করে। পুলিশ বিষয়টি মিটিয়েও দেয়। কিন্তু রাতের দিকে সিভিক ভলন্টিয়ার শেখ মিলন, সাইফুদ্দিন লোকজন নিয়ে নাসিরুদ্দিনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাসিরুদ্দিনের”। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি রানা সিংহ বলেন, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাজ করেছে”। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “গ্রামের মানুষই বলছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাছাড়া ওই গ্রামের আমাদের তেমন লোকজন নেই। তৃণমূল নিজেদের বিরোধ চাপা দিতে এসব বলছে”। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, “গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”। এই ঘটনায় পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে সিভিক ভলন্টিয়ার শেখ মিলন রয়েছে। ধৃত বাকি সকলেই তৃণমূল সমর্থক বলে জানা গিয়েছে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: