জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

করোনাযুদ্ধে যে বিপর্য্যয়কর পুঁজির  বিনাশ ঘটাবে সেই বিনাশে, কেন্দ্রিভূত পুঁজির
নেতা হিসেবে আমেরিকা মিলিটারীতন্ত্রের সংকট শুধু বহুমুখীন হবে তাই নয়, এটা যে শাখের করাতের মতো হবে, সে কথা আগের পোষ্টে বলেছি। নিজে বিশ্বপ্রযুক্তির চুড়ামনি হিসেবে আমেরিকায় ইতিমধ্যে,  প্রযুক্তি এবং সামাজিক সম্পর্কের সংঘাত নির্মান হতে দিয়েছে, তার শান্তিপূর্ণ মীমাংশার অতীত।
গ্লোবালাইজেশন উত্তরকালে এই আমেরিকার এই পরিনতি, আর্থ-সামাজিক সন্তুলনের নিয়ম সম্পর্কে একটি তত্ব নিশ্চিত হয়ে গেছে। কোন স্থিতিকে, তারই অস্থীর করার অধিকার রয়েছে, যিনি একটি উন্নত বিকল্প দিতে সক্ষম।যোসেফ স্তালিনকে গিলেও যেমন গিলে ফেলা আমেরিকার পক্ষে সম্ভব হয় নাই, তেমনি যে বিশ্ব আর্থ-রাজনীতি দুই মে্রুতে সন্তুলিত ছিলো, সেই সন্তুলন ভেংগে দুই/তৃতীয়াংশের অর্থনীতিকে উড়িয়ে দিয়ে একটি স্বাধীন সন্তুলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা বিশ্বকে উপহার দেওয়ার মতো,
অর্থনৈ্তিক দর্শন যে আমেরিকার হাতে ছিলো না তা ধ্রুব সত্য হিসেবে প্রমান হয়ে গেলো। পুরানো দাসব্যবস্থাকে ফিরিয়ে এনে, ইতিহাসের বিলোপ ঘটিয়ে, বিশ্ব শাসনের কথাবার্তা যে উন্মত্ততা, সেটা এখন প্রমানিত। তবু, গ্লোবালাইজেশন উত্তরকালে ধীরে ধীরে যে অসন্তুলিত বিশ্ববোঝা নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়েছে, সেটা থেকে বেড়িয়ে আসতেই, পুঁজির বিশ্ব কেন্দ্রিকতার অভিবাবক হিসেবে আমেরিকান পুঁজি , পুঁজিতন্ত্রকে আরো বিকলাংগ করেও বিশ্বে টিকে থাকতেই, ডোনাল্ডকে নিয়ে এসেছে। অন্য কেউ এই বিকলাংগতার নেতৃত্ব দিতে পারতো না।
কবে ধ্বসে যেতো এই অসন্তুলিত ব্যবস্থা, যদি না পেছনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক শক্তি পাহারাদার হিসেবে থাকতো।বিশ্বময় একটা দাসত্বের সিঁড়ি তুলে ইতিহাসের বিলোপ – মানবিকতার উপরে অপমানের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়াকে অর্থনৈতিক দর্শন হিসেবে বিশ্বের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার , সোভিয়েত উত্তর আমেরিকান ফিলোসোফির দৈন্যতা,  এখন পচাঁ ঘা দগ্দগে অবস্থায় সামনে এসেছে।
জাতীপুঞ্জের প্লেটিনাম জুবিলির ভাষনে, মহাসচিব যখন একদিকে বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান যে সঙ্কট চক্রাকারে ফিরে আসছে, সেটি যে আসলে গ্লোবালাইজেসন কালের প্রযুক্তি এবং সামাজিক সম্পর্কের সংকট, সেটা একেবারে
স্পষ্ট। শুধু এই বলেই থামছেন না – বিশ্বের বেশী সংখ্যক মানুষের কাছে গ্লোবালাইজেশন গ্রহন যোগ্য নয়। তিনি বৈজ্ঞানিকদের অভিমতের কথা স্মরন
করিয়ে দিয়ে, বলেন, “এখনো সময় রয়েছে” – মহাসচিবের অভিমতের সুদুরপ্রসারী দিকটিই প্রতিবিম্বিত হয়।
দুই।
আমেরিকার অর্থনীতির সংকট এখন, তারই সৃষ্ট গ্লোবালাইজেনের মৃতদেহ তার ঘাড়ে চেপে দেওয়ার কারনেই। প্রযুক্তির বিশ্ব বিভাজন, সেই সুত্রে উৎপাদন কাঠামো কিভাবে সারা বিশ্বে চেপে গেছে এবং তার প্রায় সব বোঝাই কীভাবে আমেরিকার অর্থনীতির ঘাড়ে চেপে বসেছে, তার গোলগাল ধারনাটি মাথায় থাকলেই বর্তমান কালে, বিশ্বকেন্দ্রিকতার অভিবাহক এবং সামরিক পাহারাদাড় হিসেবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংকট
বোধগম্য হবে।
অতি লোভের বসে, সোভিয়েত বিহীনতার দায় যেমনভাবে সে নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়েছে, সেখানে এই যুক্তির তত্বগত ভিত্তি থাকে না,  যেন
--- নিজের ভালোর জন্য গ্লোবালাইজেশন, সংকটকালে মরতে যাও।যত সে দায়কে ছুড়ে ফেলতে চাইছে, ততই শেয়ালঁ কুকুরের মতো যেসব রাষ্ট্র নেতা, নিজের দেশের
দেশের স্বয়ংসম্পর্ণতাকে ‘গ্লোবালাইজেশনের’ পদতলে নিবেদন করেছিলেন, তারাই যে এখ্ন ‘গুরুর’ পথ ছাড়তে ছাইবে না সেটা নিশ্চিত।
অন্যদিক থেকে যারা ‘প্রযুক্তির’ প্রশ্নে আমেরিকা নির্ভরতা থেকে অনেকটাই নিজেকে মুক্ত করেছেন, তারা নিশ্চিভাবে করোনাকালে পুঁজির নিধনের পর উল্টো পথে চলতে
চাইবেন।
তিন।
চিনের মতো দেশ, যে এখন অর্থনীতিতেই আমেরিকার প্রযুক্তিকে
প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করছে তাই নয়, করোনা যুদ্ধে সে দেখিয়েছে, অর্থনীতি এবং সামাজিক সম্পর্কের প্রশ্নে ইতিমধ্যেই একটা সাযুয্যতা নিয়ে এসে, ইন্দোচিনকে পাশে রেখে আমেরিকার প্রতিপ্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে জাহির করেই ক্ষ্যান্ত হয় নাই, সে ‘ডলার’কে বিশ্ব অর্থব্যবস্থার স্রমাট হিসেবে মানতে অস্বীকার করেছে।
এদিকে রাসিয়ার ক্রমবর্ধমান চিন যোগাযোগ এবং লাতিন-আমেরিকায়  আমেরিকান স্বার্থের বিপরীত অবস্থান, ডোনাল্ডের শিরঃপীড়ার কারন হবেই। তার এমন বুঝে নেওয়ার কারন নেই, যা আগের পোষ্টে উল্লেখ করেছি
---যেন রুশজাতি রাসিয়ার  পুনরায় কম্যুনিজম নিয়ে আসার আকাংখ্যাতেই যোসেফ
স্তালিনকে তাদের প্রাণের আসনে বসাতে চাইছে, কিংবা রুশজাতীয়তায়, এই আগ্রহসৃষ্টিতে রুশ প্রেসিডেন্টের কোন প্রশ্রয় নেই। একটু গভীরে গিয়ে দেখতে
চাইলেই দেখতে পাবেন
--- রাসিয়া সহ প্রাক্তন সোভিয়েতের অংগ ছিলেন, এমন কিছু কিছু দেশে দেশে এখন সোভিয়েত ভেংগে দেওয়ার কারনে যে আবেগ বিদ্যমান, তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধবিরতী স্বাক্ষরের পর জার্মান জাতীকে, যে আবেগ তাড়িত করছিলো
--- তা দিয়েই পরিমাপ করতে হচ্ছে।
     উল্লেখিত সুত্রগুলিকে সামনে আনলেই, বুঝতে সোজা হবে কেন আগামি দিনগুলিতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘর এবং বাইরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়,ভারতের
শ্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সর্বশ্রেষ্ট সহযোগী হিসেবে মানবেনই। আজকের বিশ্বে
সম্ভবতঃ হিটলারতত্বের এতো কাছের দ্বিতীয় কাউকে পাওয়া যাবে না, যে দল সংখ্যালঘু সমস্যাকে জাতীসত্বার একাত্মতায়,
দেখতে অস্বীকার করেছে এবং সেই বিষয়কে রাষ্ট্রীয় নীতিতে
অর্থনীতির উপরে স্থান দিয়েছেন।
দ্বিতীয়তঃ একপ্রান্তে চিন-আমেরিকা বানিজ্য যুদ্ধে, যেনতেন প্রকারে চিনকে দমন করাই যখন আমেরিকার বিশ্বলক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে, বর্তমান শক্তি
সন্তুলনে, দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা্র যে দেশটি অর্থনীতির দিক দিয়ে ভেংগে
পরছে এবং সামাজিক সন্তুলন ক্রমেই, নড়বড়ে হচ্ছে
স্বাভাবিকভাবেই করোনাত্তোর কালে এই দুই দেশের যৌথ কার্য্যকলাপ বিশ্ব সন্তুলনকে প্রভাবিত করবেই। এইসুত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ করোনা যুদ্ধে চিন যতই
কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুক না কেন, ভারত সরকারের সাম্প্রতিক এক সিধান্ত হিসেবে, ভারতের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যা প্রচার করেছে,সেটি ইংগিতপূর্ণ।
বলা হয়েছে, সরকার চিন সমেত পাকিস্থান এবং বাংলাদেশের সরাসরি কোন দেশীয় পুজিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চার।
      এমনি ভাবে দ্বন্দ্বের বহুমুখীনতা, করোনাত্ত বিশ্ব অর্থনীতির সম্পর্কটি যতই সংঘাতের দিকে এগুতে ছাইবে, ততই বিশ্ব রাজনীতি ঘোলাটে হতে থাকবে। পরিস্থিতি
বিশ্বকে যে তৃতীয় একটা যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে না, এখন আর সেটি কেউ নিশ্চিতভাবে অস্বীকার করতে পারছেন না।
                    সবাই মেনেছেন, একটা অচেনা অজানা অশরিরী বর্গীর বিশ্বজোরা হামলায় অগনিত মৃত্যু মিছিলের বিরুদ্ধে, যুদ্ধের প্রধান মন্ত্রটাই যখন উৎপাদন কাঠামোকে নিঃস্কৃয় করে রাখা, তখন বুঝতে হবে, শিল্প-প্রযুক্তি এবং উৎপাদিকার দিক থেকে,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তুল্যবিচারে, অন্য এক সর্বগ্রাসী ভয়ংকর, চেহারা নিয়ে, আত্মপ্রকাস করবেই।
গ্লোবালাইজেশন উত্তর কালে এমনিতেই যে অর্থনৈতিক সংকট ঘুরেফিরে আসছিলো এবং
সম্প্রতি যা ১৯৩০/৩২ এর বিশ্ব অর্থনৈ্তিক সংকটকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী করা হয়েছিল এবং যে সংকটকে জাতিপুঞ্জ  মহাসচিবের ভাষনে, গ্লোবালাইজেশনের নেতিবাচকতা এবং প্রযুক্তি-সম্পর্কের অসন্তুলিত হয়ে যাওয়া বলে বর্ণন করেছেন
এবং বিশ্বের বড়বড় দেশগুলির অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা অসন্তুলিত হয়ে যাওয়ায়, সংকট মোচনের দায়, যখন আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে উপরে বর্তাচ্ছে, তখন  মানতেই হবে
---- পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সে সুত্রেই দ্বিতীয় যুদ্ধের সাথে, করোনা যুদ্ধের তুল্যমূল্যে বুঝতে হবে, দুই যুদ্ধেই বিপুল মানুষ মরা পরলেও, দ্বিতীয় যুদ্ধে পুজিরই শুধু বিপুল
বৃদ্ধি ঘটেছিলো তাই নয়, সেই যুদ্ধে প্রযুক্তির বিকাশ এক লাফে তিন ধাপ উপরে উঠে গিয়েছিলো। এই উত্তরন ঘটেছিলো, অর্ধদক্ষ থেকে শারীরিক শ্রমের যান্ত্রিকরন ঘটে সেকালেই। ভারতে, জামসেদপুর এবং ইস্কো ইত্যাদি কারখানা সে সময়েই আসে।
--- বিপরীত প্রান্তে করোনা যুদ্ধে, পুজির সর্বাত্মক ধ্বংস এবং উৎপাদন থেকে, শ্রম বিচ্ছেদের বার্তা নিয়েই, করোনাত্তোর কাল সামনে আসছে।
পাচ।
     সব শেষে করোনা যে আমেরিকায় ইতিমধ্যে যে সংকট ঘোরতর আকার নিচ্চিলো, যা চিনের সাথে বানিজ্যযুদ্ধে ঘণিভূত হচ্ছিলো, করোনা সেই সংকটকে যুদ্ধকালিন সংকটে ঠেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা এবং সেই সম্ভাবনা ভারককে কেমনভাবে টেনে হিচরে নিয়ে যেতে পারে, সে ইংগিত রেখে এই অংশের লেখাটি শেষ করবো।
মূলতঃ মেহনতের দৃষ্টিভংগিতে লেখা চালচিত্র হেসেবে বাস্তবের সাথে কিছু গরমিল হতেই পারে, সে কথা স্বীকারে রেখে এবং সে সব ভূলচুক বন্ধুরা
সংশোধন করে দেবেন, সেই আশা রেখেই গ্লোবালাইজেশনউত্তরকালের, অর্থনৈতিক উৎপাদন ব্যবস্থার কাঠামোটির একটি কল্পস্বর্গ রঙ-তুলিতে ধরে রাখা যায়।
--- মেনে চলুন। তারপর দেখা যাক কী দাঁড়ায়।
যদি বিশ্ব আর্থ-প্রযুক্তি উৎপাদন ব্যবস্থাকে
এক অখন্ড সত্বা দেহ হিসেবে মানতে হয়, তবে
 আমেরিকাকে নিশ্চিতভাবে প্রযুক্তির মস্তিস্ক,সাথে সাথে- একই কারনে এবং  ডলারের নিয়ন্ত্রক হওয়ার কারনে, নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব ফিনান্যান্স পুঁজির
মস্তিস্ক হতে বাধ্য। এই সুত্রেই এরা শুধু যে ফিনান্স নিয়ন্ত্রন করছে তাই নয়, যে সব দেশের অর্থনীতির উপরে আমেরিকার পূর্ণনিয়ন্ত্রন কিংবা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার পরিকল্পনায়, সেই নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা, সেটা বিশ্ব ব্যংক কিংবা আই এম এফ অথবা অন্য সব ব্যবস্থার মস্তিস্কও আমেরিকায়। এ কাজে, এরা আমেরিকা
সমেত এরা মূলতঃ এসিয়ার সর্বশ্রেষ্ট মস্তিস্ককে যুক্ত করে। প্রায় সমগ্র গ্লোবালাইজেশন সময়কালে, আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বের যেসব দেশ লং-ডিস্টেন্স প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে সক্ষম, সে সব দেশ বিপুল পরিমান ভারতীয় শ্রমকে কাজে লাগিয়ে থাকে।
• প্রযুক্তি এবং অর্থনীতির ভাগাভাগিতে, দেহের মধ্যভাগ হিসেবে মানা উচিত হবে
সেই সব দেশকে, যেখানে মস্তিস্ক প্রযুক্তিকে, উৎপাদনের প্রাথমিক দিকগুলিকে সক্রীয় রাখবে। বিশ্ব রাজনৈ্তিক, অর্থনৈ্তিক এবং সামরিক দিক থেকে যারা মস্তিস্কের পারস্পরিকতার আচ্ছাদিত, সে সব দেশেই বিশ্বে ক্যাপিট্যাল গুডস এবং সব থেকে ‘স্পর্ষকাতর’ প্রযুক্তির আতুড়্ঘর। সাথে সাথে ‘ডলার’সাম্রাজ্যনির্ভরতায়, মস্তিস্কের সাথে সব থেকে বেশি, অরগানিক্যালি   সম্পৃক্ত।
• চিন, ইন্দোচিন, কিউবা এবং লাতিন আমেরিকার কিছু দেশকে বাদ দিয়ে, যারা নিজেরাই এককভাবে, কিংবা পারস্পরিকতার ভিত্তিতে, স্বাধীন অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, কিংবা রাসিয়া বাদ দিয়ে, ভারতের মতো দেশগুলি, প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক উৎপাদন ব্যবস্থা শৃংখলায় তৃ্তীয় নিচের
সিঁড়িতে।
সোভিয়েত ভেংগে পরা যদি গ্লোবালাইজেশন বিশ্বায়নের কারন হয়ে থাকে তবে পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে,  বিশ্বায়নের পরিনামে এবং প্রযুক্তি এবং সামাজিক অসুন্তলনের কারনে, গত তিন দশকে বিশ্বে শ্রম-কাঠামো পূনঃর্গঠনের নামে সারা বিশ্বেই, অদক্ষ ও অর্ধদক্ষ এবং মহিলাদের নিয়ে এক বিশাল দাসবাহিনীর জন্ম দিয়েছে।
এটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে,
--- করোনার পূর্বেই যখন মস্তিস্ক থেকে পা’ পর্য্যন্ত তিন ধাপের শেকল ভেংগে পরছিলো, জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের কথায়, প্রযুক্তি এবং সামাজিক সম্পর্কের অসুন্তলনে বিশ্বকে এক সংকটে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো এবং যাকে বলা হচ্ছিলো,দ্বিতীয় যুদ্ধের পূর্বেকার আর্থিক সংকট ( ১৯৩২-৩৩শের সংকট) থেকেও ভয়ংকর,
--- করোনায় কোন যুদ্ধ থেকেও ভয়ংকর পুঁজিনাসের পর, আমেরিকা জাতিপুঞ্জ মহাসচিবের উৎকন্ঠার বিপরিত প্রান্ত ধরে প্রযুক্তিকে বিপুল পরিমান রোবোটাইজেসনের পথে ঠেলতে বাধ্য হচ্ছে কি নয়। ইতিমধ্যেই দাবী করা হয়েছে, করোনা সারা বিশ্বে অন্ততঃ ২০০ কোটি প্রান্তিক শ্রমিককে দারিদ্রসীমার নিচে নামিয়ে আনবে। এই হিসেব যদি ঠিক হয়, ভারতীয় উপমহাদেশেই ইতিমধ্য যে শতকোটি নব্য দাসের জন্ম হয়েছে, সেই সংখ্যাতে আরো অন্ততঃ শত কোটি যুক্ত হবে।
সব মিলিয়ে, বিশ্ব শ্রমিক আন্দোলনকে সঙ্খচীলের নজর রাখতে হবে, সত্যিই যদি কোন, তৃ্তীয় যুদ্ধ বেঁধে যায়, সেটা গতবারের মতো ‘উপনিবেশ’দখল থেকেও, দাসের উপর প্রভুত্ব কায়েমের যুদ্ধ হয়ে না যায়। (ক্রমশঃ)
                   
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: