মোঃ মাসুদ হাসান, ফিচার রাইটার, রঘুনাথগঞ্জ:

সারা দেশে যখন লকডাউন চলছে তখন ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে তাদেরকে চাল আলু বিতরণের সরকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্ত রাজ্যের FCI চালের বস্তার গায়ে সরকারি সিল থাকলেও মুখবন্ধ পঞ্চাশ কেজি চালের বস্তায় চাল থাকছে অনেক কম। সীলকরা প্যাকেট চাল সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পৌঁছে গেলেও কিন্তু সেই চালের বস্তা মাপতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষকদের। পঞ্চাশ কেজি চালের বস্তায় মিলছে কোথাও পঁয়তাল্লিশ কেজি চাল, আবার কোথাও তেতাল্লিশ কেজি চাল। অথচ সরকারি খাতায় এন্ট্রি হচ্ছে পঞ্চাশ কেজি চালের হিসেবই। আর ওই চাল বণ্টন করতে গিয়ে শিক্ষকদের চরম সমস্যায়  পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রাপ্ত বস্তায় কম থাকা চাল, ঘাটতি  কীভাবে মেটাবেন তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আর এর ফলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আছড়ে পড়ছে জনরোষ। শিক্ষকদের চোর,  মালমার জাতীয় অপমানজনক কথা বার্তাও শুনতে হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে ৫৪০জন ছাত্রের জন্য ৩ কেজি করে  বরাদ্দের চাল দিতে গিয়ে রীতিমত ঘাটতি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। অনেক শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন সারাবছর বাচ্চাদের যে মিড ডে মিলের চাল দেওয়া হয় তাতেও একই রকম কম থাকে আর এতে সমস্যায় পড়তে হয় বেশিরভাগ শিক্ষককেই।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: