সৈকত কর্মকার, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

সুযোগ বুঝে এবার বের হলো করোনা মিষ্টি ও কেক। ফলে করোনা যে একটা আস্ত ব্র্যান্ড। খাই খাই জগতে।

করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কে কাঁপছে পুরো পৃথিবী। ঘরে কিংবা বাইরে মাঠ কিংবা ঘাটে সবখানেই আলোচনা। তাহলে কেন আলোচনা থেকে বাদ যাবে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। আর সেরকমই একটি মজাদার ঘটনা ঘটিয়েছে ভারতের যাদবপুরের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী এবার করোনা আকৃতির কেক ও মিষ্টি বানিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নতুন করে।জানা যায়, আতঙ্কের মধ্য দিয়ে মিষ্টির মাধ্যমেও ‘করোনাভাইরাস’র স্বাদ পাবেন ক্রেতারা। আর চোখেও দেখতে পারবে করোনাভাইরাস কি রকম হয়। ঘটনাটি কিন্তু সত্য। এবার করোনা ভাইরাসের আকৃতিতে মিষ্টি ও কেক বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ওই যাদবপুর এর মিষ্টি ব্যবসায়ী। তবে মিষ্টির ও কেকের স্বাদটা মোটেই খারাপ নয় বলে জানান ক্রেতারা।
স্থানীয়রা জানান, লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ‘করোনা’ মিষ্টি বানাল হিন্দুস্তান সুইটস, যাদবপুর। ভারতের যাদবপুরের ওই মিষ্টির দোকানের শোভা পাচ্ছে করোনাভাইরাসের মতো দেখতে সেই মিষ্টি। তার পাশেই রয়েছে ‘করোনা’ কেক ও কুকিজ। বিক্রেতা জানান, এখান থেকে অন্য যেকোনো মিষ্টি কিনলে বিনা মূল্যে করোনা মিষ্টি খেতে দেওয়া হয় দোকানের পক্ষ থেকে। এমনকি মিষ্টির পাশাপাশি করোনার বিষয়ে সচেতনতার বার্তাও দেওয়াও হয়। অনেকে করোনা মিষ্টি দেখতেও দোকানে ভিড় জমাচ্ছে।ফলে ইতোমধ্যেই এই ‘করোনা’ মিষ্টি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

হিন্দুস্তান সুইটসের কর্ণধার শ্রী রবীন্দ্র কুমার পাল বলেন, আতঙ্কের এ আবহে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে মিষ্টি ও কেক কারিগরদের দিয়ে এ মিষ্টি,কেক ও সন্দেশ বানানো হয়েছে।এমনকি মিষ্টির প্যাকেটের গায়ে ও করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হবে।

শ্রী রবীন্দ্র কুমার বলেন, লকডাউনের কারণে বন্ধ মিষ্টির দোকান। তবে দিনে ৪ ঘণ্টা দোকান খোলার অনুমতি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। তার মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে অভিনব এ মিষ্টি। এই মিষ্টি দেখে অনেকেই খুশি হচ্ছে।তাই করোনায় ভীত নয়, সতর্ক হোন। বরং মিষ্টির মতো গিলে ফেলুন করোনাকে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: