ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

ভারতীয়  শাস্ত্রে  নির্দেশ  আছে  স্ত্রী  সর্বদা  স্বামীর  অনুগামিনী  হবেন! শতপথ  ব্রাক্ষ্মন  বলেছেন,"স্ত্রীয়ঃ পুংষোংনুবর্ত্মানো ভাবুকাঃ"! বৃহদারণ্যক উপনিষদ বলেছেন,"পতিং বা  অনুজায়া!"
       হটী  পাল্টা   যুক্তি  দিয়ে  বললেন," আপনারা  শতপথ  ব্রাক্ষ্মন  ও উপনিষদের  উদ্ধৃতি  শুনিয়েছেন! কিন্তু  ঋকবেদে  ঽবলা  হয়েছে,"ঊষো যাতি  স্বসরস্য পত্নী!" পতি  সূর্য , পত্নী  ঊষার  অনুগমন  করে! এবার  আপনারাই  বলুন  কোন  নির্দেশটি  মানবেন? বৈদিক  নির্দেশ  না  পরবর্তী  যুগের ?"
      প্রতিপক্ষ  পন্ডিতরা  বললেন," ঋকবেদের  ঋষিরা  এখানে  কবিত্ব  করেছেন  মাত্র!"
       হটী  বললেন," কিন্তু  তথ্যটি  প্রাকৃতিক! সুর্য- পত্নী  ঊষা  কোনদিন  সুর্যের  অনুগামিনী  নন!"
        তর্কবাগীশ বললেন , "মনে  হচ্ছে  আমরা  মূল  বিতর্ক  থেকে  সরে  যাচ্ছি! সামাজিক  বিধান  এবং  তত্বকথা  ছেড়ে  কাব্য  নিয়ে  আলোচনায়  মেতে  উঠেছি! আমাদের  মূল  প্রাতিপাদ্য  বিষয়ঃ-'ব্রাক্ষ্মন্য  ধর্মে   স্ত্রীলোকের  বেদমন্ত্র  পাঠের অধিকার !' স্ত্রীলোকের  বেদমন্ত্র  পাঠের  কোন  অধিকার  নেই! স্বামী  যজ্ঞ করলে  স্ত্রী  সেখানে  উপস্হিত  থাকতে  পারে  কিন্তু  কোন  মন্ত্রোচ্চারনের  অধিকার  নেই!-"ন  স্ত্রী  জুহুয়াৎ"!বৈদিক  যজ্ঞের পূর্বার্ধ  স্বয়ং  যজমান,উত্তরার্ধ  তার পত্নী, কিন্তু  পত্নীর  শুধু স্বামীর  পাশে  বসার  অধিকার  আছে, মন্ত্রোচ্চারনের  অধিকার  নেই!শতপথ  ব্রাক্ষ্মনের  স্পষ্ট নির্দ্দেশ,"পূর্বার্থ বৈ যজ্ঞস্যাধ্ব়র্যুর্দ্ধর্জঘনার্ধং  পত্নী!" (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours