সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

অবশেষে অর্থনৈতিক তেজি বুলের পিঠে জাঁকিয়ে বসেছে দুই দিনের যোগী করোনাভাইরাস। আর তাতেই নটে গাছটি মুরলোর মতো পাংশু অবস্থা বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ভারতীয় ডিজিটাল রূপোলী ক্যাপসনের।
আবার এলাম এবার একটু জ্ঞান মনে হবে। সবার ভালো লাগবেও না। কিন্তু পরে গনগনে আগুনের আঁচ লাগবেই লাগবে সকলের রোজনামচায়।
তখন মনে হবে লেখাটার কদর। আরে না না একেবারেই মন গড়া কথা নয়। যারা শেয়ার বাজরে একটু ঘুরে বেড়ান তাদের কাছে  বিষয় টা খানিক সহজ হবে বলে মনে হয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এ এক সিঁদুরে মেঘ... অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার  (ওইসিডি)  মহাপরিচালক এঞ্জেল গুড়িয়া এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তিনি মনে করেন গত ১২ বছরের বিশ্ব অর্থনীতিতে মোট যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই করোনা ভাইরাস আকৎস্মিকতায় তারই দোরগোড়ায় বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি। তাঁর মতে এই ভয়ংকর চাপ সামলানো সহজ হবে না। বেশ কয়েক বছর লাগবে এর থেকে পরিত্রান পেতে।
আজকের বিশ্বের দরবারে করোনা যে ভাবে থাবা বসিয়েছে আর বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক দেশ গুলো নাজেহাল হয়ে কার্যতঃ দিশেহারা। একদিকে মহামারী ক্রমশঃ ভয়ংকর হচ্ছে সাথে চিকিৎসা খরচ বাড়ছে, সব কিছু বন্ধ, উৎপাদন থেকে উপাদান, ফলে বাড়ছে কর্মের অনিশ্চয়তা বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। এভাবে আর কয়েক সপ্তাহ চললে তা তীব্র হবে।
ওইসিডি সরকার গুলোর কাছে আবেদন জনিয়েছেন তারা যেন তাদের বর্তমান ব্যয় নীতি ভুলে গিয়ে এই ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চত করে, এবংসংশ্লিষ্ট চিকিৎসাতে আরো গুরুত্ব দেন। ইউরোপে এই ভাইরাস আরো সংক্রমিত হলে আগমী এক সপ্তাহে বিশ্ব প্রবৃদ্ধির হার অর্ধেক নেমে ১.৫% তে এসে দাঁড়াবে।
এখনও কত মানুষের চাকরী নেই বা হারিয়েছেন? কোম্পনিগুলির কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে? সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট নয়। তবুও হলফ করে বলা যায় এই ক্ষতি সামলে উঠতে অনেক বছর সময় লাগবে। ক্ষুদ্র, মাঝারী শিল্পের প্যারালাইসিস অবস্থা থেকে কোমায় পৌঁছে যাবে। প্রান্তিক কৃষকের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাবে। এর হাত থেকে বিশ্বের তাবড় অর্থনৈতিক সবল দেশও রেহায় পাবে না। আগমী আর্থিক ক্যালেন্ডার এর দুটো তিনটে কোয়াটার অস্থির থাকবে।
শেয়ার বাজার নিম্ন মুখী থাকবে।
কি মুস্কিল বলুন তো এই বেয়ারা ভাইরাস জান নিচ্ছে আবার অর্থনীতি কেও তাল গোল পাকিয়ে দিচ্ছে। কে এই করোনা? দুর ওর পরিচয় জানতে সময় নষ্ট করে লাভ কি? বরং যাতে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে হবে। ৯/১১  মানে আমেরিকার সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তীতে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর সব চেয়ে বড় বিপর্যয় বলে মিঃ গুড়িয়া মনে করেন।
তিনি মনে করেন সরকারের কর্তব্য কর্মচারীদের আর্থিক  সহয়তা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কে সাহায্য করার বদলে সাময়িক অধীনস্থ করা। অর্থ ঋণ নীতির পরিবর্তন করে সমবেত আর্থিক নীতি গ্রহণ করা, বিশ্ব অর্থনীতির সমতা বজায় রাখা। পারস্পরিক অধিক ঋণের বোঝো চাপলে তাতে বিশ্ব অর্থনীতিরই ক্ষতি।
সংকট থেকে উত্তরণ  ধরে নিয়ে অনেক অর্থনীতিবিদ ভাবলেন সংকটের উত্তরণ ইংরাজির V শেপে হবে, সূচক পরেই আবার উর্ধগতি হবে, যদি এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় সব দেশ তাহলে সূচক উত্তরণের কার্ভটা ইংরাজির U অর্থাৎ অনেক সময় লাগবে, তবে সহজেই উত্তরণ হবে, না হলে হতাশার ইংরাজি বর্ণের L হবেই হবে।
গম্ভীর হয়ে গেলো তো? না দাদা সময় এটাই সরকার কে ভাবতে হবে এর উত্তরণের জন্য আপনার পাশে আমরা সহযোগিতা করবো কিন্তু ওইসিডির মতে কিছু এই আশঙ্কা আরেক বড় বিপর্যয়।  ভাবাই একটু ভেবে দেখুন:-
বিনা ব্যয়ে সংক্রমণ পরীক্ষা ও চিকিৎসা, সংক্রমণ রোধে নজরদারি, স্বাস্থ্য কর্মীদের চিকিৎসা উপকরণ পর্যাপ্ত যোগান দেয়া, তাদের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান, কর আদায়ের সময়সীমা বাড়ানো,  জাতীয় আয় যাতে ধাক্কা না খায় তার জন্য একমুখী কর ব্যবস্থা কার্যকর করা, বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ইনকাম ট্যাক্সের সম্পূর্ণ ছাড় দেয়া ফলে তাদের এই সংকট মোকাবিলায় নিজেরা যেন আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।
তাই বিশ্ব বিপদের দিনে কালোবাজারি দমন থেকে শুরু করে কঠোর অনুশাসন পালন আমাদের এই অসম যুদ্ধের সাথে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করতে হবে।
আমরা করবো জয় নিশ্চয়।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours