সুকন্যা পাল, ম্যানেজিং এডিটর, দ্য অফনিউজ, কলকাতা:

করোনার প্রভাব মুক্ত করার লক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন বেসরকারি কারখানার বিরুদ্ধে এই লকডাউন না মানার অভিযোগ ইতিমধ্যেই আসতে আরম্ভ করেছে বিভিন্ন স্থান থেকে। এরই মধ্যে এই লকডাউন তোয়াক্কা না করার জন্য ইসিএলের সিএমডির বিরুদ্ধেও ক্ষুব্ধ খনিকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী একযোগে আবেদন করছেন করোনা প্রতিরোধে লকডাউন অত্যন্ত আবশ্যক। কিন্তু কে শোনে কার কথা। একাংশ জনগন বিভিন্ন বেসরকারি কারখানার মালিক তো এসব ধর্তব্যেই আনছেন না। এই লকডাউন তোয়াক্কা না করার তালিকায় এবার নতুন সংযোজন। খোদ এক কেন্দ্রীয় সরকারের আমলার বিরুদ্ধে। তিনি আর কেউ নন। এই কেন্দ্রীয় আমলা হলেন ইসিএলের সিএমড। নাম পি এস মিশ্র।
ইসিএলের সিএমডি একটি গোপন চিঠি পাঠান পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককে। ২৩.০৩.২০ তারিখ বিশিষ্ট CMD/ECL/16 রেফারেন্স নম্বর সহ এই চিঠিটি দ্য অফনিউজ এর কাছে এসে পৌঁছায় গত রাত্রি। চিঠির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার পরই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট দুই আধিকারিকদের কাছ থেকে এই চিঠি সম্পর্কিত কোনও মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
কয়লার যোগান স্বাভাবিক রাখতে ইসিএল অধীনস্থ পশ্চিম বর্ধমান এলাকার কয়লা খনির কাজকর্ম জারি রাখা আবশ্যক। তাই কয়লা উৎপাদন প্রক্রিয়া, কয়লা পরিবহণ, নিজস্ব পরিবহণ ও যোগান ব্যবস্থা সচল সহ অন্যান্য কাজকর্ম চালু রাখা জরুরী খনিগুলিতে।
এই চিঠির তথ্য ফাঁস হয়ে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় শ্রমিক নেতারা। কেকেএসসি (আইএনটিটিইউসি)'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস চক্রবর্তী ক্ষোভ উগড়ে বলেন, "ইসিএলের সিএমড এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খনিকর্মীদের নিরাপদ অবস্থা কি ভেবেছেন? মানি কয়লার যোগান সচল রাখা জরুরী। তাই বলে কর্মীদের জীবন বাজি রাখা উচিৎ নয়। আমরা নিশ্চিত খনিকর্মীরা তাঁদের কর্মস্থলে করোনা প্রতিরোধ করার মতো অবস্থায় নেই। আগে সেই প্রতিরোধ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সিএমডি চিঠি দিক প্রশাসনকে। তারপর খনির কাজ অব্যহত রাখা হোক।" গুরুদাসবাবুর আরও বক্তব্য, আমরা কয়লা উৎপাদনের বিরোধী নয়। কিন্তু দায়িত্বহীন পরিচালনের বিরোধী। সিএমডি কি নিশ্চয়তা দেবেন কর্মীর কর্মস্থল করোনা মুক্ত পরিবেশ? অন্যথায় তাঁর এই পদক্ষেপ মানব বিরোধী বলতে কসুর করবো না।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours