ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

এরপরের  কাহিনী  সংক্ষিপ্ত  আকারে  পাঠকদের  দরবারে  পেষ  করছি!
         পুরন্দরের  অশ্লীল  ইঙ্গিতপূর্ন  কথা  শুনে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ  করলেন  বিদ্যার্নবের  ছাত্র  রামারঞ্জন  ভট্টশালী! তিনি  পুরন্দরের  উদ্দেশ্যে  বললেন," আপনি  সংযতভাবে  কথা  বলুন, ভুলে  যাবেন  না - যাঁর  সাথে  অভদ্রভাবে  কথা  বলছেন  তিনি  কাশীর  একজন  মহামহোপাধ্যায়!
             এরপর  যা  ঘটলো  তা  সকলের  কল্পনার  অতীত! পুরন্দর  হটীকে  বলে  গেলেন! উনিশ দিন পর  চৈতালী পুর্নিমার  রাতে  অসিঘাটে  বাগানবাড়ীতে  তাকে  যেতে  হবে  একাকী!  সেথানে  নিভৃতে  তিনি  তার  সাথে  দ্বৈরথে  মিলিত  হবেন! আর  ততদিন   সে,মাথা  কামাতে  পারবে  না! আরো  বললেন," কুলীন  ঘরের  ব্রাক্ষ্মনের  বিধবা  সহমরনে  যেতে  ভীতা  হলে  তার  কি  অন্তিমগতি  হয়  এবার  বুঝবে  সুন্দরী!"
          শুধু  হটী  নয়, বজ্রাহত  বিদ্যার্নব  ও ভট্টশালীও!
         এমন  আকাশভাঙা  বিপর্যয়ের  সন্মুখীন  কখনো  হতে  হবে স্বপ্নেও  ভাবেনি  বিদ্যার্ণব ! পুরন্দর  দুঃশাসক  এ সংবাদ  সারা  কাশীর  মানুষ  জানে! তাঁর  অত্যাচারে  রাজ পুরোহিত অবসর  নিয়েছেন, মন্ত্রী  অপসারিত!সেনাপতি  বজ্রধর  দেশত্যাগী! কাশীরাজের  বিশ্বস্হ  লাঠিয়াল  ঈশান  কৈবর্তকে  স্বগপরিবারে  মধ্যরাতে  ঘুমন্ত  অবস্হায়  ঘরে  আগুন  লাগিয়ে  পুড়িয়ে  হত্যা  করা  হয়েছে! পুরন্দর  অত্যন্ত  কামুক! তাঁর  অসিঘাটের  বাগানবাড়ীতে  নিত্যনতুন   যুবতী  নারী  দেখা  যায়! শুধু  হিন্দু  নয়, কিছু  মুসলিম  রমনীকেও  দেখা  যায়! ভদ্রবাড়ী   কুলীন  রমনীদের  জোর  করে  তুলে  আনা  হয় তাঁর  লাম্পট্য  চরিতার্থ  করতে! পুরন্দর  অতিশয়  ধূর্ত, যাতে  প্রজা-বিদ্রোহ না  হয়  সেজন্য  প্রতিটি  জায়গায়  নিজের  অনুগত  লোকেদের  বসিয়েছেন! শাসনের  নামে  কাশীধানে  চলছে  শোষন, প্রজাপিড়ন আর  অত্যাচার! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours