ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

প্রধান বিচারক  মহাপন্ডিত  রামপ্রসাদ তর্কপঞ্চানন! তাঁর  কাছে  দুই  প্রতিপক্ষ ভুর্জপত্রে রচিত  তাঁর  প্রতিমা- প্রতিঞ্জা! বিতর্কের  বিয়ষ  নির্ধারিত  হ'ল:- ' নারীর  অধ্যাপনা  ও বেদ  অধ্যয়নের  অধিকার '
শুরু হলো  'বিতর্ক'
   যুক্তি-তর্ক,প্রতিতর্ক,বিপ্রতীপ  তর্ক, উদ্ধৃতি, অনুঞ্জা,নির্দেশ!জগমোহন  ও তাঁর  সহযোগীরা  স্তুপাকারে  সাজিয়ে  রেখেছেন  নানান  পুঁথি! তালিকা  মিলিয়ে   যুক্তিগুলি  পেশ  করতে  থাকেন  তাঁরা! নানা  পুঁথি  আর  শাস্ত্র  থেকে  তাঁরা  প্রমান  করতে  সচেষ্ট  স্ত্রী জাতীকে  হিন্দুধর্ম    বেদপাঠের অধিকার  দেয়নি!এমন  কি  তাঁদের  দেবার্চনা  ও দেবপুজার  অধিকার ও  নেই! তাঁর দ্বায়িত্ব  শুধু  স্বামী সেবা! তাই শাস্ত্রে বলা  হয়েছে ; " গুরুরগ্নির্দ্বিতাতীয়াং বর্ণানাং  ব্রাক্ষ্মনো  গুরু!!...পতিরেকো  গুরুঃ স্ত্রীণাং  সর্ব্বত্রাভাগ্যতো  গুরু!!
      অর্থাৎ দ্বিজগনের  গুরু হলেন  অগ্নি,ব্রাক্ষ্মন  সকল  বর্নের  গুরু,অতিথি  গৃহস্হের  গুরু  আর  স্বামী  স্ত্রীলোকের  পরম  গুরু!
    হটী  যুক্তি  দিলেন,এটি  প্রামান্য শাস্ত্রবাক্য  বলে  চিহ্নিত  করা  যায়  না!কিন্তু  আমার  প্রতিপক্ষ  যখন  এটিকেই  যুক্তি  হিসাবে  দাখিল  করেছেন  তখন  তারই  ব্যাখ্যা  দিচ্ছি!অগ্নি  নির্বাপিত  হলে  কাষ্ঠের  সাহায্যে  তাকে  পুরুজ্জীবিত  করা  যায়! আমাদের,মতো  গরীব  দেশে অতিথির  অভাব  কোন  গৃহস্হেই কখনো  হয়  না,শাস্ত্রের  শ্লোক  ব্রাক্ষ্মনদের  রচিত  তাই ব্রাক্ষ্মনদেরকে  সকলের  গুরু রূপে  দেখানোই  স্বাভাবিক! কিন্তু  স্বামী? তার  পরিপূরক  কোথায় এই  ব্রাক্ষ্মন্যধর্মে? পতিব্রতা  সাধ্বী নারী  বিধবা  হলে  তখন  সে  গুরু  কোথায়  পাবে?  তখন সে যদি  স্বাবলম্বী  হতে  চায় নিজের  ও সন্তানের  অন্নবস্ত্রের  প্রয়োজন  মেটাতে  তখন  তাকে  উপার্জনক্ষম  হতেই  হবে! সেই  বিধবা  যদি  বিদূষী  হন,তাহলে  তাকে  চতুষ্পাঠী পরিচালনা  করতে দেওয়া  যাবে  না  কেন? অন্যথায়  কিভাবে  তার নিজের  ও সন্তানদের  ভরনপোষন  করবে? শাস্ত্রে  এর  কি  দিশা  আছে? (চলবে)
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours