ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
হটী তাঁর গুরুদেবের কানে কানে অনুমতি প্রার্থনা করলো! গুরুদেব মাথা নেড়ে সন্মতি প্রদান করলেন! হটী এগিয়ে গেলেন মহিলাদের জন্য নির্দ্দিষ্ট ঘেরাটোপের দিকে! তার কৌতুহল হয়েছিল শঙ্খধ্বনী কে করল? কেন না তিনি ভেবেছিলেন ওই স্হানটি দর্শকশূন্য থাকবে তসেখানে মাত্র দুজন শ্রোতা! একজনকে সহজেই চিনতে পারলেন, কাশীরাজের বিধবা! কাশীর রাণী হয়েও আজ তিনি এসেছেন নিরাভরনা হয়ে!দ্বিতীয়াও সম্পুর্ন নিরাভরনা! অপূর্ব সুন্দরী, পরিধানে শ্বেতশুভ্র থান,কন্ঠে একটি স্ফটিকের মালা!
হটী রানীমাকে বলল," আপনি যে সভায় আসতে পারেন তা স্বপ্নেও ভাবতে,পারিনি! আপনি এসেছেন এজন্য আমি কৃতঞ্জ! কিন্তু এনাকে চিনতে পারলাম না....."
রানী বললেন," ইনি তারাসুন্দরী নাটোরের রানী ভবানীর একমাত্র কন্যা...যাঁর দান করা দেবোত্তর ভুখন্ডে এই তর্কসভা বসেছে! আমি সংস্কৃত বুঝব না ওকে সাথে এনেছি!
হটী করজোড়ে বলে," আপনার জননী তো প্রাতঃ স্মরনীয়া! আপনি এই সভায় এসে আমাকে ধন্যা করেছেন!"
হাতজোড় করে দৃঢ় কন্ঠে তারাসুন্দরী বলেন," এ আপনি কি বলছেন? আপনি নারী মুক্তির প্রথম ধ্বজাধারিনী!এ তো আমাদের কর্তব্য!"
মনে মনে হটী ভাবেন, ' এই সেই তারাসুন্দরী -নাটোরের রানী ভবানীর কন্যা! বাল্যবিধবা! অসাধারন রূপবতী - যাঁর রূপে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লা তারা সুন্দরীকে অপহরনের চেষ্টা করেছিল!সেই জন্য নাটোরের রানী ভবানী পলাসীর প্রান্তরে সিরাজের পক্ষে যোগ দেন নি!
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় যুগে যুগে..ত্রেতায় লঙ্কেশ্বর রাবণ, কলিতে আলাউদ্দিন খিলজী, সিরাজদ্দৌলা!
ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হটী ফিরে এলো সভামঞ্চে! বিচার সভায় প্রবেশের পূর্বে মুন্ডিত মস্তকটি বেদীতে স্পর্শ করালো !বিচারক প্রতিযোগী ও সমাগত ভদ্রজনদের প্রনাম জানিয়ে এগিয়ে গেল তার নির্দ্দিষ্ট আসনে! উপবেশন করলো ধ্যানস্হ যোগীর মতো!
মহাভারতে জানতে পারি, ক্ষত্রিয়ের বেশে অর্জুনের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন চিত্রঙ্গদা! আজ ব্রাক্ষ্মনের বেশে হটী বিদ্যালঙ্কার যুদ্ধে অবতীর্ন হতে চলেছে পঞ্চ পন্ডিতের সাথে! বেশভূষায় নারীর লেশমাত্র নাই, তবু ত্রিংশতিবর্ষীয়া প্রকৃতিদত্ত প্রভায় বিতর্কসভাটি এক অভূতপূর্ব উজ্বলতায় ভরে উঠেছে! (চলবে)
হটী তাঁর গুরুদেবের কানে কানে অনুমতি প্রার্থনা করলো! গুরুদেব মাথা নেড়ে সন্মতি প্রদান করলেন! হটী এগিয়ে গেলেন মহিলাদের জন্য নির্দ্দিষ্ট ঘেরাটোপের দিকে! তার কৌতুহল হয়েছিল শঙ্খধ্বনী কে করল? কেন না তিনি ভেবেছিলেন ওই স্হানটি দর্শকশূন্য থাকবে তসেখানে মাত্র দুজন শ্রোতা! একজনকে সহজেই চিনতে পারলেন, কাশীরাজের বিধবা! কাশীর রাণী হয়েও আজ তিনি এসেছেন নিরাভরনা হয়ে!দ্বিতীয়াও সম্পুর্ন নিরাভরনা! অপূর্ব সুন্দরী, পরিধানে শ্বেতশুভ্র থান,কন্ঠে একটি স্ফটিকের মালা!
হটী রানীমাকে বলল," আপনি যে সভায় আসতে পারেন তা স্বপ্নেও ভাবতে,পারিনি! আপনি এসেছেন এজন্য আমি কৃতঞ্জ! কিন্তু এনাকে চিনতে পারলাম না....."
রানী বললেন," ইনি তারাসুন্দরী নাটোরের রানী ভবানীর একমাত্র কন্যা...যাঁর দান করা দেবোত্তর ভুখন্ডে এই তর্কসভা বসেছে! আমি সংস্কৃত বুঝব না ওকে সাথে এনেছি!
হটী করজোড়ে বলে," আপনার জননী তো প্রাতঃ স্মরনীয়া! আপনি এই সভায় এসে আমাকে ধন্যা করেছেন!"
হাতজোড় করে দৃঢ় কন্ঠে তারাসুন্দরী বলেন," এ আপনি কি বলছেন? আপনি নারী মুক্তির প্রথম ধ্বজাধারিনী!এ তো আমাদের কর্তব্য!"
মনে মনে হটী ভাবেন, ' এই সেই তারাসুন্দরী -নাটোরের রানী ভবানীর কন্যা! বাল্যবিধবা! অসাধারন রূপবতী - যাঁর রূপে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লা তারা সুন্দরীকে অপহরনের চেষ্টা করেছিল!সেই জন্য নাটোরের রানী ভবানী পলাসীর প্রান্তরে সিরাজের পক্ষে যোগ দেন নি!
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় যুগে যুগে..ত্রেতায় লঙ্কেশ্বর রাবণ, কলিতে আলাউদ্দিন খিলজী, সিরাজদ্দৌলা!
ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হটী ফিরে এলো সভামঞ্চে! বিচার সভায় প্রবেশের পূর্বে মুন্ডিত মস্তকটি বেদীতে স্পর্শ করালো !বিচারক প্রতিযোগী ও সমাগত ভদ্রজনদের প্রনাম জানিয়ে এগিয়ে গেল তার নির্দ্দিষ্ট আসনে! উপবেশন করলো ধ্যানস্হ যোগীর মতো!
মহাভারতে জানতে পারি, ক্ষত্রিয়ের বেশে অর্জুনের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন চিত্রঙ্গদা! আজ ব্রাক্ষ্মনের বেশে হটী বিদ্যালঙ্কার যুদ্ধে অবতীর্ন হতে চলেছে পঞ্চ পন্ডিতের সাথে! বেশভূষায় নারীর লেশমাত্র নাই, তবু ত্রিংশতিবর্ষীয়া প্রকৃতিদত্ত প্রভায় বিতর্কসভাটি এক অভূতপূর্ব উজ্বলতায় ভরে উঠেছে! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours