ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

সমগ্র  রাজসভা  একবাক্যে  এই  নিদান  মেনে  নিলেন!দীর্ঘ  কাহিনীটি  হটীকে  সম্পুর্ন  বলার  প্রয়োজন  হয়নি! বৃহদারন্যকোপনিষদ  বিচারসভায়  উপস্হিত  পন্ডিতসমাজের  নিকট  সুপরিচিত! তাই  তিনি  তাঁদের  উদ্দেশ্যে  প্রশ্ন  করলেন," এবার  আপনারাই  বলুন, সেই  ব্রক্ষ্মবাদিনী  গার্গী- যাঁকে  উপনিষদকার  তাঁর  রচনায়  ইঙ্গিতে  বলেছেন,' যাজ্ঞবল্ক্য  ব্যতিরেকে  তিনিই  ছিলেন  সর্বাগ্রগন্যা,যিনি  যাজ্ঞবল্ক্যকে  পরীক্ষা  করে দেখার  মতো  জ্ঞানের  অধিকারিনী! যাঁর  ঘোষনা  পন্ডিতসমাজ নতমস্তকে   শেষ বিচার  বলে মেনে  নিলেন !তিনি  বৈদিকমন্ত্র  উচ্চারনের  সময়  ' ওঁ'এর  পরিবর্তে ' নমঃ' বলতেন?"
         পঞ্চপন্ডিতের  একজন  বলে  উঠলেন," গার্গী  এক  দুর্লভ  ব্যতিক্রম!"
         সে ক্ষেত্রে  মৈত্রী? যাজ্ঞবলক্যের  সহধর্মিনী?যিনি  বলেছিলেন,"যেনহম  নামৃতা  স্যাম্  কিহমং তেন কুর্যাম?" অথবা  এই  কাশীধামের  পৌরানিক  মহারাজা  অলর্কের  জননী  মদালসা? যিনি  ব্রক্ষ্মবিদ্যার্জনের  জন্য  গুরুগৃহে  না  পাঠিয়ে  রাজ অন্তঃপুরে  নিজেই  শিক্ষা  দিয়েছিলেন!কেমন  করে? বাল্মিকীর  শিষ্যা  আয়েত্রী  ছিলেন  পন্ডিতা - বিদর্ভ রাজকন্যা রুক্সিনী  শ্রীকৃষ্নকে  কী  করে  স্বহস্তে গোপনপত্র লিখে  পাঠাতেন? যদি  তাঁর  অক্ষর  পরিচয়  না  থাকতো?উভয়ভারতী  কোন  অধিকারে  আচার্য  শঙ্কর  ও মন্ডন  মিশ্রের  বিচারসভায়  বিচারক  মনোনীত  হ'ন?

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours