ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
হটীকে বাঁচাতে অবশেষে একটা সিদ্ধান্তে এলেন অশীতিপর বৃদ্ধ বিদ্যার্নব! হটীকে জানানেন! তাঁরা পরদিন প্রত্যুষে সূর্যের আলো ফোটা পূরেই গঙ্গাস্নানের আছিলায় চলে যাবেন ব্যসকাশী! পৌঁছে দেবে বিশ্বস্হ মাঝি! ব্যাসকাশী থেকে বাদাশাহী রাস্তা ধরে পদব্রজে যাবেন রোহিতাশ্ব!
অবাক হয় হটী,প্রশ্ন করেন," এই বৃদ্ধ বয়সে কাশী ত্যাগ করবেন? এই গুরুকূল চতুষ্পাঠীর কি হবে?"
বিদ্যার্নব প্রত্যুত্তরে জানান," এছাড়া আর কোন পথ নেই! আমাদের অনুপস্হিতিতে রমারঞ্জন সব সামলে নেবে! আর মাত্র তিন চার বছর, কাশীর রাজপুত্র কৃষ্নেন্দু নারায়ন সাবালক হলেই কাশীর সিংহাসনে বসবে ! পুরন্দরের রাজ শেষ হবে! তখনই ফিরবো!
সেই রাতের শেষ প্রহরে হটী বিদ্যার্নেব সাথে যাত্রা করলো! কিন্তু বিধিবাম অন্ধকার ভেদ করে করে এলো এক দশাসই জওয়ান! তার মাথাভর্তি ঝাকড়া চুল ,হাতে লাঠি কোমরে কোষবদ্ধ তরবারি! সে নিজের পরিচয় দিল ! রামলগন তার নাম, সে রাজ কর্মচারী! রাজার নির্দ্দেশে এই বাড়ীর মাতাজীর উপর নজর রাখছে! সে বলল, গঙ্গাস্নান করতে হলে তার সাথেই যেতে হবে! মুষড়ে পড়লেন বিদ্যার্নব! এক লহমায় তাঁর সব পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়ে গেল! তিনি অনুভব করলেন! সম্ভবতঃ তাঁর পালিতা কন্যাটিকে আর রক্ষা করতে পারলেন না! চৈতালী পূর্নিমার রাতে কামাগ্নির চিতায় ধর্ষিতা হবে তাঁর আদরের কন্যাটি!
তাঁরা এগিয়ে গেলেন দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে! বিদ্যার্নব গেলেন পুরুষদের ঘাটে! হটী মেয়েদের ঘাটে! রামলগন ঘাটের সিঁড়িতে ! যেখান থেকে নজর রাখা যাবে!
পুরুষদের ঘাটে কয়েকজন স্নান করছিলেন তাঁদের একজন বিদ্যর্নভকে দেখে চিনতে পেরে এগিয়ে এসে প্রনাম করে জিজ্ঞাসা করলেন," ঠাকুর মশাই কিছু সুরাহা হ'ল?ঘোর কলি, কি করবেন আর রাজা মশায়ের পা দুটি ধরে ক্ষমা চান! যদি দয়া হয়...."
হটীর মনটা বিষিয়ে ওঠে সর্বত্র একই আলোচনা? আবার একটা কথা হটীর কানে! কে যেন বলল, " কি যাতা বলছো মহামহোপাধ্যায় ক্ষত্রিয়ের পা ধরে ক্ষমা চাইবেন?"
হটী নিজের দুটি কান দুহাত দিয়ে চাপা দিয়ে ঘাটে ঝাঁপ দিলেন! এক মহিলা বলতে যাচ্ছিলেন এটা মেয়েদের ঘাট, ...কিন্তৃ পাশের এক মহিলা তার কানে কানে বললেন " খুড়ি মা উনি পুরুষ নন মেয়ে! উনিই সেই আজব মেয়ে পন্ডিত! (চলবে)
হটীকে বাঁচাতে অবশেষে একটা সিদ্ধান্তে এলেন অশীতিপর বৃদ্ধ বিদ্যার্নব! হটীকে জানানেন! তাঁরা পরদিন প্রত্যুষে সূর্যের আলো ফোটা পূরেই গঙ্গাস্নানের আছিলায় চলে যাবেন ব্যসকাশী! পৌঁছে দেবে বিশ্বস্হ মাঝি! ব্যাসকাশী থেকে বাদাশাহী রাস্তা ধরে পদব্রজে যাবেন রোহিতাশ্ব!
অবাক হয় হটী,প্রশ্ন করেন," এই বৃদ্ধ বয়সে কাশী ত্যাগ করবেন? এই গুরুকূল চতুষ্পাঠীর কি হবে?"
বিদ্যার্নব প্রত্যুত্তরে জানান," এছাড়া আর কোন পথ নেই! আমাদের অনুপস্হিতিতে রমারঞ্জন সব সামলে নেবে! আর মাত্র তিন চার বছর, কাশীর রাজপুত্র কৃষ্নেন্দু নারায়ন সাবালক হলেই কাশীর সিংহাসনে বসবে ! পুরন্দরের রাজ শেষ হবে! তখনই ফিরবো!
সেই রাতের শেষ প্রহরে হটী বিদ্যার্নেব সাথে যাত্রা করলো! কিন্তু বিধিবাম অন্ধকার ভেদ করে করে এলো এক দশাসই জওয়ান! তার মাথাভর্তি ঝাকড়া চুল ,হাতে লাঠি কোমরে কোষবদ্ধ তরবারি! সে নিজের পরিচয় দিল ! রামলগন তার নাম, সে রাজ কর্মচারী! রাজার নির্দ্দেশে এই বাড়ীর মাতাজীর উপর নজর রাখছে! সে বলল, গঙ্গাস্নান করতে হলে তার সাথেই যেতে হবে! মুষড়ে পড়লেন বিদ্যার্নব! এক লহমায় তাঁর সব পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়ে গেল! তিনি অনুভব করলেন! সম্ভবতঃ তাঁর পালিতা কন্যাটিকে আর রক্ষা করতে পারলেন না! চৈতালী পূর্নিমার রাতে কামাগ্নির চিতায় ধর্ষিতা হবে তাঁর আদরের কন্যাটি!
তাঁরা এগিয়ে গেলেন দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে! বিদ্যার্নব গেলেন পুরুষদের ঘাটে! হটী মেয়েদের ঘাটে! রামলগন ঘাটের সিঁড়িতে ! যেখান থেকে নজর রাখা যাবে!
পুরুষদের ঘাটে কয়েকজন স্নান করছিলেন তাঁদের একজন বিদ্যর্নভকে দেখে চিনতে পেরে এগিয়ে এসে প্রনাম করে জিজ্ঞাসা করলেন," ঠাকুর মশাই কিছু সুরাহা হ'ল?ঘোর কলি, কি করবেন আর রাজা মশায়ের পা দুটি ধরে ক্ষমা চান! যদি দয়া হয়...."
হটীর মনটা বিষিয়ে ওঠে সর্বত্র একই আলোচনা? আবার একটা কথা হটীর কানে! কে যেন বলল, " কি যাতা বলছো মহামহোপাধ্যায় ক্ষত্রিয়ের পা ধরে ক্ষমা চাইবেন?"
হটী নিজের দুটি কান দুহাত দিয়ে চাপা দিয়ে ঘাটে ঝাঁপ দিলেন! এক মহিলা বলতে যাচ্ছিলেন এটা মেয়েদের ঘাট, ...কিন্তৃ পাশের এক মহিলা তার কানে কানে বললেন " খুড়ি মা উনি পুরুষ নন মেয়ে! উনিই সেই আজব মেয়ে পন্ডিত! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours