ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

প্রতিপক্ষের  তরফে তর্কবাগীশ  বললেন," করবে  না সন্তানের  ভরনপোষন! স্ত্রীলোকের  প্রতিমা ও স্বাতন্ত্রের এই  ধারনাটি  অর্বাচীন, প্রাচীন  কোন  শাস্ত্রে  তার  কোন  স্বীকৃতি  নেই!  বশিষ্ঠ  ধর্মসূত্রে  উল্লেখ  আছে
       পিতা  রক্ষতি  কৌমারে  কর্তা  রক্ষতি  যৌবনে / রক্ষতি স্হবিরে  পুত্রা ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি!
          হটী  যুক্তি  দিলেন, বশিষ্ঠের  এই  ধর্মসূত্রটি  সাধারন  সূত্র! আর্যরা  যখন  যাযাবর  বৃত্তি  ত্যাগ  করে  কৃষি- নির্ভর  সমাজব্যবস্হা  গড়ে  তুলছেন,মাতৃতান্ত্রিক  সমাজব্যবস্হা   পিতৃতান্ত্রিক  সমাজব্যবস্হায়  রূপান্তরিত  হচ্ছে   তখনই  এই নীতি  সাধারনভাবে  গ্রাহ্য  হয়েছিল!
সূতিকাগৃহে  যে  কন্যা  পিতৃহীন  হয়ে  যাচ্ছে, যৌবন প্রাপ্তির  পূর্বেই  যে  কন্যা  বিধবা  হয়ে  যাচ্ছে,বা  না সন্তান  যে  নারী  তার  প্রতি  এই  সাধারম  সূত্র  প্রযোজ্য  নয় , একথা  বলার  অপেক্ষা রাখে  না!
        তর্কবাগীশ  জানতে  চাইলেন," আপনি  কি  এই  ব্যতিক্রম  ক্ষেত্রে  স্ত্রীলোকের  অধিকার  প্রর্থনা  করছেন?"
           উত্তরে  হটী  বলল," নিশ্চয়  নয়! শৈশবে  পিতৃহীন,কৈশরে  বিধবা  না  হলে  স্ত্রীলোক  বিদ্যাচর্চা  করতে  পারবে  না  একথা  বলছি  না! আমি  সাধারনভাবে  বলতে  চাই  - 'ন স্ত্রী  স্বাতন্ত্র্যমর্হতি ' বিধানটি  ক্ষেত্রবিশেষে  প্রযোজ্য  হলেও  সর্বত্র স্বীকার্য নয় ! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours