দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

লক ডাউনে কেউ বাড়ি ফিরতে রেল লাইন বরাবর হাঁটছেন, কেউ অর্ধভূক্ত, কেউ খোলা আকাশের নীচে!

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট, ৩১মার্চঃ  হুগলীর আরামবাগ থেকে রেল লাইন ধরে পায়ে হেঁটে রামপুরহাটে পৌঁছালো ঝাড়খণ্ডের আট শ্রমিক। রবিবার ভোর রাতে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। পথের মাঝে ভেদিয়াতে একবার বিশ্রাম করেন তাঁরা। রামপুরহাটের ছ’ফুকোতে পুলিশ তাঁদের আঁটকায়। কিন্তু করোনা সংক্রান্ত ফিট সার্টিফিকেট থাকায়  পুলিশ গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে।

জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের গুড্ডা জেলার গোয়ারিজোরে তাঁদের বাড়ি বলে জানান এক শ্রমিক।  আরামবাগে আলুর স্টোরে তাঁরা কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। লক ডাউনে এতদিন তাঁরা আঁটকে থাকার ভয়ে একে একে অনেকেই চলে আসছেন বলে জানান শ্রমিকদের একজন।
অন্যদিকে,  নলহাটিতে বীরভূম নাকপুর চেকপোস্টের কাছে খোলা আকাশের নিচে বেশ কয়েকটি পরিবার আছে। তাদের পেশা তাবিজ, জড়িবুটি বিক্রি করেন। গ্রামের লোক সাহায্য করায় মুড়ি খেয়ে বেঁচে আছেন তাঁরা। প্রায় ষোলো দিন ধরে বিভিন্ন জায়গার ৭০ জন মানুষ এখানে আছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন শিশু আছেন। একইভাবে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নলহাটি-২ ব্লকের ভদ্রপুর-২ পঞ্চায়েতের নবগ্রামে  প্রায় কয়েকজন ভিক্ষোপজীবী মানুষ অর্ধভূক্ত অবস্থায় আছেন। অন্যদিকে,  গ্রামের এক প্রান্তে ক্ষুধার্ত এক বৃদ্ধা বাড়িতে পড়ে আছেন। তাঁকে খাবারের যোগান দিচ্ছেন গ্রামের এক যুবক। তিনি গ্রামের রেশন ডিলারের কাছ থেকে খাবার নিয়ে এসে তাঁকে দিচ্ছেন। এব্যাপারে নলহাটি-২ ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধূরী বলেন, সরকারি নির্দেশে এই সমস্ত মানুষের সাহায্যের জন্য মাস্টার রোল তৈরি হচ্ছে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: