ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
হটী একটা ডুব দিয়ে কোমর জলে দাঁড়াতেই স্ননরত পুরুষদের শ্যেনদৃষ্টি পড়ল তার দেহের উপত্যকায়! বাঁধানো ঘাটের সিঁড়িতে রামলগন পাহারা দিচ্ছে,বন্দিনী হটীকে! যদিও সে রাজাসাহেবের এই কাজে খুশী নয়! তবুও রাজ কর্তব্য মানতেই হবে! ধর্মভীরু মানুষটি বাবা বিশ্বনাথের কাছে কাতর প্রার্থনা করে! এ তোমার কেমন বিচার? কী দোষ করেছিল পন্ডিত মাই? লিখাপড়ি নিয়ে সে তো দিব্যি ছিল বড়া পন্ডিতজীর ডেরায়! কেন তাকে বেইজ্জত করা হচ্ছে? কেন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফিরিঙ্গীদের ডেরায়?
বিদ্যার্নব ও হটী স্নানান্তে ফিরে এলে রামলগন ফিরে যেতে বললে বিদ্যার্নব জানালেন তাঁর গঙ্গার ওপারে ব্যাসকাশী! ঘাটে রামরঞ্জনের নির্দেশ মতো নকুলেশ্বর অপেক্ষা করছিল!রামনগনকে সে চেনে !তাও বিদ্যর্নবের কাছে জানতে জানতে চাইলো তাঁরা কোথায় যাবেন ? বিদ্যার্নব জানালেন ব্যাসকাশী!
ছোট ডিঙ্গি নৌকায় পাশাপাশি বসলেন পিতা- পুত্রী! রামনগন আশঙ্কা করেছে বিদ্যানর্ব পন্ডিত মাইকে নিয়ে ভাগবে!
হটীও বুঝতে পারছে না কেন তারা ব্যাসকাশী যাচ্ছে! ইতিমধ্যে অরুনোদয়ের আভায় রক্তির পবিত্র গঙ্গা! প্রতিটি ঘাট লোকেলোকারন্য! বিদ্যার্নব ও হটী চলেছে গঙ্গার ওপারে! একই নৌকায় তাঁদের পাহারা দিচ্ছেন যমদূত সম রামলগন!
ব্যাসকাশী পৌঁছে হটীকে নৌকা থেকে নামতে বললেন তার পিতৃসম বিদ্যার্নব! হটী অস্ফুট স্বরে জানতে চাইলো তারা কোথায় যাচ্ছে!
বিদ্যার্নব শুধু জানালেন! তাঁর শেষ ভরসা কাশীর সচল বিশ্বনাথ ! তৈলঙ্গস্বামীর নিকট! (চলবে)
হটী একটা ডুব দিয়ে কোমর জলে দাঁড়াতেই স্ননরত পুরুষদের শ্যেনদৃষ্টি পড়ল তার দেহের উপত্যকায়! বাঁধানো ঘাটের সিঁড়িতে রামলগন পাহারা দিচ্ছে,বন্দিনী হটীকে! যদিও সে রাজাসাহেবের এই কাজে খুশী নয়! তবুও রাজ কর্তব্য মানতেই হবে! ধর্মভীরু মানুষটি বাবা বিশ্বনাথের কাছে কাতর প্রার্থনা করে! এ তোমার কেমন বিচার? কী দোষ করেছিল পন্ডিত মাই? লিখাপড়ি নিয়ে সে তো দিব্যি ছিল বড়া পন্ডিতজীর ডেরায়! কেন তাকে বেইজ্জত করা হচ্ছে? কেন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফিরিঙ্গীদের ডেরায়?
বিদ্যার্নব ও হটী স্নানান্তে ফিরে এলে রামলগন ফিরে যেতে বললে বিদ্যার্নব জানালেন তাঁর গঙ্গার ওপারে ব্যাসকাশী! ঘাটে রামরঞ্জনের নির্দেশ মতো নকুলেশ্বর অপেক্ষা করছিল!রামনগনকে সে চেনে !তাও বিদ্যর্নবের কাছে জানতে জানতে চাইলো তাঁরা কোথায় যাবেন ? বিদ্যার্নব জানালেন ব্যাসকাশী!
ছোট ডিঙ্গি নৌকায় পাশাপাশি বসলেন পিতা- পুত্রী! রামনগন আশঙ্কা করেছে বিদ্যানর্ব পন্ডিত মাইকে নিয়ে ভাগবে!
হটীও বুঝতে পারছে না কেন তারা ব্যাসকাশী যাচ্ছে! ইতিমধ্যে অরুনোদয়ের আভায় রক্তির পবিত্র গঙ্গা! প্রতিটি ঘাট লোকেলোকারন্য! বিদ্যার্নব ও হটী চলেছে গঙ্গার ওপারে! একই নৌকায় তাঁদের পাহারা দিচ্ছেন যমদূত সম রামলগন!
ব্যাসকাশী পৌঁছে হটীকে নৌকা থেকে নামতে বললেন তার পিতৃসম বিদ্যার্নব! হটী অস্ফুট স্বরে জানতে চাইলো তারা কোথায় যাচ্ছে!
বিদ্যার্নব শুধু জানালেন! তাঁর শেষ ভরসা কাশীর সচল বিশ্বনাথ ! তৈলঙ্গস্বামীর নিকট! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours