ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

পুরন্দর  ছেত্রী  ধুরন্ধর,এমন  একটা  মোক্ষম  সুযোগের  অপেক্ষায়  ছিলেন! জনতাকে  স্বপক্ষে  আনাই  তাঁর  প্রধান  লক্ষ্য! কঠিন  শাস্তি  দিতে  হবে  ঐ দূর্বিনীতাকে! তাতে  একঢিলে  দুই  পাখী  মরবে! পুরন্দর  জানে, দ্বারকেশ্বর বিদ্যার্নভ  বা  রাম  প্রসাদ  তর্কপঞ্চাননরা  নিতান্তই  সংখ্যালঘিষ্ট ! সমগ্র  কাশীর  পন্ডিত  সমাজ ও কবিরাজরা   হটী  বিদ্যালঙ্কারের  বিরুদ্ধে! সকলেই  মনে  প্রানে  চাইছেন  ওই  বিদ্রোহিনীকে  শায়েস্তা  করতে!
           তাই  করবে  পুরন্দর এমন  পৈশাচিকভাবে  তাকে  বেইজ্জত  করবে  যাতে  ভবিষ্যতে  কোন  নারী  এই  দুঃসাহস দেখানোর  কথা  স্বপ্নেও  না  ভাবতে  পারে! এতদিন  কাম চরিতার্থতা  করতে  হচ্ছিল  অতি গোপনে, প্রজাদের  অসন্তোষের  আশঙ্কায়! এই  প্রথম  সুযোগ  এসেছে, যে  কামচরিতার্থতায়  প্রজাদের  পূর্ন  সমর্থন  থাকবে! কিন্তু  এমন  পদ্ধতিতে  করতে  হবে  যাতে এটা  রাজ  কর্তব্য!সমাজের  কলষতা  নিবারনের  জন্যই  তাকে  এই  শাস্তি  দেওয়া  হ'ল!
         পুরন্দর   ঠিক  করে  নিয়েছেন, তিনি  নারী  হত্যা  করবেন  না! তাঁর  বাগানবাড়ীতে  নিয়ে  গিয়ে  কামচরিতার্থ  করে ঐ অপরাধিনীকে  সম্পুর্ন  বিব্রস্ত্রা  করে  নগ্ন  পদে  ঢাকঢোল  শিঙ্গা  বাজিয়ে  শোভাযাত্রা  করে  প্রকাশ্য  দিবালোকে  কাশীনগরী  পরিক্রমা  করানো  হবে!
      .এরপর  দশাশ্বমেধ  ঘাটে  সহস্র স্হানযাত্রীদের  চোখের  সামনে সেই  বস্ত্রহীনা  নগ্ন - স্নান  করবে! তারপর  তাকে  শোভাযাত্রা  সহযোগে  পদব্রজে  পৌঁছে  দেওয়া  হবে  কাশীর  রন্ডীবাজারে! বাকী  জীবনটা  তার  কাটবে  ঐ অন্ধকার  নরক কুন্ডে! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours