দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

তিন সদ্যজাত কন্যা সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে জেলা শাসকের কাছে দরবার হাঁসন বিধায়ক মিল্টন রসিদের। জানা গেছে,  বেশ কয়েকদিন আগে হাঁসন বিধান সভা কেন্দ্রের রামপুরহাট ২ ব্লকের, মারগ্রাম ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে  মারগ্রাম থানার কুঠিপাড়ার বাসিন্দা নিরোজ সেখের স্ত্রী মেহেন্নিগারের  তিন কন্যা সন্তান প্রসব হয়। বিধায়ক মিল্টন রসিদের সহযোগিতায় মেডিকেল কলেজ থেকে রেফার করা এই প্রসূতির সিজার হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। বর্তমানে তিন কন্যা সন্তান সহ রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে ভর্তি এই প্রসূতি। প্রসূতির স্বামী নিরোজ সেখ জানান, মায়ের দুধ না থাকায় তার তিন কন্যা সন্তান দুধ পাচ্ছে না। এদিকে সে নিজে দিনমজুর এবং তার স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজন খুবই দুস্থ হওয়ায় আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। এমত অবস্থায় বিধায়ক মিল্টন রসিদ ওই প্রসূতির জন্য জেলা সমাহর্তা, মহকুমা শাসক, ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, এম এস ভি পি সহ বিভিন্ন বিভাগীয় দপ্তরে আবেদন করেন, যাতে করে প্রসূতি ও তার তিন কন্যা সন্তান সুস্থ থাকেন। মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ওই তিন শিশু কন্যা পুষ্টিকর খাবার পান।
জানা গেছে, ওই প্রসুতির বাপের বাড়ি তারাপীঠের কাছে শাসপুর গ্রামে। তাঁর বাবা লালবাবু সেখ একজন সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক মানুষ। তাঁর আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। বর্তমানে এই তিন কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও, তাদের খাবারের দরকার। তিন কন্যা সন্তানের দৈহিক ওজন যথাক্রমে বর্তমানে ১ কেজি ৩৭৫ গ্রাম, ১ কেজি ৩১০ গ্রাম ও অন্যজনের এক কেজির কিছু বেশি।
এব্যাপারে এনএসভিপি ডক্টর সুজয় মিস্ত্রি বলেন, মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে সরকারি তরফে কোন কৌটো দুধ সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে প্রসূতির নিজের পরিবারকে শিশুখাদ্যের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
এব্যাপারে জেলা সমাহর্তা মৌমিতা গোদারাকে ফোন করা হলে, বারবার ফোন বেজে যাওয়া সত্বেও তিনি ফোন ধরেননি।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours