ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

জগমোহন  তর্কবাগীশরা  এই  পরাজয়  মেনে  নিতে  পারলেন  না! শুধু  তাঁরা  নন, মানতে  পারলেন  না  প্রতিষ্ঠাবান  কবিরাজরাও ! তাঁরা  মনে  করলেন, এই  পরাজয়  তাঁদের  পক্ষে  শুধু  অবমাননাকর  নয়,  এটা তাঁদের রুটি-রুজিতে  হাত  দেওয়া ! ঐ বেয়াদব কুলীন বামুনঘরের বাল্য বিধবাটির  উচিত  ছিল  স্বামীর  সাথে  সহমরনে  স্বর্গলাভ  করা! তা সে  করে  নি! তাই  বলে  এতো  ঔদ্ধত্য?  আবহমানকাল  ধরে   চলে  আসা  পুরুষের  অধিকারে  হস্তক্ষেপ? তাঁরা  কিছুতেই  এটা  মানবেন  না!
         তাঁরা  এই  সিদ্ধান্তে  এলেন,ওই  কয়েকজন  বৃদ্ধ  পন্ডিতের  বিধান  তাঁরা  মানবেন  না! যে  বিচারসভায়  কাশীনরেশের বা  তাঁর  প্রতিনিধি  উপস্হিত  নেই! শুধুমাত্র  রাজদন্ডটি  শোভা পাচ্ছে  সভাস্হলে  সেই বিচারসভা কোন  বিধান  দিতে পারে  না! কাশী  নরেশ  লেকান্তরিত, তাঁর  পুত্র  নাবালক  কিন্তু  , মহারাজের  ভাগিনেয়  পুরন্দর  ক্ষেত্রী  তো সশরীরে  বর্তমান! তাই  তাঁরা বিচারসভা  পরিত্যাগ  করে সদলবলে   তাঁর  দ্বারস্হ  হলেন!
            পুরন্দর  ক্ষেত্রী  এসব  বৃত্তান্ত  কিছুই  জানতেন  না! সব  শুনে  ক্রোধে  উন্মত্ত  হয়ে  উঠল! কী  অনাচার! কুলীন  ব্রাক্ষ্মনের  বিধবা - সহমরনে  স্বর্গে  যাবি, তা  নয়  কাশীধামে  এসে  বেলেল্লাপনা?  মস্তকমুন্ডন  করে  পুরুষের  মতো  শিখা  রেখে  টোল  চালাবে? পন্ডিত গিরি  করবে?প্রকাশ্যে  পুরুষের  সাথে  তর্কযুদ্ধ  করবে? কঠিন  শাস্তি  দিতে  হবে  ঐ দুর্বিনীতাকে! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours