ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
রুকমিনী হটীকে এক গোপন তথ্য জানালো! দশদিন এই বজরাতে এক সুন্দরী যুবতী আছে তবুও দস্যু সর্দার তাকে ভোগ করতে আসেনি তার কারন অন্য! সর্দারের এক গুরুজী আছেন কাশীতে!মহা নিষ্ঠাবান তান্ত্রিক!তিনি বহুদিন ধরে এক অক্ষতযোনী ব্রাক্ষ্মন কন্যার সন্ধান করছেন!তন্ত্রসাধনার কঠিন মার্গের অন্তিম পর্যায়ে এমন একটি কন্যাকে তাঁর সাধন সঙ্গিনী করতে হবে! শর্ত কন্যটি ব্রাক্ষ্মন হওয়া চাই,সুস্হ , অক্ষত যোনী হতে হবে এবং বয়ঃক্রম নূন্যতম ষোড়শ ঊর্ধ্বতম ত্রিশ! এই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে তান্ত্রিক গুরুমহারাজ বাকসিদ্ধ হবেন এবং সর্দারকে অস্ত্রসিদ্ধ করে দেবেন! কোন অস্ত্রই সর্দারের দেহ বিদ্ধ করতে পারবে না! সেই সাধিকা হওয়ার যোগ্য কন্যা যোগাড়ের দায়িত্ব সর্দারের উপর দিয়েছেন, তার গুরুজী!
সর্দার দীর্ঘদিন এমন এক ব্রাক্ষ্মন কন্যার সন্ধান করছে! 'অস্ত্রসিদ্ধ ' হওয়ার বাসনাটা তার তীব্র! সর্দারের বিশ্বস্হ ধাত্রীর দ্বারা যদি প্রমানিত হয় হটী অক্ষত যোনী, তাহলে তাকে আর সে ' রাখেল ' করে রাখবে না! গুরুজীকে এই অতি দুর্লভ রমনীরত্নটি উপহার দেবে! গুরুজীর সাধন সঙ্গিনী তার মাতাজী হয়ে যাবে! গুরুজী সিদ্ধিলাভ করবে আর সর্দার ' অস্ত্রসিদ্ধ ' হয়ে যাবে !দস্যু সর্দারের কাছে এ প্রপ্তি সুন্দরী যুবতীকে ' রাখেল ' করে রাখার থেকেও অনেক বেশী প্রাপ্তি!
রুকমিনী জানায়, কোন এক অমাবশ্যার রাতে একবারের জন্যই তাকে তান্ত্রিক সাধন সঙ্গিনী করতে চায়! ওই রাতে তাকে কি করতে হবে তা তার জানা নেই! তবে সম্ভবতঃ তার অক্ষত নারীত্বকে আহুতি দেবে! এরপরই তার ছুটি!
রুকমিনী এও আন্দাজ করে, ওই রাতে সাধনসঙ্গীর সাথে সাধনসঙ্গিনীকে 'মৎস-মাংস-মদ্য- মুদ্রা 'গ্রহন করতে হয়! এক রাতের জন্য কি বিধবার চারটি 'ম'-কার গ্রহনে আপত্তি থাকতে পারে?
হটী মাথা নিচু করে জানায় এই প্রস্তাবে সে রাজী!
রুকমিনী বলে, "বহিন সিরিফ এক রাতের যন্ত্রনা! যন্ত্রনাটাও বুঝতে পারবি না! আমি শুনেছি, দারু আর মাংসের সাথে মন্ত্রের প্রভাবে উত্তেজনা এতটাই চরমে ওঠে যে, সাধন সঙ্গিনী নিজেই মৈথুন পর্বে অংশ নেয়! এমনকি প্রথম পুরুষ -সংসর্গে নারীর যে যন্ত্রনা স্বাভাবিকভাবে হয় , সাধন মার্গে তাও হয় না! মদের প্রভাবে সব কিছুই ভাল লাগে সাধিকার! প্রথম সংসর্গেই চরম পুলক লাভ করে সাধনসঙ্গী ও সঙ্গিনী উভয়েই!
"তাহলে আর কিসের আপত্তি ? আমি রাজী " জানায় হটী!
নিশ্চিন্ত হ'ল রুকমিনী! একরাতের জন্য সর্দারের গুরুজী তান্ত্রিকের কাছে হটী তার নারীত্বের অর্ঘ্য উজাড় করে দিতে রাজী হয়েছে খুব সহজেই!
কিন্তু রুকমিনী ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি, হটীর অন্তরে তখন অন্য এক নীতি বাক্য ' অশুভস্য কালহরনম!'
হটী জানে সে রাজী না হ'লে আজ রাতেই মত্ত হয়ে দস্যু সর্দার বন্য জন্তুর মতো তার ধর্মনষ্ট করতে ছুটে আসবে !
অন্তত মাসখানেকের জন্য সে সম্পুর্ন নিরাপদ! ওই মূর্খ সংস্কারাচ্ছন্ন দস্যু১ সর্দার সুন্দরী যুবতীর নিরাভরন দেহের অপেক্ষা 'অস্ত্র সিদ্ধ ' হওয়ার অলীক স্বপ্নে আপাতত বিভোর থাক! (চলবে)
রুকমিনী হটীকে এক গোপন তথ্য জানালো! দশদিন এই বজরাতে এক সুন্দরী যুবতী আছে তবুও দস্যু সর্দার তাকে ভোগ করতে আসেনি তার কারন অন্য! সর্দারের এক গুরুজী আছেন কাশীতে!মহা নিষ্ঠাবান তান্ত্রিক!তিনি বহুদিন ধরে এক অক্ষতযোনী ব্রাক্ষ্মন কন্যার সন্ধান করছেন!তন্ত্রসাধনার কঠিন মার্গের অন্তিম পর্যায়ে এমন একটি কন্যাকে তাঁর সাধন সঙ্গিনী করতে হবে! শর্ত কন্যটি ব্রাক্ষ্মন হওয়া চাই,সুস্হ , অক্ষত যোনী হতে হবে এবং বয়ঃক্রম নূন্যতম ষোড়শ ঊর্ধ্বতম ত্রিশ! এই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে তান্ত্রিক গুরুমহারাজ বাকসিদ্ধ হবেন এবং সর্দারকে অস্ত্রসিদ্ধ করে দেবেন! কোন অস্ত্রই সর্দারের দেহ বিদ্ধ করতে পারবে না! সেই সাধিকা হওয়ার যোগ্য কন্যা যোগাড়ের দায়িত্ব সর্দারের উপর দিয়েছেন, তার গুরুজী!
সর্দার দীর্ঘদিন এমন এক ব্রাক্ষ্মন কন্যার সন্ধান করছে! 'অস্ত্রসিদ্ধ ' হওয়ার বাসনাটা তার তীব্র! সর্দারের বিশ্বস্হ ধাত্রীর দ্বারা যদি প্রমানিত হয় হটী অক্ষত যোনী, তাহলে তাকে আর সে ' রাখেল ' করে রাখবে না! গুরুজীকে এই অতি দুর্লভ রমনীরত্নটি উপহার দেবে! গুরুজীর সাধন সঙ্গিনী তার মাতাজী হয়ে যাবে! গুরুজী সিদ্ধিলাভ করবে আর সর্দার ' অস্ত্রসিদ্ধ ' হয়ে যাবে !দস্যু সর্দারের কাছে এ প্রপ্তি সুন্দরী যুবতীকে ' রাখেল ' করে রাখার থেকেও অনেক বেশী প্রাপ্তি!
রুকমিনী জানায়, কোন এক অমাবশ্যার রাতে একবারের জন্যই তাকে তান্ত্রিক সাধন সঙ্গিনী করতে চায়! ওই রাতে তাকে কি করতে হবে তা তার জানা নেই! তবে সম্ভবতঃ তার অক্ষত নারীত্বকে আহুতি দেবে! এরপরই তার ছুটি!
রুকমিনী এও আন্দাজ করে, ওই রাতে সাধনসঙ্গীর সাথে সাধনসঙ্গিনীকে 'মৎস-মাংস-মদ্য- মুদ্রা 'গ্রহন করতে হয়! এক রাতের জন্য কি বিধবার চারটি 'ম'-কার গ্রহনে আপত্তি থাকতে পারে?
হটী মাথা নিচু করে জানায় এই প্রস্তাবে সে রাজী!
রুকমিনী বলে, "বহিন সিরিফ এক রাতের যন্ত্রনা! যন্ত্রনাটাও বুঝতে পারবি না! আমি শুনেছি, দারু আর মাংসের সাথে মন্ত্রের প্রভাবে উত্তেজনা এতটাই চরমে ওঠে যে, সাধন সঙ্গিনী নিজেই মৈথুন পর্বে অংশ নেয়! এমনকি প্রথম পুরুষ -সংসর্গে নারীর যে যন্ত্রনা স্বাভাবিকভাবে হয় , সাধন মার্গে তাও হয় না! মদের প্রভাবে সব কিছুই ভাল লাগে সাধিকার! প্রথম সংসর্গেই চরম পুলক লাভ করে সাধনসঙ্গী ও সঙ্গিনী উভয়েই!
"তাহলে আর কিসের আপত্তি ? আমি রাজী " জানায় হটী!
নিশ্চিন্ত হ'ল রুকমিনী! একরাতের জন্য সর্দারের গুরুজী তান্ত্রিকের কাছে হটী তার নারীত্বের অর্ঘ্য উজাড় করে দিতে রাজী হয়েছে খুব সহজেই!
কিন্তু রুকমিনী ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি, হটীর অন্তরে তখন অন্য এক নীতি বাক্য ' অশুভস্য কালহরনম!'
হটী জানে সে রাজী না হ'লে আজ রাতেই মত্ত হয়ে দস্যু সর্দার বন্য জন্তুর মতো তার ধর্মনষ্ট করতে ছুটে আসবে !
অন্তত মাসখানেকের জন্য সে সম্পুর্ন নিরাপদ! ওই মূর্খ সংস্কারাচ্ছন্ন দস্যু১ সর্দার সুন্দরী যুবতীর নিরাভরন দেহের অপেক্ষা 'অস্ত্র সিদ্ধ ' হওয়ার অলীক স্বপ্নে আপাতত বিভোর থাক! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours