সাজিয়া আক্তার, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

দুঃসময়ে তিনি ১৫০ টাকাতে চুল বিক্রি করেন। ঋণে জর্জরিত হয়ে স্বপ্নভঙ্গ এবং পরে আত্মহত্যা করেন তার স্বামী। তবে তিনি এখনও আশাবাদী। তার চুল বিক্রির কাহিনী ভারত জুড়ে লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। অনেককে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করেছে।

তামিল নাডুতে স্বামীর সঙ্গে প্রেমা ইটভাটায় কাজ করতেন। ভাল মতোই চলছিল। তাদের উচ্চাকাঙ্খা ছিলো। তার স্বামী উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ইটভাটা চালু করেছিলেন। পরে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রেমা ও তার তিন সন্তানের খাবার, পোশাকের খরচ মেটাতে ভীষণ চাপ সত্বে ও ঋণ শোধ করতে হচ্ছিল। তখন তার প্রতিদিনের আয় ছিলো মাত্র ২০০ টাকা। জ্বরের কারণে তিনি তিন মাস ইটের ভার বহনে অক্ষম হয়ে পড়েন।

একদিন তার ৭ বছরের ছেলে কালিয়াপণ স্কুল থেকে বাড়িতে এসে খাবার না পেয়ে কাঁদতে থাকে। তার সম্পদ, গয়না, দামী জিনিসি কিংবা বাসনপত্র ছিলো না রুপির সঙ্গে বিনিময় করার জন্য। তখন তিনি ভাবেন- তার কাছে যা আছে; তাই বিক্রি করতে হবে। তখন তার মনে পড়ে চুল কেনার দোকানের কথা।

চুল বিক্রি করে ৬০ টাকাতে তিন প্যাকেট ভাত কেনেন তিন সন্তানের জন্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। আরেক ইটভাটা মালিক তাকে চাকরি দেন।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours