প্রিয়াঙ্কা সরকার, লেখিকা, বর্ধমান:
জীবনের অপেক্ষায় সবুজ উপত্যকা ছুঁয়ে কাটিয়ে দিয়েছে বহু মাস, বহু ক্ষণ, হ্যাঁ,পাহাড়ির মুহুর্তে স্বর্গরাজ্য তাঁর। সত্যিই তো যাকে যাপন করে পায়ের তলার মাটি ডাকে, তাকে কি না ভালোবেসে থাকা যায়!! হৃদয়ের বুকে ঝর্ণার জল ভরা ঝিল, চকচকে সৌন্দর্যে খয়েরী টিপ বুলিয়ে যায় সূর্য সাথী৷ ফুলের আমুদে ভালোবাসায় আছে ভূমির গান ; সুস্বাদু ফলের বাগান, পান্নার খনি আর টাটকা জলের মাছ সবটুকু নিয়েই তো ভূমি প্রজন্মের টান - ভালোবাসার। বুনো ছাগর আর সোনালি মোরগের আবেষ্টনে মিঙ্গোরা হিন্দুকুশ জুড়ে দুঃখের
উপত্যকা।
ঘরের শান্ত কোণ বোঝে নিঃশব্দের আহ্বান৷ পাকা মেঝের উপর আশ্রয় যেন ঘুড়িমেঘ মনে হয়৷ খাপবন্দী তলোয়ার ছুঁয়ে আছে মন। দানা মেঘের মনখারপের দেওয়াল এলে, মাটি ফল দেয়। ফসলের যাপনে মাটিতেও সঙ্গী হয়, কাঠঠোকরারা। শীর্ণ শীতল হয় পরিবারের বন্ধন। বৃক্ষসকল ধোঁয়াসা বেয়ে সরলরেখা এঁকে যায় সম্পর্করা। স্বাত, মিঙ্গোরা কি ভুলে গেলো এমন করেই!
উড়ে আসা পাতার মতো অগোছালো হয়ে যায় জীবন। আঘাত করে সম্পর্কেরা৷ বাড়তি ফোঁটা জুড়ে বুক ছেঁড়া কান্না চায়, ভালোবাসা। ভালোবাসাগুলো নীল রঙেতে সঙ্গী হয়। সাদা কালোর বুকে মাথা তুলে দেখে আকাশ৷ বড়ো একা এক, ওদেরই মতো। হ্যাঁ, এমনটাই হয় মন, সবটুকু যেন আবেগময় পরিবেশেচ্যুতি ফসলে পরিণত হয়। স্বাতের সবুজ উপত্যকা কি তবে নুড়ির জলতরঙ্গ!! নাকি বস্তাপচা নিয়মে বেজেছে ঘন্টা। অন্তঃস্বভাবটি ধরা পড়েছে কি প্রহরী সংলাপে!
মালালা আজও ভোলে নি, বেদনাঘন সেই দিনগুলি; অতীত তো সচেলতার দর্শন, পারবে তো সেই দিনই গুলি ফেরত দিতে! বন্ধু নেই, হারিয়েছে স্বজন। কিন্তু মায়ের শিক্ষা যে অমলিন৷ বুদ্ধ বলেছিলেন, "তোমার কারণে যেন কাউকে হত্যা না করা হয়। " মালালার মা বলতেন, পশুপাখি মারলে, আর তারা খেতে আসবে না। পেঁজা তুলোর সুখ যেমন সৌন্দর্যের আভরণ এই সান্ত্বনার বুক ছেড়ে আসতে হবে তাকে! সবুজ মোড়া স্বাতের বাস্তবতা যে, সহসা বিশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে। মেঘের দ্যুতিময় মায়াময়তা যে প্রেম। প্রেমে যে নির্বাসনও সুখ৷ জীবনকে নিবিড় করেই তো দোসরহীন স্বাতন্ত্র্য। লাবন্যছোঁয়া ঘটনাবৃত্তে আবার ফিরবে কিনা জানাই তো ছিল না, তবুও দুচোখ ভরে অন্তহীন ভবিষ্যতের মাত্রা।
এবার ছুঁয়ে আসা যাক "বুতকরা " ; হ্যাঁ, এখানেই তো পাওয়া গেছিল সেই প্রাচূর্যের বুদ্ধমূর্তি। আন্তর্জাতিক পুরাতত্ত্ববিদরা তো এইস্থানকেই তীর্থস্থান বলে গেছেন। ফুলে ফুলে ভরে থাকা স্থান ঘিরে যে ফুল ভালোবাসার, সে ফুলের তো ভিনদেশ থাকতে নেই। আচ্ছা! ইউসুফজাই কি কখনও তালিবানিদের ক্রোধে পড়েছে! মহিলারা তো স্বাত উপত্যকার বাইরেও যায়নি। "গুলকদা" কি সেদিন বিষন্ন অসুখে ভেবেছিল ভিজে যাবে ঐশ্বর্যে! আর যেদিন সত্য উদঘাটিত হলো, আলোর পথে বুদ্ধের মুখেও যেন সন্ন্যাসী পদ্ম পরিস্ফুটন৷ প্রেম যে সত্য, অবিনশ্বর ; রন্ধ্রে রন্ধ্রে এঁকে যায় স্বর্গরাজ্য ছবি, ভালোবাসার।
জীবনের অপেক্ষায় সবুজ উপত্যকা ছুঁয়ে কাটিয়ে দিয়েছে বহু মাস, বহু ক্ষণ, হ্যাঁ,পাহাড়ির মুহুর্তে স্বর্গরাজ্য তাঁর। সত্যিই তো যাকে যাপন করে পায়ের তলার মাটি ডাকে, তাকে কি না ভালোবেসে থাকা যায়!! হৃদয়ের বুকে ঝর্ণার জল ভরা ঝিল, চকচকে সৌন্দর্যে খয়েরী টিপ বুলিয়ে যায় সূর্য সাথী৷ ফুলের আমুদে ভালোবাসায় আছে ভূমির গান ; সুস্বাদু ফলের বাগান, পান্নার খনি আর টাটকা জলের মাছ সবটুকু নিয়েই তো ভূমি প্রজন্মের টান - ভালোবাসার। বুনো ছাগর আর সোনালি মোরগের আবেষ্টনে মিঙ্গোরা হিন্দুকুশ জুড়ে দুঃখের
উপত্যকা।
ঘরের শান্ত কোণ বোঝে নিঃশব্দের আহ্বান৷ পাকা মেঝের উপর আশ্রয় যেন ঘুড়িমেঘ মনে হয়৷ খাপবন্দী তলোয়ার ছুঁয়ে আছে মন। দানা মেঘের মনখারপের দেওয়াল এলে, মাটি ফল দেয়। ফসলের যাপনে মাটিতেও সঙ্গী হয়, কাঠঠোকরারা। শীর্ণ শীতল হয় পরিবারের বন্ধন। বৃক্ষসকল ধোঁয়াসা বেয়ে সরলরেখা এঁকে যায় সম্পর্করা। স্বাত, মিঙ্গোরা কি ভুলে গেলো এমন করেই!
উড়ে আসা পাতার মতো অগোছালো হয়ে যায় জীবন। আঘাত করে সম্পর্কেরা৷ বাড়তি ফোঁটা জুড়ে বুক ছেঁড়া কান্না চায়, ভালোবাসা। ভালোবাসাগুলো নীল রঙেতে সঙ্গী হয়। সাদা কালোর বুকে মাথা তুলে দেখে আকাশ৷ বড়ো একা এক, ওদেরই মতো। হ্যাঁ, এমনটাই হয় মন, সবটুকু যেন আবেগময় পরিবেশেচ্যুতি ফসলে পরিণত হয়। স্বাতের সবুজ উপত্যকা কি তবে নুড়ির জলতরঙ্গ!! নাকি বস্তাপচা নিয়মে বেজেছে ঘন্টা। অন্তঃস্বভাবটি ধরা পড়েছে কি প্রহরী সংলাপে!
মালালা আজও ভোলে নি, বেদনাঘন সেই দিনগুলি; অতীত তো সচেলতার দর্শন, পারবে তো সেই দিনই গুলি ফেরত দিতে! বন্ধু নেই, হারিয়েছে স্বজন। কিন্তু মায়ের শিক্ষা যে অমলিন৷ বুদ্ধ বলেছিলেন, "তোমার কারণে যেন কাউকে হত্যা না করা হয়। " মালালার মা বলতেন, পশুপাখি মারলে, আর তারা খেতে আসবে না। পেঁজা তুলোর সুখ যেমন সৌন্দর্যের আভরণ এই সান্ত্বনার বুক ছেড়ে আসতে হবে তাকে! সবুজ মোড়া স্বাতের বাস্তবতা যে, সহসা বিশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে। মেঘের দ্যুতিময় মায়াময়তা যে প্রেম। প্রেমে যে নির্বাসনও সুখ৷ জীবনকে নিবিড় করেই তো দোসরহীন স্বাতন্ত্র্য। লাবন্যছোঁয়া ঘটনাবৃত্তে আবার ফিরবে কিনা জানাই তো ছিল না, তবুও দুচোখ ভরে অন্তহীন ভবিষ্যতের মাত্রা।
এবার ছুঁয়ে আসা যাক "বুতকরা " ; হ্যাঁ, এখানেই তো পাওয়া গেছিল সেই প্রাচূর্যের বুদ্ধমূর্তি। আন্তর্জাতিক পুরাতত্ত্ববিদরা তো এইস্থানকেই তীর্থস্থান বলে গেছেন। ফুলে ফুলে ভরে থাকা স্থান ঘিরে যে ফুল ভালোবাসার, সে ফুলের তো ভিনদেশ থাকতে নেই। আচ্ছা! ইউসুফজাই কি কখনও তালিবানিদের ক্রোধে পড়েছে! মহিলারা তো স্বাত উপত্যকার বাইরেও যায়নি। "গুলকদা" কি সেদিন বিষন্ন অসুখে ভেবেছিল ভিজে যাবে ঐশ্বর্যে! আর যেদিন সত্য উদঘাটিত হলো, আলোর পথে বুদ্ধের মুখেও যেন সন্ন্যাসী পদ্ম পরিস্ফুটন৷ প্রেম যে সত্য, অবিনশ্বর ; রন্ধ্রে রন্ধ্রে এঁকে যায় স্বর্গরাজ্য ছবি, ভালোবাসার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours