তানজিন তিপিয়া, লেখক ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ:

কখনো হিন্দু সংকটে।
কখনো ইসলাম সংকটে। 
কখনো ইহুদি সংকটে।
এমনি বার্তা প্রচার করে বেড়ান রাজ নেতা নেত্রীরা কারণ তারা চান জনগণ কিছু একটি নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে উঠুক, বিভর হয়ে থাকুক তাদের প্রচারিত মিথ্যে ভয় নিয়ে। এই ফরমানের প্রেক্ষিতে ঘটে যায় অনেক যুদ্ধ, দাঙ্গা, হানাহানি যা চিরন্তর সত্য। পৃথিবীর মৃত্তিকায় ঝরে পরা শুকনো লৌহের ছাপ আজো আছে সাক্ষী হয়ে।
কিন্তু একদল লোক আঘাত হানে ধর্মের উপর দেখো তো, এই ধর্মপ্রাণগুলো কতো বীভৎস, এদের এই অন্ধত্বের  শিক্ষা দিয়েছে। এদের অন্ধত্বের কারণে শ্বাস নেয়া দুস্কর হয়ে পরেছে। 
অথচ আস্থার সাথে এর কোন সংযুক্ততাই নেই। স্রষ্টা কবে বললো যে, আমার চেয়ে বেশি তোমরা রাজ নেতাদের কথায় আস্থা রেখে মানুষ মার, যুদ্ধ কর, আমার নাম ধরে হত্যা কর? স্রষ্টাকে এমন দুর্বল ভাবলেনই বা কি করে? তাহলে নিশ্চিত আপনার আস্থায় কমতি রয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত আপনি আপনার রবের সান্নিধ্য অনুভব করতে ব্যাহত। 
রাজনীতি আর ধর্ম এক নয়, বিবেক খাটিয়ে বুঝতে হবে। পৃথিবীর প্রারম্ভ থেকেই ধর্ম ছিল শেষ পর্যন্ত থাকবে এতে ফোটা পরিমাণ সন্দেহ নেই।
ভাবতে হবে রাজনীতি সময় অসময়ে, কারণে অকারণে, প্রয়োজন অপ্রয়জেনে পাল্টায়। খুব সহজ উপায় হল আপনার সবচেয়ে দুর্বল শিরায় আঘাত হেনে। এটি রাজ নেতারা খুব খুব করে থাকেন।তাহলে বুঝুন তো 
করছে কে?
লড়ছে কে? 
ভুগছে কে?
আমাদের ভয় দেখিয়ে তারা হতে চান আমাদের রক্ষক অথচ আমাদের রক্ষক তো ক্ষোদ আমদের সৃষ্টিকর্তা, নভোমণ্ডলের মালিক আমাদের রব। বাস্তবে আমরাই এদের রক্ষা করছি। এদের দুষ্কর্মে পর্দা টানছি। আমাদের রক্ষা করার সেই সামর্থ্য তাদের কোথায়?  এই অসীম ক্ষমতা তাদের হাতে কে দিয়ে গেলো? মস্তিস্কে আনুন তারা আমাদের মতোই মানুষ, ঈশ্বরের প্রেরিত দেবতা নয়।
   
যতবার অধর্ম আমাদের ঘ্রাস করতে তৎপর হয়ে অগ্রসর হবে ঠিক ততবার ধর্ম এদের বশ করতে সক্ষম হবে। লক্ষ লক্ষ বার্তাবাহকেরা প্রেরিত হয়েছে এই গ্রহে। তাই আমরা হই বা না হই ধর্ম নিজ প্রতিরক্ষায় সক্ষম।
রাজনীতিবিদের নিজ সেবকের নজরেই দেখুন। তাদের গতিবিধিতে চোখ রাখুন।  সেবা দানে আসলেই উনারা কতোটুকু নিয়োজিত। ঘোষণাপত্রে প্রকাশিত কাজগুলো আদৌ কতো দূর এগুলো। সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব বুঝে, ভালো নেতাদের ভালো উদ্যোগে সহযোগিতা করবার মাধ্যমে জনগণের সেবায় নিমজ্জিত থাকাটিও প্রার্থনারই এক বিশেষ অংশ। ঘুমের ঘোরে হুট করে জেগে চিৎকার করার আগের ভাবুন চিৎকারটা কেন দিলেন? আগে জাগ্রত হন তারপর সুযোগ বুঝে, আর না হয় বাকযন্ত্রে অযথা চাপ প্রয়োগ করার কোন মানে নেই।
ভূখণ্ডে যত ধর্ম এসেছে সবকটি মানবতার স্বার্থে। মস্তিকের অধিকারী মনুষ্যকে  আস্থা এমন এক মনস্তাত্ত্বিক শক্তি প্রদান করে যে, আপনি এই পৃথিবীতে বেঁচে যাওয়া একদম একা একজন হলেও দিন কাটিয়ে টিকে থাকা শতভাগ সম্ভব কারণ যেখানে জীবন, গল্পকাহিনী, সাহিত্য হার মানে সেখানেই ধর্মের পথ আরম্ভ হয়। 
আজ আশপাশ রক্তে রঞ্জিত  ধর্মের অভাবে। মানবের অন্তরে আজ ধর্ম নেই আছে ক্ষমতার লোভ, ঘৃণা, হিংসা, কপটতা। যেন পবিত্র রূহের হৃদয়য়ে খুটে খুটে আস্থাকে ধ্বংস করে তাতে কীট পুতে দেয়া হয়েছে। এই বিষাক্ত কীট পরজীবীর ন্যায় আশ্রয় নিয়ে আপনার পাশের জনটিকেও প্রভাবিত করছে ধীরে সুস্থে। কেবল ধর্মই পারে আমাদের মানবতা শেখাতে। ধর্মই পরার্থে আত্ম ত্যাগ। এটিও মিথ্যে নয় যে বর্তমান রাজ নেতারা ধর্মেই সংজ্ঞা পাল্টে নিজের মতো সংজ্ঞা গড়ছে। তবে সব দোষ উনাদের চাপিয়ে দিলেও চলছে না, দায়ভার কিন্তু আমাদেরও সমান। আমরা চোখ মেলে উনাদের সব কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেছি, করছি যা আজো ব্যতিক্রম নয়।  তারা মানুষকে প্রভাবিত করছে আস্থার নামে এই বলে, আমরা না হলে ধর্ম থাকবে না, তোমরাও থাকবে না। নিজ স্বার্থে হয়তো উনারা মানতে নারাজ, পৃথিবী আরম্ভ হয় ধর্ম নিয়েই আর সমাপ্তি ঘটবে ধর্মের জয়জয়কার  গেয়েই, মৃত্যু আসবেই, পালিয়ে অন্য গ্রহে যাবার কোন অবকাশ নেই।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours