শ্বেতা ঘোষ, ফিচার রাইটার, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা:

আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণের অ্যাম্বিয়েন্স যেন এক ভাবগম্ভীর পরিস্থিতির জন্য তৈরিই ছিল। হ্যাঁ ওই তো আগুনের ছোঁয়ায় প্রজ্জ্বলিত হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শীতের জড়তা কাটিয়ে সুচিত হয়ে গেল 'জেনটেক ২কে২০' টেকনো ফেস্ট। দুর্গাপুরের 'ডাঃ বি সি রায় কলেজ অফ ফার্মাসি এন্ড এএইচএস' আয়োজিত এই টেকনো ফেস্ট অবশ্য সারা বাংলায় ইতিমধ্যেই ধারে ও ভারে নজীর সৃষ্টি করে চলেছে বিগত বেশ কিছু বছর যাবৎ। বৃহস্পতিবারও উৎসবমুখী হবে এই কলেজ প্রাঙ্গনের প্রতিটি অঙ্গনে।
আয়োজক কলেজের অন্যতম কর্ণধার তরুণ ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান সুচনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বাগত ভাষণে তিনি বলেন, 'ডাঃ বি সি রায় কলেজ অফ ফার্মাসি এন্ড এএইচএসের ছাত্রছাত্রীরা হলো আমাদের সম্পদ। আমি আশাবাদী আমাদের পড়ুয়ারা নিজেরা সফল হবে আর তাদের আগামী গবেষণা লব্ধ কাজে দেশ সার্বিক ভাবে উপকৃত হবে। এই টেকনো ফেস্ট অবশ্যই একটা মাধ্যম যার মধ্যে দিয়ে আমাদের কলেজে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে।' তবে এই অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্যের একান্ত কারিগর এই আয়োজক কলেজের প্রিন্সিপাল শুভব্রত রায় জানান, কলেজের এই টেকনো ফেস্ট ঘিরে পড়ুয়া থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ সবার মধ্যেই এক বিশেষ উদ্দীপনা লক্ষ্য করেছি। বলা যেতেই পারে একটা গোটা টিমওয়ার্ক জেনটেক ২কে২০ বাস্তবায়িত হওয়ার পিছনে কাজ করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়েস্ট বেঙ্গল ড্রাগ কন্ট্রোলের ডেপুটি ডিরেক্টর দেবব্রত ঘোষ উপস্থিত থেকে বলেন, 'ড্রাগ কন্ট্রোলের নানা দিক সম্প্রতি প্রভূত উন্নতি করেছে। দিনের পর দিন ড্রাগ কন্ট্রোলের জেনারেশন পাল্টাচ্ছে। আজকের ছাত্র ছাত্রীদের এই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হবে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে। তবেই সাফল্য পাবে এহেন উদ্যোগের।'
এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ডাঃ বি সি রায় কলেজ অফ ফার্মাসি এন্ড এএইচএসের দুই পদস্থ কর্তা অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিতাভ ঘোষ। তাঁরাও অনুষ্ঠান সুচনার লগ্নে ভাষণ দেন। তাঁরা বলেন, '২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর আমাদের এই কলেজে এইরকম বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবার আমাদের এই বার্ষিক অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে জেনটেক ২কে২০।পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আমাদের এই কলেজ সুনামের বিচারে এক একক মাইলস্টোন। ভারতের প্রায় প্রতিটি স্হানে আমাদের পড়ুয়ারা বর্তমানে সুপ্রতিষ্ঠিত। এমনকি বিদেশেও আমাদের ছাত্র ছাত্রীরা যথেষ্ট সফল।'
এই টেকনো ফেস্টকে কেন্দ্র করে কলেজে দুই দিন ব্যাপী চলবে ওরাল প্রেজেন্টেশন, ডিবেট, রঙ্গোলী, পেন্টিং, ক্যুইজ, ফটোগ্রাফি, বিজনেস ইভেন্ট, সায়েন্টিফিক মডেল প্রেজেন্টেশন সহ নানাবিধ অনুষ্ঠানের পসরা। কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা এইসব আঙ্গিকে অংশগ্রহণ করেছে উৎসাহ সহযোগে। সায়েন্টিফিক মডেল প্রেজেন্টেশন ইভেন্টে যোগ দেয় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। বাস্তবিক অর্থে তাদের চোখে মুখে রয়েছে এক আনন্দোচ্ছ্বল আবেগের চিহ্ন। তাদের কেউ কেউ ফার্মাসিউটিক্যালের দ্রব্য দিয়ে বানিয়ে ফেলেছে অবাক করা বিচিত্র সব মডেল। ওইসব পড়ুয়াদের মধ্যে কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন দে, সিঞ্চনী চৌধুরী ও সোমনাথ মন্ডল সমস্বরে বলেন, 'এই কলেজ আমাদের গর্ব। এই টেকনো ফেস্ট আমাদের সারা বছরের আন্তরিক অপেক্ষা। এখানকার অধ্যায়নেয় মান আমাদের অহংকার। আমরা এই কলেজের ছাত্র ছাত্রী এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। আমরা এই টেকনো ফেস্টে অংশ নিয়ে মডেল তৈরি করেছি এটা এক কথায় আমাদের স্বপ্নপূরণ।'

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours