ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

কাশীর  টুলো  পন্ডিতকুল  প্রথমে  হটীর  বিরূদ্ধে  দরবার  করেছিলেন  বিদ্যার্ণবের  কাছে! বলেছিলেন," কাশীর  পন্ডিত  সমাজ  এ জাতীয়  অনাচার  বরদাস্ত  করবে  না!
      দ্বারকেশ্বর  ধৈর্য্যধরে  ওঁদের  বক্তব্য২ শুনে  বললেন,"এটাকে  অনাচার  বলার  কারণ?"
     তাঁরা  বললেন," কাশীতে  এযাবৎ  কোন  স্ত্রীলোক  চকুষ্পাঠী  পরিচালনা  করে  নি!"
- " তাতে  কি  হয়েছে? যা  হয়নি  তা  কখনো  হবে  না এ কেমন  যুক্তি? দশম  অবতার  এলে  তোমরা  কি  তাকে  ফিরিয়ে  দিতে  পারবে?" বললেন  বিদ্যর্ণব!
         কাশীর  পন্ডিতরা  যুক্তি  দিলেন, স্ত্রীলোকের  ভিন্ন  প্রকার  তার  বেদ  পাঠের  অধিকার  নাই!
বিদ্যার্ণব  সরাসরি  এ  যুক্তি  খারিজ  করে  দেন!
       কাশীর  পন্ডিতকুল, কিছুটা  বিরক্ত  হয়েই  প্রশ্ন  করেন," শূদ্র ও স্ত্রীলোকের  বেদ  পাঠের  অধিকার  নেই - এই  ধ্রুবসত্যকে  আপনি  স্বীকার  করেন  না?"
          বিদ্যার্ণব  বললেন," আমার  একার  মতে  কিছু  হবে  না! তোমরা  বরং  একটি  বিচারসভার  আয়োজন  কর! স্ত্রীজাতির  বেদধ্যায়ন  ও বেদাধ্যাপনার  অধিকার  ব্রাক্ষ্মন্যধর্মে  স্বীকৃত  কি না, সেটাই  হবে  বিচার্য  বিষয়!তোমাদের মধ্য  থেকে  পাঁচজন  প্রতিনিধি  নির্বাচন  কর! তাঁরা  তর্কযুদ্ধে  আমার  পালিতা  কন্যটিকে  পরাস্ত  করুক! তারপর  কাশীর  পন্ডিত সমাজ  যথাকর্তব্য  করবেন!
     পন্ডিতরা  সানন্দে  স্বীকৃত  হলেন! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours