শুভ্রা গুপ্ত, ফিচার রাইটার ও আইনজীবী, বারাসাত, কলকাতা:
আজ থেকে প্রায় সাতাশ আঠাশ বছর আগে, তখন আমি ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি। দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুল, বিখ্যাত রবীন্দ্র সরোবর এর পাশে। আমি আর আমার সহপাঠী বন্ধু কখনও কখনও দুষ্টুমি করে বাড়ি ফেরার সময় স্কুল বাসে না ফিরে হেঁটে বাড়ি ফিরতাম। উদ্দেশ্য ও ঔৎসুক্য ছিল লেকের পাশের রাস্তা ও বিভিন্ন পার্কের কিছু নিষিদ্ধ কাজকর্ম দেখা।
তেমনই একদিন ফেরার পথে হঠাৎ আওয়াজ কানে এলো, সমস্বরে বলছে সবাই, " হা হা, হো হো, হি হি, হে হে " ক্রমান্বয়ে বারবার। আমাদের কৌতূহল বাড়লো, কিন্তু উচ্চতা কম হওয়ায় পাঁচিল ডিঙিয়ে দেখার উপায় নেই। অগত্যা ইঁটের ফাঁক দিয়ে একবার আমি ও আমার বন্ধু উঁকি দিলাম। দেখলাম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ এর সাথে সাথে অদ্ভুতভাবে এই "হা হা হি হি হো হো হে হে " আওয়াজ করে হাসছেন ব্যায়ামরত বেশ কিছু মানুষ।
যদিও এটা নিষিদ্ধ কিছু নয়। এই দেখে আমাদের দুজনের হাসি আর থামে না। আমরা আলোচনা করলাম যে, এনারা আমাদের কাছ থেকে কেন হাসতে শেখেন না!! হাসার জন্য আলাদা কোর্স করার বিষয়টি বড়ই অদ্ভুত ঠেকতো তখন। ছাত্রাবস্থায় হাসি কোনো বিষয় বলেই মনে হয় না, কোনো কারণ ছাড়াই হাসা যায়।
তখন কেউ আমরা ভাবিনি, বড় হয়ে গেলে হাসতে গেলেও ভাবতে হয়। একান্নবর্তী পরিবারে যখন তখন হাসির কলরোল হলেও, নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির একাকিত্ব হাসি ভুলিয়ে দেয় বেজায়।
একসময়ের মুক্ত সাবলীল ভাবনা বর্তমান পরিস্থিতির চাপ, ফ্ল্যাট কালচার, অতিরিক্ত আঁতেল সফিসটিকেসি, লোক দেখানো গাম্ভীর্য, অর্থ ও প্রতিপত্তির অহংকার এবং আত্মগরিমা আমাদের যখন তখন হাসতে ভুলিয়ে দিয়েছে।
ভুলিয়ে দিয়েছে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা। অথচ ডাক্তারদের সমীক্ষা বলছে, হাসলে ভালো থাকে হৃদয়, শরীর ও মন। তাই প্রাণখুলে হাসুন। কিন্তু এই যান্ত্রিক ও কম্পিটিটিভ সময়ে হাসবে কে, কার সাথে?
তাই হাসিও এখন পয়সা দিয়ে কিনতে হয় নিজের হার্ট ভালো রাখতে। এভাবে চললে মানুষের আয়ু কত তে গিয়ে দাঁড়াবে কে জানে!
তাই সময় থাকতে নিজেদের বদলান, একটু স্মাইল দিয়েই দেখুন না সারাদিনে কত মিলিয়ন আনন্দ আপনার ঝুলিতে এসে পড়ে। হাসুন শিশুর সারল্যে, হাসুন সূর্যমুখীর মতো।
আজ থেকে প্রায় সাতাশ আঠাশ বছর আগে, তখন আমি ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি। দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুল, বিখ্যাত রবীন্দ্র সরোবর এর পাশে। আমি আর আমার সহপাঠী বন্ধু কখনও কখনও দুষ্টুমি করে বাড়ি ফেরার সময় স্কুল বাসে না ফিরে হেঁটে বাড়ি ফিরতাম। উদ্দেশ্য ও ঔৎসুক্য ছিল লেকের পাশের রাস্তা ও বিভিন্ন পার্কের কিছু নিষিদ্ধ কাজকর্ম দেখা।
তেমনই একদিন ফেরার পথে হঠাৎ আওয়াজ কানে এলো, সমস্বরে বলছে সবাই, " হা হা, হো হো, হি হি, হে হে " ক্রমান্বয়ে বারবার। আমাদের কৌতূহল বাড়লো, কিন্তু উচ্চতা কম হওয়ায় পাঁচিল ডিঙিয়ে দেখার উপায় নেই। অগত্যা ইঁটের ফাঁক দিয়ে একবার আমি ও আমার বন্ধু উঁকি দিলাম। দেখলাম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ এর সাথে সাথে অদ্ভুতভাবে এই "হা হা হি হি হো হো হে হে " আওয়াজ করে হাসছেন ব্যায়ামরত বেশ কিছু মানুষ।
যদিও এটা নিষিদ্ধ কিছু নয়। এই দেখে আমাদের দুজনের হাসি আর থামে না। আমরা আলোচনা করলাম যে, এনারা আমাদের কাছ থেকে কেন হাসতে শেখেন না!! হাসার জন্য আলাদা কোর্স করার বিষয়টি বড়ই অদ্ভুত ঠেকতো তখন। ছাত্রাবস্থায় হাসি কোনো বিষয় বলেই মনে হয় না, কোনো কারণ ছাড়াই হাসা যায়।
তখন কেউ আমরা ভাবিনি, বড় হয়ে গেলে হাসতে গেলেও ভাবতে হয়। একান্নবর্তী পরিবারে যখন তখন হাসির কলরোল হলেও, নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির একাকিত্ব হাসি ভুলিয়ে দেয় বেজায়।
একসময়ের মুক্ত সাবলীল ভাবনা বর্তমান পরিস্থিতির চাপ, ফ্ল্যাট কালচার, অতিরিক্ত আঁতেল সফিসটিকেসি, লোক দেখানো গাম্ভীর্য, অর্থ ও প্রতিপত্তির অহংকার এবং আত্মগরিমা আমাদের যখন তখন হাসতে ভুলিয়ে দিয়েছে।
ভুলিয়ে দিয়েছে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা। অথচ ডাক্তারদের সমীক্ষা বলছে, হাসলে ভালো থাকে হৃদয়, শরীর ও মন। তাই প্রাণখুলে হাসুন। কিন্তু এই যান্ত্রিক ও কম্পিটিটিভ সময়ে হাসবে কে, কার সাথে?
তাই হাসিও এখন পয়সা দিয়ে কিনতে হয় নিজের হার্ট ভালো রাখতে। এভাবে চললে মানুষের আয়ু কত তে গিয়ে দাঁড়াবে কে জানে!
তাই সময় থাকতে নিজেদের বদলান, একটু স্মাইল দিয়েই দেখুন না সারাদিনে কত মিলিয়ন আনন্দ আপনার ঝুলিতে এসে পড়ে। হাসুন শিশুর সারল্যে, হাসুন সূর্যমুখীর মতো।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours