ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
সময়টা ১৭৭৪ খ্রীষ্টাব্দ,কাশী-নরেশ বলবন্ত সিংহ লোকান্তরিত হওয়ায় তাঁর নাবালক পুত্র কৃষ্নেন্দু নারায়নের পক্ষে প্রয়াত কাশী নরেশের ভাগ্নে পুরন্দর ক্ষেত্রী রাজকার্য পরিচালনা করছেন!তিনি চেষ্টা করেছিলেন কাশীনরেশের স্হলাভিসিক্ত হ'তে কিন্তু প্রজাদের প্রবল চাপে তাঁর স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে! প্রজারা তাঁকে সিংহাসনে নিরঙ্কুশ অধিকার দেয় নি! ভোগ বিলাস, বৈভব সব কিছু পেয়েও তাঁর মনে শান্তি নেই! মনে মনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, যতদিন না তিনি সিংহাসনে বসার নিরঙ্কুশ অধিকার পাচ্ছেন! ততদিন তিনি বিবাহ করবেন না! তাবলে নারীসঙ্গ থেকে বিরত হন নি! নিত্য নতুন শয্যাসঙ্গিনীর ব্যবস্হা আছে!
তিনি তাঁর অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে রাজ পরিবারের পুরাতন কর্মী ও সেনানীদের হয় হত্যা করেছেন নয় বিতাড়িত করেছেন! তাদের স্হলে নিজের বিশ্বস্হ অনুগতদের নিয়োগ করেছেন! সামান্য প্রজা বিদ্রোহ হয়েছিল সেটা তিনি দমন করে এলাহবাদে গিয়েছিলেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নব নির্মিত সেনা ছাউনিতে! রাজা হওয়ার জন্য কোম্পানীর অনুমোদন নিতে!ক্লাইভের পরিবর্তে এলাহবাদের সেনা ছাউনির দ্বায়িত্বে মেজর কিলপ্যাট্রিক! তাঁকে পাকড়াও করে পুরন্দর কাশীর সিংহাসনটা পাকাপাকি হাতাতে চেষ্টা করেছিল! কিলপ্যাট্রিক প্রথমে মোটা টাকা ঘুষের বিনিময়ে রাজী হলেও পরে সরে আসতে বিধাতার হয় কারন ইংলন্ড থেকে কাউন্সিলারদের কাছে হুকুম এসেছে কোন কাউন্সিলার ' এদেশের রাজা, নবাব, বাদসা, আমীর ওমরাহ বা জমিদারদের নিকট চার হাজার টাকার বেশী দামের উপহার, জমি জিরেত,জায়গির, বা খাজনা জমা নিতে পারবেন না!'শুনে পুরন্দর বলেছিল " তাহলে উপায়?"
মেজর কিলপ্যাট্রিক হেসে বলেছিল," যেমন রাজত্ব করছেন করুন! মাথায় মুকুটটা নাইবা থাকলো?"
পুরন্দর বিমর্ষ হয়ে কিলপ্যাট্রিককে বলেছিল," না না মুকুট আমার চাই-ই! যদি প্রতি মাসে তিন হাজার ন'শ নিরানব্বুই টাকা করে দিই , তাহলে কত বছর পরে তুমি আমাকে পুর্ন রাজার মর্য্যাদা দিতে পারবে?
কিলপ্যাট্রিক শুধু বলেছিল," সেটা পরে ভাবা যাবে! এখন তুমি প্রতি মাসে টাকাটা পাঠাও!"
ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল পুরন্দর! (চলবে)
সময়টা ১৭৭৪ খ্রীষ্টাব্দ,কাশী-নরেশ বলবন্ত সিংহ লোকান্তরিত হওয়ায় তাঁর নাবালক পুত্র কৃষ্নেন্দু নারায়নের পক্ষে প্রয়াত কাশী নরেশের ভাগ্নে পুরন্দর ক্ষেত্রী রাজকার্য পরিচালনা করছেন!তিনি চেষ্টা করেছিলেন কাশীনরেশের স্হলাভিসিক্ত হ'তে কিন্তু প্রজাদের প্রবল চাপে তাঁর স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে! প্রজারা তাঁকে সিংহাসনে নিরঙ্কুশ অধিকার দেয় নি! ভোগ বিলাস, বৈভব সব কিছু পেয়েও তাঁর মনে শান্তি নেই! মনে মনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, যতদিন না তিনি সিংহাসনে বসার নিরঙ্কুশ অধিকার পাচ্ছেন! ততদিন তিনি বিবাহ করবেন না! তাবলে নারীসঙ্গ থেকে বিরত হন নি! নিত্য নতুন শয্যাসঙ্গিনীর ব্যবস্হা আছে!
তিনি তাঁর অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে রাজ পরিবারের পুরাতন কর্মী ও সেনানীদের হয় হত্যা করেছেন নয় বিতাড়িত করেছেন! তাদের স্হলে নিজের বিশ্বস্হ অনুগতদের নিয়োগ করেছেন! সামান্য প্রজা বিদ্রোহ হয়েছিল সেটা তিনি দমন করে এলাহবাদে গিয়েছিলেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নব নির্মিত সেনা ছাউনিতে! রাজা হওয়ার জন্য কোম্পানীর অনুমোদন নিতে!ক্লাইভের পরিবর্তে এলাহবাদের সেনা ছাউনির দ্বায়িত্বে মেজর কিলপ্যাট্রিক! তাঁকে পাকড়াও করে পুরন্দর কাশীর সিংহাসনটা পাকাপাকি হাতাতে চেষ্টা করেছিল! কিলপ্যাট্রিক প্রথমে মোটা টাকা ঘুষের বিনিময়ে রাজী হলেও পরে সরে আসতে বিধাতার হয় কারন ইংলন্ড থেকে কাউন্সিলারদের কাছে হুকুম এসেছে কোন কাউন্সিলার ' এদেশের রাজা, নবাব, বাদসা, আমীর ওমরাহ বা জমিদারদের নিকট চার হাজার টাকার বেশী দামের উপহার, জমি জিরেত,জায়গির, বা খাজনা জমা নিতে পারবেন না!'শুনে পুরন্দর বলেছিল " তাহলে উপায়?"
মেজর কিলপ্যাট্রিক হেসে বলেছিল," যেমন রাজত্ব করছেন করুন! মাথায় মুকুটটা নাইবা থাকলো?"
পুরন্দর বিমর্ষ হয়ে কিলপ্যাট্রিককে বলেছিল," না না মুকুট আমার চাই-ই! যদি প্রতি মাসে তিন হাজার ন'শ নিরানব্বুই টাকা করে দিই , তাহলে কত বছর পরে তুমি আমাকে পুর্ন রাজার মর্য্যাদা দিতে পারবে?
কিলপ্যাট্রিক শুধু বলেছিল," সেটা পরে ভাবা যাবে! এখন তুমি প্রতি মাসে টাকাটা পাঠাও!"
ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল পুরন্দর! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours