সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

 আজ আর এক আশ্চর্য্য ঘটনার কথা শোনতে চাই। আশাকরি আশ্চর্যকর ঘটনা আমাদের সকলেরই প্রিয়।
ভাস্কর শিল্পের অন্যতম আকর্ষণ ও সৃষ্টি হচ্ছে মুর্তি শিল্প। মূর্তির সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ আর সুন্দর সেই মুর্তি মানুষ তাঁর ঘরের বা তাঁর জীবনের সৌন্দর্য্য বাড়াতে আবার রাস্তার মোড়ে কিম্বা পার্কে তথা সমাজের বিভিন্ন স্থানে মুর্তি স্থাপন একটা ট্রেডিশন।
কিন্তু হটাৎ এই পাথরের মূর্তি নিয়ে পড়লাম কেন? আসল সেদিন বন্ধুদের নিয়ে অফিসে কথা বলতে বলতে এই মূর্তির প্রসঙ্গ উঠে এলো অদ্ভুত এক গ্রাম্য বৃদ্ধ মূর্তির সামনে আমার বন্ধুর অনেক্ষন ধরে রাস্তা জানার জন্য জিগ্গেস করতে থাকার পর উত্তর এলো কাকে জিগ্গেস করছেন ওটা তো মুর্তি গো বাবু। হতবাক বন্ধু মনে মনে লজ্জিত হলেও এখন যে কথাটা জানবেন তাতে আশ্চর্য্য তো হবেনই সাথে ভয় হতেও পারে। 
আচ্ছা এই মুর্তিই যদি মানুষের মতো আচরণ করে আপনার সামনে রাতের অন্ধকারে?  ভয় পাবেন না হতেই পারেনা।  কিন্তু একটু মুচকি হাসলেন আর মনে মনে ভাবছেন যত সব বুজরুকি, এ আবার হয় নাকি?
২৮শে জুন,১৯৭৩ এই ঘটনার সাক্ষী আগনেস সাসাগাওয়া জাপানের আকিটা শহরে। ঐ শহরের বহু বছর খ্রিষ্টান ধর্মের জন্য কুমারী মেরির মুর্তি তৈরী করেছিল। সেদিন সে ঐ মূর্তির পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে তিনি দেখলেন মূর্তির বাঁ হাত নড়ছে। প্রথম টা বিশ্বাস করতে পারেননি কিন্তু দ্বিতীয় বার আবার তাকালেন আবারো সেই বাঁ হাত নড়ছে,  অদ্ভুত এই ঘটনা তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেললো। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে আগনেস দ্রুত চলে গেলেও ঐ প্রভাব তাকে অসুস্থ্য করে তুলল। তবুও মন থেকে মেনে নিতে পারেনি এই ঘটনা সত্যি না মনের ভুল?
তাই কৌতুহল তাঁর পিছু ছাড়ছিলো না। আবারও মনস্থির করলেন এবং গেলেন সেই মুর্তির সামনে আর দেখলেন নতুন আর এক দৃশ্য, এবার ডান হাত নড়ছে না একটা ক্ষত আর সেখান থেকে ঝরছে রক্ত। অবাক হলেন আবার গেলেন ঐ বছর ২৯শে সেপ্টেম্বর, এবার কোন হাত নয় মুর্তির গলার সামনে অনবরত জলবিন্দু ঝরছে।
আপনি হয়ত ভাবছেন এটা কি ভূতের গল্প? ইতিহাস তার সাক্ষী কারন এই গল্প শেষ নয়  ৪ঠা জানুয়ারী ১৯৭৫ প্রায় দু বছর পর ঘটলো আর এক বিষ্ময়কর ঘটনা ঐ পাথরের মুর্তি মানুষের মত কাঁদছে তাও প্রায় ৭বছর ধরে ১০১টি  বিভিন্ন উৎসবে।
এই ঘটনা আর শুধু ঘটনা হিসাবে থাকলো না আকিটা বিশ্ববিদ্যলয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক সাগিমাকা ঐ অলৌকিক মুর্তির গবেষণা শুরু করলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর দেখা যায় ঐ পাথরের মূর্তিটি রক্ত মাংসের। কোন এক অলৌকিক বা ঐশ্বরিক আশ্চর্য্য যা গরমে ঘাম ঝরে আর যে রক্তের নমুনা পাওয়া যায় তাও তিনটি বি, এবি আর ও গ্রুপের।
এই তথ্য প্রকাশিত হবার পর সাড়া বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছে। আজও সেই ঘটনা জাপানের লোক মুখে ঘুরে ফিরে আসে। এমন কতই অজানা রহস্য আছে পৃথিবীতে হয়ত তার সামান্য কিছু আমরা জানতে পারি। হলফ করে বলছি ভালো লেগেছে এই অজানা কথা। আবারও কোন বিষয় নিয়ে ফিরবো অপেক্ষায় থাকবেন তো?

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours