ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
হটী স্তম্ভিত ! দু'চোখ তার অশ্রুতে ভরে গেল! কিছুক্ষন চোখবুজে ধ্যানস্হ রইলো! তারপর হঠাৎ হুঙ্কার দিয়ে লাফিয়ে উঠে, প্রচন্ড বেগে মাথা দোলাতে থাকে! তার চুলগুলি চামরের মতো দুলতে থাকে!রিকমিনী বুঝতে পারে হটার 'ভর ' এসেছে!সেও উঠে দাঁড়ায়! হটী মাথা ঝাঁকানো বন্ধ করে উচ্চস্বরে একটা সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারন করে! তারপর বলে " উহ মুরখকো বোলাও!"
রুকমিনী ভয় পেয়ে বলে," কৌন মুরখ?"
হটী চিৎকার করে বলে," তেরে সর্দার কো! তুরন্ত!"
সোরগোল শুনে সর্দার সহ সবাই ছুটে এসেছে! হটী কালিকাপুরান থেকে কয়েকটা শ্লোক উচ্চারন করে! সর্দারও কেমন যেন বিহ্বল হয়ে পড়ে হটীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে জোড় হাত করে বলে,"তু ক্যায়া মাংতি রে মা?"
হটী নৌকার পাটাতনে আছাড়ি পিছাড়ি খায় আর মুখ ঘষতে থাকে!কিছুক্ষন পর স্বাভাবিক হয়ে!আধা হিন্দি আধা বাংলায় বলে , "সর্দার,আমি ডাকিনীবিদ্যা সিদ্ধা!তোর ছাওয়ালটাকে যে পিশাচ কজ্বা করেছে তাকে তাড়ানোর মন্ত্র আমি জানি! তাকে আমি এখনই তাড়াতে পারি! তুই আমাকে রতনের কাছে নিয়ে চল!"
সর্দার তৎক্ষনাৎ হটীকে শয্যাশায়ী রতনের কক্ষে নিয়ে গেল!!
হটী কয়েকটা সামগ্রী চাইলো, একটি পান পাতা,এক থান সিঁদুর,সরিষার তেল , গঙ্গাজল,গঙ্গামাটি ও সামান্য আতপ চাল!
এরপর পানপাতায় সিঁদুর, আতপ চাল এ গঙ্গাজল মিশিয়ে রতনের চার পাশে মন্ত্রোচারনের সাথে ছিটিয়ে দিল! রুকমিনীর দিকে তাকিয়ে বলল, "সমঝি ম্যয় কেয়া করতি?" " না" সূচক ঘাড় নাড়ে রুকমিনী!
হটী বলে," দেহ বন্ধন, অব কোই বদমাস পিশাচ রতনকো ছুঁ নেহি সকেগা!"
এরপর রতনের মাথার কাছে বসে তার নাড়ী দেখল! এরপর জানতে চাইলো তাকে যখন অপহরন করা হয় তখন তার কাছে যে পুঁটলিটা ছিল সেটা কোথায়? সর্দারের আদেশে একজন সেই পুঁটলিটা এনে দিলে হটী তার মধ্য থেকে কয়েকটি ঔষধি বটিকা বের করে খল - নুড়ি দ্বারা পেষন করে রতনের মুখ জোর করে উন্মুক্ত করে তার জিভে সেই ঔষুধ লেপে দিল! কিছুক্ষন পর রতন চোখ খুলল! দৃষ্টি ঘোলাটে, কারোকে চিনতে পরছে না! তার মুখ ফাঁক করে একটু গঙ্গাজল ঢেলে দিল!জিভ ঠান্ডা হল!তারপর তার কন্ঠনালীতে জল দিতে থাকে বেশীর ভাগ বেরিয়ে গেলেও কিছুটা গলায় প্রবেশ করে!পুনরায় একদাগ ঔষুধ দেওয়া হয়!
আবার রতন চোখ মেলল, এবার দৃষ্টি স্বচ্ছ! হটী তার মুখের কাছে ঝুঁকে জিজ্ঞাসা করল,"রতন,মুঝে পহচান্তে ?"
রতন হেসে অষ্ফুট স্বরে বলে," মৌসি!"
হটী তাকে বুকে জড়িয়ে বলে," ডরো মাৎ বেটা! আরামসে নিঁদ যাও!"
এবার উঠে সর্দারকে বলে," ডরো মাৎ অব নাও ছোড় !কাশীধাম চলো শিউজীকে পাশ!"
রুকমিনীকে নির্দেশ দেয়," রতনকো কুছ সময় অন্তর পানি পিলাও, ওসকা শরীরমে পানি কম হো গয়া!"
রুকমিনী জানতে চায়," খানেকে বারেমে ক্যা দু?"
হটী নির্দেশ দেয়," পহেলে নিম্বুপানী, উসকে পিছে ডাব-পানি, উসকে বাদ দুধ১ পিলানা! খায়ের যবতক ম্যায় হুকুম নেহি দেতি তবতক মৎ পিলানা
কিছুক্ষন আগেও যে ছিল বন্দিনী এখন সেই পরিত্রাতা! মাথা উঁচু করেই সে ফিরে যাচ্ছে তার বন্দি- কুটুরিতে পিছে জোড় হাত করে সর্দার আর তার রক্ষিতা! হটী ফিরে বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করে,"অব কেয়া মাংতা?"
এরপর যা ঘটল স্তম্ভিত হয়ে গেল হটী! তার সামনে অসুরাকৃতির সর্দার নতজানু হয়ে
পরিস্কার রাঢ় বাংলার ভাষায় বলল," তোরে মুই পেরথম চিনতে লারছি মা ঠাইরুন! আমার ভরম হই গেল! এ্যাই বুড়ো ছামড়াটারে মাফ করি দে মা- ঠাকরুন!"
"তুমি বাঙালী ?" অবাক হয়ে প্রশ্ন করে হটী!
" হ্যাঁ রে মা মুই বাঙালী" মাথার পাগড়ীটা খুলে অশ্রুসজল চোখে বলে " বহুরোজ দ্যাশের ভাষা কই নাই তাই ভুইল্যা গেছি!গাঁয়ের মানুষ জানে, মুই দামোদরে ডুইবা মরছি!"
হটী আরো অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে," দামোদরের ধারে তোমার ভিটে ছিল? গ্রামের নাম কি?"
সর্দার বলে," গাঁয়ের নামটো বললে তুই কি বুঝতে পারবি? মোর গাঁয়ের নাম ছিল সোঁয়াই!"
হটীর সমস্ত দেহ এক অভুতপুর্ব রোমাঞ্চে রোমাঞ্চিত হয়ে থরথর করে কেঁপে উঠল ! নিজেকে সামলে নিয়ে হটী সর্দারকে শুধায়," তোমার গাঁয়ের এক বামুনের নাম শুনেছো? ধন্বন্তরি কবিরাজ একবগ্বা ঠাকুর? চিনতে তাঁকে?"
এবার অবাক হবার পালা দস্যু সর্দারের," হ্যাঁ রে সে তো আমাদের দেবতা ছিল !"
"তুমি জানো তিনি কিভাবে মারা গেছেন?"-বলে হটী!
" হ শুনছি বেষ্টা বায়েনের ছামড়াটারে বাঁচাইতে গিয়ে সাপের বিষে সগ্যে গেছেন! তা তু এসবকুথা জানলি কি করে মা?"
" সে বামুনের একটি মেয়ে ছিল তোমার মনে পড়ে?" হটি জানতে চায়!
সর্দার বলে ওঠে," হ্যাঁ মনে পড়ে, তারে পুড়ায়ে মারতে চেয়েছিল তিজলহাটীর হারামজাদা বামুনরা..."
" যার মাথা থেকে শামলাটা তীরবিদ্ধ করে তুমি পথের ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছিলে?"
স্তম্ভিত সর্দার এখন বজ্রাহত! হটী,বলে চলে," কি হ'ল?মনে পড়ছে না? তর খুড়া তোরে বুইল্যে ওই শামলাটো ভুঁয়ে নামায়ে দে বাবা ঈশেন! তয় খুব হুঁশিয়ার ! চক্ষুরত্ন দুটি
যেন বাঁইচা যায়!,মনে পড়ে?"
দস্যু সর্দার ঈশেন বাগদী লুটিয়ে পড়ে,মা ভবানীর চরনতলে !
রুপেন্দ্র তার কন্যাকে একটা কথা বলতেন,'সত্য সর্বদাই শিব ও সুন্দরের সাথে সংপৃক্ত ' তথ্য ততক্ষনই সত্য যতক্ষন সে সত্য- শিব- সুন্দরের দিশারী! তাই তিনি অনায়াসেই গ্রাম্য গুনিনদের মা মনসার স্বপ্নাদেশের কথা!সর্প দংশনের বাঁধন দেওয়ার কায়দা শিখিয়ে দিতেন!
হটীও তার উপস্হিতবুদ্ধিতে বুঝে নিয়েছিল - কিভাবে এই প্রতিমা চিকিৎসার অধিকার সে পেতে পারে! ডাকিনীবিদ্যা-পটিয়সীর ভূমিকায় নির্দ্বিধায় অভিনয় করে বালকটির প্রানরক্ষা করেছে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে! সেই সত্যনিষ্ঠার ফলাফল তৎক্ষনাৎ পেয়ে গেল! পূর্ব মূহূর্তে যে ছিল বন্দিনী - তান্ত্রিক সন্ন্যাসীর সাধনসঙ্গিনী হওয়ার সৌভাগ্যের জন্য জিইয়ে রাখা হয়েছিল, পরমূহূর্তেই সে হয়ে গেল দস্যুসর্দারের ' মা '! ( চলবে)
হটী স্তম্ভিত ! দু'চোখ তার অশ্রুতে ভরে গেল! কিছুক্ষন চোখবুজে ধ্যানস্হ রইলো! তারপর হঠাৎ হুঙ্কার দিয়ে লাফিয়ে উঠে, প্রচন্ড বেগে মাথা দোলাতে থাকে! তার চুলগুলি চামরের মতো দুলতে থাকে!রিকমিনী বুঝতে পারে হটার 'ভর ' এসেছে!সেও উঠে দাঁড়ায়! হটী মাথা ঝাঁকানো বন্ধ করে উচ্চস্বরে একটা সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারন করে! তারপর বলে " উহ মুরখকো বোলাও!"
রুকমিনী ভয় পেয়ে বলে," কৌন মুরখ?"
হটী চিৎকার করে বলে," তেরে সর্দার কো! তুরন্ত!"
সোরগোল শুনে সর্দার সহ সবাই ছুটে এসেছে! হটী কালিকাপুরান থেকে কয়েকটা শ্লোক উচ্চারন করে! সর্দারও কেমন যেন বিহ্বল হয়ে পড়ে হটীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে জোড় হাত করে বলে,"তু ক্যায়া মাংতি রে মা?"
হটী নৌকার পাটাতনে আছাড়ি পিছাড়ি খায় আর মুখ ঘষতে থাকে!কিছুক্ষন পর স্বাভাবিক হয়ে!আধা হিন্দি আধা বাংলায় বলে , "সর্দার,আমি ডাকিনীবিদ্যা সিদ্ধা!তোর ছাওয়ালটাকে যে পিশাচ কজ্বা করেছে তাকে তাড়ানোর মন্ত্র আমি জানি! তাকে আমি এখনই তাড়াতে পারি! তুই আমাকে রতনের কাছে নিয়ে চল!"
সর্দার তৎক্ষনাৎ হটীকে শয্যাশায়ী রতনের কক্ষে নিয়ে গেল!!
হটী কয়েকটা সামগ্রী চাইলো, একটি পান পাতা,এক থান সিঁদুর,সরিষার তেল , গঙ্গাজল,গঙ্গামাটি ও সামান্য আতপ চাল!
এরপর পানপাতায় সিঁদুর, আতপ চাল এ গঙ্গাজল মিশিয়ে রতনের চার পাশে মন্ত্রোচারনের সাথে ছিটিয়ে দিল! রুকমিনীর দিকে তাকিয়ে বলল, "সমঝি ম্যয় কেয়া করতি?" " না" সূচক ঘাড় নাড়ে রুকমিনী!
হটী বলে," দেহ বন্ধন, অব কোই বদমাস পিশাচ রতনকো ছুঁ নেহি সকেগা!"
এরপর রতনের মাথার কাছে বসে তার নাড়ী দেখল! এরপর জানতে চাইলো তাকে যখন অপহরন করা হয় তখন তার কাছে যে পুঁটলিটা ছিল সেটা কোথায়? সর্দারের আদেশে একজন সেই পুঁটলিটা এনে দিলে হটী তার মধ্য থেকে কয়েকটি ঔষধি বটিকা বের করে খল - নুড়ি দ্বারা পেষন করে রতনের মুখ জোর করে উন্মুক্ত করে তার জিভে সেই ঔষুধ লেপে দিল! কিছুক্ষন পর রতন চোখ খুলল! দৃষ্টি ঘোলাটে, কারোকে চিনতে পরছে না! তার মুখ ফাঁক করে একটু গঙ্গাজল ঢেলে দিল!জিভ ঠান্ডা হল!তারপর তার কন্ঠনালীতে জল দিতে থাকে বেশীর ভাগ বেরিয়ে গেলেও কিছুটা গলায় প্রবেশ করে!পুনরায় একদাগ ঔষুধ দেওয়া হয়!
আবার রতন চোখ মেলল, এবার দৃষ্টি স্বচ্ছ! হটী তার মুখের কাছে ঝুঁকে জিজ্ঞাসা করল,"রতন,মুঝে পহচান্তে ?"
রতন হেসে অষ্ফুট স্বরে বলে," মৌসি!"
হটী তাকে বুকে জড়িয়ে বলে," ডরো মাৎ বেটা! আরামসে নিঁদ যাও!"
এবার উঠে সর্দারকে বলে," ডরো মাৎ অব নাও ছোড় !কাশীধাম চলো শিউজীকে পাশ!"
রুকমিনীকে নির্দেশ দেয়," রতনকো কুছ সময় অন্তর পানি পিলাও, ওসকা শরীরমে পানি কম হো গয়া!"
রুকমিনী জানতে চায়," খানেকে বারেমে ক্যা দু?"
হটী নির্দেশ দেয়," পহেলে নিম্বুপানী, উসকে পিছে ডাব-পানি, উসকে বাদ দুধ১ পিলানা! খায়ের যবতক ম্যায় হুকুম নেহি দেতি তবতক মৎ পিলানা
কিছুক্ষন আগেও যে ছিল বন্দিনী এখন সেই পরিত্রাতা! মাথা উঁচু করেই সে ফিরে যাচ্ছে তার বন্দি- কুটুরিতে পিছে জোড় হাত করে সর্দার আর তার রক্ষিতা! হটী ফিরে বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করে,"অব কেয়া মাংতা?"
এরপর যা ঘটল স্তম্ভিত হয়ে গেল হটী! তার সামনে অসুরাকৃতির সর্দার নতজানু হয়ে
পরিস্কার রাঢ় বাংলার ভাষায় বলল," তোরে মুই পেরথম চিনতে লারছি মা ঠাইরুন! আমার ভরম হই গেল! এ্যাই বুড়ো ছামড়াটারে মাফ করি দে মা- ঠাকরুন!"
"তুমি বাঙালী ?" অবাক হয়ে প্রশ্ন করে হটী!
" হ্যাঁ রে মা মুই বাঙালী" মাথার পাগড়ীটা খুলে অশ্রুসজল চোখে বলে " বহুরোজ দ্যাশের ভাষা কই নাই তাই ভুইল্যা গেছি!গাঁয়ের মানুষ জানে, মুই দামোদরে ডুইবা মরছি!"
হটী আরো অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে," দামোদরের ধারে তোমার ভিটে ছিল? গ্রামের নাম কি?"
সর্দার বলে," গাঁয়ের নামটো বললে তুই কি বুঝতে পারবি? মোর গাঁয়ের নাম ছিল সোঁয়াই!"
হটীর সমস্ত দেহ এক অভুতপুর্ব রোমাঞ্চে রোমাঞ্চিত হয়ে থরথর করে কেঁপে উঠল ! নিজেকে সামলে নিয়ে হটী সর্দারকে শুধায়," তোমার গাঁয়ের এক বামুনের নাম শুনেছো? ধন্বন্তরি কবিরাজ একবগ্বা ঠাকুর? চিনতে তাঁকে?"
এবার অবাক হবার পালা দস্যু সর্দারের," হ্যাঁ রে সে তো আমাদের দেবতা ছিল !"
"তুমি জানো তিনি কিভাবে মারা গেছেন?"-বলে হটী!
" হ শুনছি বেষ্টা বায়েনের ছামড়াটারে বাঁচাইতে গিয়ে সাপের বিষে সগ্যে গেছেন! তা তু এসবকুথা জানলি কি করে মা?"
" সে বামুনের একটি মেয়ে ছিল তোমার মনে পড়ে?" হটি জানতে চায়!
সর্দার বলে ওঠে," হ্যাঁ মনে পড়ে, তারে পুড়ায়ে মারতে চেয়েছিল তিজলহাটীর হারামজাদা বামুনরা..."
" যার মাথা থেকে শামলাটা তীরবিদ্ধ করে তুমি পথের ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছিলে?"
স্তম্ভিত সর্দার এখন বজ্রাহত! হটী,বলে চলে," কি হ'ল?মনে পড়ছে না? তর খুড়া তোরে বুইল্যে ওই শামলাটো ভুঁয়ে নামায়ে দে বাবা ঈশেন! তয় খুব হুঁশিয়ার ! চক্ষুরত্ন দুটি
যেন বাঁইচা যায়!,মনে পড়ে?"
দস্যু সর্দার ঈশেন বাগদী লুটিয়ে পড়ে,মা ভবানীর চরনতলে !
রুপেন্দ্র তার কন্যাকে একটা কথা বলতেন,'সত্য সর্বদাই শিব ও সুন্দরের সাথে সংপৃক্ত ' তথ্য ততক্ষনই সত্য যতক্ষন সে সত্য- শিব- সুন্দরের দিশারী! তাই তিনি অনায়াসেই গ্রাম্য গুনিনদের মা মনসার স্বপ্নাদেশের কথা!সর্প দংশনের বাঁধন দেওয়ার কায়দা শিখিয়ে দিতেন!
হটীও তার উপস্হিতবুদ্ধিতে বুঝে নিয়েছিল - কিভাবে এই প্রতিমা চিকিৎসার অধিকার সে পেতে পারে! ডাকিনীবিদ্যা-পটিয়সীর ভূমিকায় নির্দ্বিধায় অভিনয় করে বালকটির প্রানরক্ষা করেছে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে! সেই সত্যনিষ্ঠার ফলাফল তৎক্ষনাৎ পেয়ে গেল! পূর্ব মূহূর্তে যে ছিল বন্দিনী - তান্ত্রিক সন্ন্যাসীর সাধনসঙ্গিনী হওয়ার সৌভাগ্যের জন্য জিইয়ে রাখা হয়েছিল, পরমূহূর্তেই সে হয়ে গেল দস্যুসর্দারের ' মা '! ( চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours