জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

সাম্যের অর্থ যে  খন্ডিত চিন্তা থেকে মুক্ত চিন্তায় উত্তোরন, জ্ঞানতত্বের এই প্রাথমিক নিদানটিকে দূরে রেখে যারা সাম্যবাদী আন্দোলন, বিশেষ করে সাম্যের প্রধান বাহন মেহনতি আন্দোলনকে, চলাতে যাবেন, তারা তো সেই মহাজ্ঞান থেকে দূরে থেকেই যে আন্দোলন আন্দোলনের খেলা খেলবেন সেটা
----- অন্তত আজকের কালে, যখন দেশের সংসদীয় ব্যবস্থাটিই খাদের মুখে বুঝে নেওয়া উচিত।
সেই মহাজ্ঞান হোল
চিন্তা থেকে মেহনত নয়, মেহনত থেকে চিন্তার উৎপত্তি। এর পর চিন্তা এবং মেহনতের নিরন্তর আবর্তনের মধ্য দিয়েই, একপ্রান্তে মেহনতের,  এক থেকে উচ্চধাপে উত্তোরন, অন্যপ্রান্তে মনুষ্যের সাথে প্রকৃ্তির দন্দ্ব এবং সন্তুলিত আপোষের মধ্য দিয়েই সমাজের রুপান্তর প্রকৃয়া চলছে । এই আবর্তন প্রকৃয়া্তেই সমাজ এবং সভ্যতার আবির্ভাব এবং রুপান্তর।
এই আবর্তন এবং রুপান্তরন প্রকৃয়াটিকেই যদি সভ্যতার অন্তরের 'জ্ঞান ভান্ডার' হিসেবে যদি বিবেচনা করা হয়, সেখানেও যে 'ধনাত্মক' এবং 'ঋনাত্মক' উভয় দিক  সক্রিয় থাখে
------- সেখানে 'ঋনাত্মক' ধারাকে আটকে দিয়ে, জ্ঞান ভান্ডারের 'ধনাত্মক' দিকটিকে সংগহত করা, এবং জ্ঞান তার অখন্ড সত্বায় মানবিক রুপে প্রকাশিত করার প্রকৃ্তিগত দায়টিকে পুরন করাটাই  যে 'সাম্যের প্রধান দায়
------  সেই তত্বগত দিককে গোপন থাকতে দিয়ে, আজকে পুজির ফ্যাসিস্ত উত্তোরনের কালে, কিভাবে যে সংগঠিত শিল্পে ট্রেড ইউনিয়নের কাজ চলতে পারে
সেটা হয় ' নেতারাই' বলতে পারেন অন্যথায় 'ভগবানের' কাছে খোজ নিতে হয়।
As a person, has been little bit involved in Trade Union movement and had been in leading executive position both in steel and Coal -- the two basic detachments closely connected with international  sense,
-------   নিশ্চিত করে বলতে পারি, জ্ঞান তত্বের এই সাধারন নিয়মকে দূরে রেখে যারাই, আজকের দিনে সংগঠিত শিল্পে  নেতা হিসেবে কাজ করছেন, তারা  নিশ্চিতভাবে 'নেতৃ্ত্বের' বদলে 'নেতাগিরি' করছেন। সেই সুযোগে নিজের অজান্তেই লেনিনের নির্মিত 'দের  শ' বছরার' সাংগঠনিক কাঠামোটি, শত্রুকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন  নিজের অজান্তেই। এইভাবে প্রতিবিপ্লবকেই সংগঠিত করতে সহায়তা করছেন।
বিষয়টিকে যখন শেষ বিন্দুতে নিয়ে যাওয়া যাবে, সাধারনভাবে সাম্যবাদী সমর্থকরা আতকে উঠবেন। তৎপূর্বে 'জ্ঞান' বা 'সত্যের' ভান্ডারে 'ধনাত্মক' এবং  'ঋনাত্মক' দিক দুটি
----  কিভাবে পরস্পরে 'সংগঠন' এবং 'বিগঠনে' নিযুক্ত থেকে  কে ইতিহাস কালের এক অলংঘনীয় দ্বন্দ্বে আবর্তিত, সে সম্পর্কেই দু' চারটি কথা বলে নেওয়া উচিত হবে।
'জ্ঞানতত্ব' এর নিরিখে এই দ্বন্দ্ব বিরাজমান থাকবে যতদিন শ্রেনী সংগ্রাম বিদ্যমান থাকবে, কিংবা 'মেহনতের সামাজিক চরিত্র'কে 'লুট করতে' গিয়ে 'জ্ঞান'কে সংগঠিত হতে বাধা দেবে কিংবা আবিস্কৃত 'জ্ঞান'কে খন্ড বিখন্ড করে দেখাবে এবং শেষ পর্য্যন্ত সামাজিক উৎপাদনকে আটকে দিয়ে কিংবা  উৎপাদন সংক্রান্ত সব গবেষনা আটকে দিয়ে
------ যেমন 'গ্লোবালাইজেসনের নামে ভারত সহ চুক্তি করে স্বাধীনতা পাওয়া দেশগুলিতে হয়েছে, সোভিয়েত ভেংগে যাওয়ার পর,
'জ্ঞান' এবং সভ্যতার অভিমুখকে আটকে দেয়।
As Fredrick Engels Maintained in the introduction of his famous book 'Dialectics in nature:
----- পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে রেনেসাঁ মহাপুরুষদের আবির্ভাবের পর থেকেই পদার্থ, রসায়ন এবং শরীর বিদ্যায় পৃথক পৃথক পৃথক ভাবে আবিস্কৃত জ্ঞানকে এক সংগঠিত অখন্ডতায় রুপ দেওয়া চলতে থাকে। তিনি উ্ল্লেখ থেকে বোঝা যায়,  এর আগের 'জ্ঞান' ভান্ডারের মুল চরিত্র অনুমান ধর্মীতা হলেও, কিছু কিচু প্রমানিত জ্ঞান নিশ্চিতভাবে বিরাজমান ছিল, নিশ্চিতভাবে ইতিমধ্যে যুক্তিবাদো হাটি হাটি পা' পা' ইতিমধ্যে সামন্তিক গর্ভে থেকেও কিঞ্চিত এগিয়েছে।
এঙ্গেলস লিখছেনঃ
"প্রাচীনকালের উজ্জ্বল প্রাকৃ্তিক-দার্শনিক অন্তদৃষ্টিগুলি এবং আরবদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কারগুলির বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কোন পরিনতি ছাড়াই অন্তর্নিহীত হয়েছে।" (ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours