শেখ ফরিদ, প্রগতিশীল লেখক, বাংলাদেশ:

[2/18, 3:45 PM] Sheikh Farid Bangladesh: ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গঙ্গাপুরাম কিষাণ রেড্ডি মনে করেন, যদি ভারত বাংলাদেশী মুসলিমদের  নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়; তবে, বাংলাদেশ অর্ধেক খালি হয়ে যাবে। কথাটা তিনি বলেছেন সিটজেনসীপ এমেন্ডমেন্ট এক্ট (সিএএ) বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে। বিশেষ করে  তেলেঙ্গানার মূখ্যমন্ত্রী, কে সি রাও এর দিকে  এ তীরটা ছুঁড়ে ছিলেন বিজেপি নেতা জি কিষান রেড্ডী। ভারতে নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ অর্ধেক খালি হয়ে যাবে, মি রেড্ডি এমন কথা বলে ছিলেন হায়দারাবাদে বিজেপি আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে।  উল্লেখ্য ভারত সরকার আফগানিস্তান পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নিপিড়ীত সংখ্যালঘু তথা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান শিখ জৈন পার্সিদের মানবিক কারনে নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এবং সিএএ নামে  তা সংসদে আইন পাশ করা হয়েছে। যার বিরোধিতা করে চলছে সরকার বিরোধীরা। সরকার বিরোধীরা প্রথমে সিএএ বিরোধীতা করতে গিয়ে বলেছে, সিএএ র  মাধ্যমে বিজেপি ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায়! যদিও সিএএ কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার বিষয় নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়।  তিনটি মুসলিম প্রধান দেশের  ছয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়। তারপর আবার  বিরোধীদলের কোন কোন নেতা দাবী করেন কেন তিন দেশের  তথা আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদেরও ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে না! এই কথার প্রতিত্তোরে মি কিষাণ রেড্ডি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিলে, বাংলাদেশ অর্ধেক খালি হয়ে যাবে।
মিঃ কারন থাপর, শ্রীনগরে (জুম্মুকাশ্মীর) জন্ম নেয়া একজন বিশিষ্ট ভারতীয় সাংবাদিক লেখক ও উপস্থাপক। তিনি হিন্দুস্তান টাইমসে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষান রেড্ডীর বক্তব্যের জবাবে কলাম লিখেছেন। তবে, কিষান রেড্ডির বক্তব্যের জবাবে কোন বাংলাদেশী কলাম লিখেছে কি না আমার জানা নেই। বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মি কারন থাপর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক শিক্ষা ও  স্বাস্থ্যসেবার তুলনামূলক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তার তথ্যসমৃদ্ধ কলাম বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উচু স্থানে নিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আমাদের দেশকে নিয়ে এমন কলাম লেখার জন্য বাংলাদেশি হিসেবে মি কারণ থাপরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশির বদলে ভারতীয় কোন বিশিষ্ট লেখকের হাতে এমন কলাম পত্রিকার পাতায় ছাপাতে ; তথ্য ও লেখার গুরুত্ব কয়েকগুন বেড়ে গেছে।
আমরা কিছু দিন আগে পাকিস্তানের টিভিতে বুদ্ধিজীবীদের, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উদ্দ্যেশ্য করে বলতে শুনেছি, " খুদা কা ওয়াস্তা, হামে বাংলাদেশ বানাদো!"
তা শুনে আমরা গর্ববোধ করেছি; আমাদের পূর্বসূরীরা ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে আমাদের সত্যিই  ধন্য করেছেন। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গড়া পাকিস্তান সৃষ্টির সিকি শতাব্দীতেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।

  ভারতীয় লেখক মি কারণ থাপর বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির কথা বলেছেন, পোশাক কারখানার বিশ্ব বাজার দখলের কথা বলেছেন। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের আরো বিভিন্ন বিষয়ে  উন্নতির কথা বলেছেন যা,সবই সত্য। তিনি আরো বলেছেন, ভারতীয় মন্ত্রী, মি রেড্ডির বলা উচিত ছিলো, ভারতীয়রা আমেরিকার ভিসা পেলে অর্ধেক ভারত খালি হয়ে যাবে৷ কোন সন্দেহ নেই এ কথাও সত্য  বলেছেন  কারন থাপর। কেন না, কে ভারতে থাকবে আমেরিকার যাওয়ার সুযোগ পেলে! অর্ধেক কেন, পুরো ভারত খালি হয়ে যাবে। গান্ধী পরিবারের সদস্য রাহুল প্রিয়াংকা,  দিল্লীর মূখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, আসাদূদদ্দীন ওয়াইসি, মমতা ব্যানার্জী এবং বিজেপির  শাসক বৃন্দ ছাড়া আসলেই কেউ থাকতে চাইবে না ভারতীরা  যদি আমেরিকার ভিসা পায়। এটা বুঝতে গবেষক বা ডক্টরেট ডিগ্রীর দরকার নেই।

সন্দেহ নেই মি কারন থাপর গবেষকও। তবে তিনি কিছু বিষয় জানেন না, অথবা ভুলে গেছেন। অথবা এড়িয়ে গেছেন। প্রথমত  একজন বাংলাদেশী ভারত সম্পর্কে কি কি  ভাবে তা,আমার থেকে তিনি বেশি জানেন না৷ একজন বাংলাদেশীর জাতীয়,সাম্প্রদায়িক,রাজনৈতিক  মাইন্ডসেট আপও আমার থেকে তার বেশি জানার কথা নয়। মিঃ কারন থাপর বলেছেন, উন্নত জীবনের আশায়,মানুষ অভিবাসিত হয়৷ এও বলেছেন, তাই, অনেক ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করে।
ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা কিন্তু  অন্য কিছু বলে!চোরাকাবার বললাম না, আয় রোজগারের আশায় বাংলাদেশী সীমান্তে গত ৪৮ বছরে একজন ভারতীয় কি বাংলাদেশী সীমান্তে  এসে বাংলাদেশী বর্ডার গার্ডদের হাতে গুলি খেয়ে মরেছে? মরেনি।  কিন্ত দু-চারটা ব্যাতিক্রম বাদে,  বাংলাদেশীরা চোরাকারবারীই বলুন আর  সীমান্তে অবৈধ ব্যবসা বলুন, গুলি খেয়ে প্রতিদিন  নিয়মিত মরছে। আর মাঝে মাঝেই বাংলাদেশীরা বিদেশে অবৈধভাবে  জলপথে পারি দিতে গিয়ে ডুবে মরে। যা ভারতীয়রা করছে না। কারন থাপরের  ভাষায় বাংলাদেশ থেকে অনুন্নত ভারতে বাস করেও  ভারতীয়রা তা করছে না।

তিনি গড় অংকের নিয়ম দিয়ে পানিতে জাহাজ ভাসাতে চাইছেন। সাগরে পানি এক জায়গায় ২ শ ফিট আরেক জায়গায়  দু ফিট গড় অংক করলে অনেক পানিই দেখা যাবে কেতবি বিদ্যায়! বাস্তবে জাহাজ  কিন্তু  চলবে না৷ পরিসংখ্যান অনেক সময়ই এমনই হয়। সববসময় সত্য প্রকাশ পরিসংখ্যান দিয়ে হয় না।

তিনি আরো একটা বিষয় জানেন না, একজন বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যপ্রাচ্যে যেতে ভারতীয় নাগরিকদের থেকে ৭/৮ গুন বেশি পয়সা খরচা করতে হয়। এবং ভারতীয় শ্রমিকের তুলনায় বেতনও কম পেয়ে থাকে ! আর ভারতীয় পাসপোর্টের তুলনায় বাংলাদেশী পাসপোর্টের মর্যদা কত কম, তা তো যার ভিসা বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞান আছে, সেও জানে। দিল্লীর চাণক্যপুরীতে দূতাবাসগুলোতে ঘুড়লেই ভারতীয় আর বাংলাদেশী পাসপোর্টের পার্থক্য সুস্পষ্ট বুঝা যাবে। ঢাকায় অসংখ্য লোক পাবেন, যারা একটি ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আপনাকে ১ লাখ টাকা সাধবে। দিল্লী কোলকতায় ১ জন লোকও পাবেন না, যারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট করে দেয়ার জন্য আপনাকে ১ হাজার টাকার প্রস্তাব দেবে! তা হলে, বিষয়টা কি দাড়ালো, শ্রদ্ধেয় কারন থাপর  আপনি  কেতাবি কথা লিখেছেন, আমি এখানে আমার মাঠ পর্যায়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা লিখলাম৷ আর বাংলাদেশীদের ভারতীয় দূতাবাসে লম্বালাইন দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার কষ্টতো কিছু দিন আগেও ছিলো। 
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্প অনেক ধনী!  বাস্তবাতা হলো, বাংলাদেশে শ্রমিক ঠকিয়ে ধনী হয়, এদেশের মালিকেরা। যা ভারত তো দুরের কথা পাকিস্তানেও অসম্ভব। বাংলাদেশ মত ভারত ও পাকিস্তানে কারখানায় শ্রমিকদের ঠকানো যায় না। ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক কারখানায়  মজুরি কত তা খোজ নিন। তাহলেই আমার কথার সত্যতা খুজে পাবেন।

 তিনি হয়তো ভুলে গেছেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর ৬৫% পাট উৎপাদনকারী দেশ ছিলো। সে দেশে আদমজীর মত পৃথিবীর বৃহৎ পাটকল তো বন্ধ হয়ে গেছেই। আমার জন্মস্থান জামলাপুর জেলার, সরিষাবাড়ীর উপজেলাতে ;আামার বাসার এক কিলোমিটারের মধ্যেই আমি তিনটি পাটকল দেখিছি। এসব এখন  বন্ধ। ১৭/১৮ বিশাল বিশাল পাট কুঠি ছিলো। যা আজ বিলিন!  তিনি হয়তো জানেন না,পাট বাংলাদেশের হলেও, পাটের তৈরী শার্ট  বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। আমি তা ভারতের চেন্নাই , মুম্বাই, দমদম এয়ারপোর্ট থেকে কিনি!
মি কারণ থাপর হয়তো জানেন না ;  বাংলাদেশে ৮৫০ সিনেমা হলের মধ্যে থেকে এখন মাত্র ৬০ টি চলমান!  এই ৬০ টি সিনেমা হলও যখন তখন বন্ধ হয়ে যাবে। আর, ভারতে  সে সময় মাত্র একটি সিনেমা তৈরীর বাজেট হয় ৭/৮ শ কোটি টাকা! বাংলাদেশে পত্রিকার শিরোনাম হয়, শেয়ার বাজার মাটির সাথে মিশে গেছে! শত শত নারী গৃহকর্মী কেবল, বিদেশ থেকে ধর্ষিত হয়ে ফিরে আসে। সৌদী আরব থেকে শতশত  নারী গৃহকর্মী ধর্ষিত ও খুন হয়ে ফিরছে। তখন, বাংলাদেশ সরকারের সচিবরা বিচার চাওয়া তো দুরের কথা, স্বীকার করার সাহস পায় না! বাংলাদেশ এমন একটি দেশ,  যার,নাগরিক কোথায়ও ধর্ষিত হলে, খুন হলে তার বিচার চাওয়া তো দুর কি বাত, একটি প্রতিবাদ লিপি দেয়ার যোগ্যতা রাখে না।

ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি বলেছেন, ভারত যদি বাংলাদেশের মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয় তবে অর্ধেক  বাংলাদেশ খালি হয়ে যাবে। আমার মতে,  কারন থাপরের মত,  মি রেড্ডিও প্রকৃত অবস্থা অবগত নন।  প্রকৃত অবস্থা যদি ভারতের এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  জানতেন, তাহলে বলতেন, নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের  শতকরা ৯০ ভাগই খালি হয়ে যাবে! আমার এলকার দুটি মুসলিম পরিবারকে আমি চিনি। এক পরিবারের যাদের দুজন আমার সাথে হাই স্কুলে পড়তো। আরেক পরিবারের  একজন, আমি যে কলেজে পড়তাম, তিনিও সেই কলেজে পড়তেন। তিনি আমার সিনিয়র ছিলেন। এই দুই পরিবারই ছিলো চরম ভারত বিদ্বেষী! বিচিত্র বিষয় হলো, তারা দুই পরিবারই এখন ভারতীয় নাগরিক! একটি পরিবার তো কোটি কোটি রুপির মালিক। এমন নয়, যে, তাদের সাথে আমার শত্রুতা রয়েছে;  তাই এসব  বলেছি৷ তাদের উভয় পরিবারের সদস্যদের সাথে আমার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিলো। আমি দুই পরিবারের কথা বললাম,তারা, মুসলিম এবং বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে যায়নি৷ শ্রেফ ভাগ্য বদলের জন্য গিয়েছে।

আমাকে পারলে একজন ভারতীয় মুসলিম দেখান যারা বাংলাদেশে ভাগ্য বদলের জন্য এসেছে! আমি পাঁচ- ছ জনের কথা তো বলেই দিলাম যাদের আমি ব্যাক্তিগত ভাবে পরিচিত।  যাদের বাড়ি আমার বাড়ির কোয়ার্টার কিলোমিটারের মধ্যেই ছিলো। অনেকেই মনে করে  তারা বাংলাদেশের অন্য কোথায়ও বাড়ি করেছে। সত্য এই যে  তারা, এখন ভারতীয় নাগরিক। এমনকি তারা আমাকেও ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহন করতে বলেছিলো আমি  তাদের সে প্রস্তাব গ্রহন করিনি।

রাজনৈতিক মতপার্থক্য,  সাম্প্রদায়িক  বিবেচনায়, যে যতই ভারত বিরোধীতা করুন না, কেন, বাস্তবতা এই যে ভারত,  বাংলাদেশী মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দিলে, রকেট গতিতে ভারতে চলে যেতে চাইবে৷ জিডিপি, জন্ম মৃত্যুর হার, জীবন যাত্রার মান বিবেচনা তখন কেউ মনে রাখবে না। এমন কি তারা পাকিস্তান প্রেম ও ভারত বিরোধীতা  সে মুহুর্তে এক নিমেশেই ভুলে যাবে। অবশ্য এরা আবার ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেই যে, পাকিস্তান প্রেম ও ভারত বিরোধীতা চীর জীবনের জন্য  ভুলে যাবে, তাও ঠিক নয়।

কেন না,  অধিকাংশ বাংলাদেশিদের মাইন্ড সেট আপ অদ্ভুত নাকি বিচিত্র  তা কোন শব্দে বয়ান করা খুব কঠিন! আমার চোখে দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,  এরা,  ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে  হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভারতকে গালাগালি করে। ব্যাঙ্গালোর, দিল্লী, চেন্নাাইয়ে  বাংলাদেশী রোগীরা নিজের আত্মীয়দের থেকে রক্ত না পেয়ে হিন্দু  সম্প্রদায়ের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে হিন্দুদেরই "মালুয়ানের বাচ্চা" বলেও গালি দেয়। ভারতে মার্কেটিং করতে গিয়েও ভারতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে দেখেছি বাংলাদেশি মুসলিমদের। (দ্রঃ সকল বাংলাদেশি মুসলিম এমন নয়) ভারত ও হিন্দুকে গালাগালি করা এই সকল রোগীরদের এটেন্ডেন্টদেরও আবার হিন্দু কর্ল গার্ল খুজতে দেখেছি। ভারত যদি সত্যিই কখনো বাংলাদেশি মুসলিমদের নাগরিকত্বের প্রস্তাব দেয় তারা সে প্রস্তাব লুফে নেবে।  তবে, ভারতের প্রতি নাগরিক হিসেবে কতটুকু অনুগত থাকবে তা মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হয়ে থাকবে।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours