জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

 এই পরিনতি হীনতাই যখন পঞ্চদশ শতাব্দীতে পরিনতি লাভ করতে শুরু করলো, এটা বোধগমা আধুনিকতার ছোয়া তখনই পেলো, যখন বিজ্ঞান গবেষনায় একটা নিদৃষ্ট লক্ষ আরোপিত হোল। সেই লক্ষটা স্বাভাবিক ভাবেই সামন্তিক উৎপাদন কাঠামোকে যান্ত্রিক উৎপাদনের স্তরে উঠিয়ে আনা এবং সেই লক্ষে, সামাজিক সম্পর্ক গুলিকে বদলে দেওয়া।
এইভাবে আধুনিক জ্ঞানের প্রাথমিক সংহতীর কালেও তার যেমন 'ধনাত্মক' দিকটি কাজ করেছে, 'ৠনাত্মক' দিকও সক্রীয় ছিলো সেগুলি অকল্পনিয় হিংস্রতার বদ্ধ ভূমীতে আবৃত
------ কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায়, আজকের দিনের মতো এতো  ভয়ংকররার রুদ্র ও মানবিকতার বিরুদ্ধে বিধ্বংসি চেহারা নেওয়ার সুযোগ পায় নাই।

এঙ্গেলস লিখছেনঃ
"সেই মহান ইতালীয়দের আবির্ভাব হয়েছিলো, যাদের থেকে আধুনিক দর্শনের উদ্ভব। পাশাপাশি সেই শহীদএর সৃষ্টি হয়েছিল যাদের আত্মাহুতি দিতে হয়েছিলো বধ্যভুমিতে কিংবা ইঙ্ক্যুইজিশানের অন্ধ কারায়।"
এবারে প্রশ্নটা দাড়ায়, এতো অত্যাচারের পরেও যদি রাজতন্ত্র এবং চার্চের মিলিত শক্তি যদি 'জ্ঞানের সংহতিতে, সচেতন বিদ্রোহের কাছে মাথা নত করতে হয়ে থাকে তার কারন কী?
----- প্রশ্নটাকে আরো এগিয়ে দিয়ে করা যায়, সেকালে , জ্ঞানের 'ঋনাত্মক' ধারাটিকে   শত অত্যাচাস্র চালিয়েও, নিজের জয় সুনিশ্চিত করতে পারলো না, তবে কেনে
---- বর্তমান কালে, খাদ্য, বস্ত্র্য বাসস্থান, শিক্ষা, জ্ঞান এবং মানবিক সংস্কৃতিকে ঘিরে যে উৎপাদনকে ক্রমাগত সংকুচিত করতে, বেকারীর অর্থনীতিকে এগিয়ে দেওয়া, ভারত্তের মতো দেশগুলিতে
------ চিন্তনের অর্থনীতি ও গবেষনা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া,মনুষ্য জাতির নিন্তন এবং সৃজ্নীকে  যন্ত্রবদ্ধ রোবটে বদলে দেওয়ার মতো রোবটে বদলে
দেওয়ার মতো জ্ঞানের ঋনাত্মক ধারাকে  ভয়ংকর করে তুলেও
কেন সাম্যের 'ধনাত্মক' ধারাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছে?

জবাবের প্রথম অংকে বলতে হয়,
সামন্তিকরা সেখালে এতো নির্য্যাতন চালিয়েও তার জ্ঞানগত ঋনাত্মক ধারাকে যদি টিকিয়ে রাখতে না পেরে থাকে এবং সারা বিশ্বে ব্যবস্থা হিসেবে সামন্ততন্ত্রের পতনকে মেনে নিতে হয় তার প্রধান কারন
------ সামন্ততন্ত্র তখনো সমাজের অবচেতন চালিকা। তারপক্ষে জনগনকে যেমন সক্ত্রিয়ভাবে দাড় করানো সম্বব ছিল ন, তেমনি 'সনাতনি জ্ঞান নিয়ে আধুনিক ও অস্তিত্বের জন্য সর্বাধুনিক জ্ঞানকে পাথেয় করে, সচেতনভাবে শ্রমিক ও কৃ্ষকদের সাথে নিয়ে সংগ্রামে অবতীর্ন
----- এমন এক শক্তির বিরুদ্ধে, সমস্ত রাষ্ট্রু শক্তিকে হাতে রেখেও কোন অবেচতন সংগ্রাম জয় যুক্ত হঅয়া সম্ভব ছিলো  না।

আজকের দিনে ইতিহাসে অচল হয়ে যাওয়া (Conflict between social  production vs Individual appropriation) যদি সারা বিশ্বে অরাজকতা  এবং 'জ্ঞান' ও মানবিক প্রশ্নে 'ঋনাত্মক' ভুমিকা নিয়েও,   দু'দুটো বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে,  তিন নম্বরের জন্য যখন তৈরী হচ্ছে, তখন
------পুজিতন্ত্র ফ্যাসিস্ত উচ্চতায় উঠে গিয়েও অস্তিত্ব রক্ষা করছে কী করে ? 
সেখানেও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। অর্থনীতি হিসেবে পুজিতন্ত্র সব জ্ঞানের 'আধার' হয়েও কীভাবে 'ঋনাত্মক' বিবেচিত হতে পারে?
জবাবে বলা যাবেঃ
নিশ্চিতভাবে  পুজিতন্ত্র  'জ্ঞানের' আধাস্র হওয়ার সব গুন হারিয়ে ফেলেছে। সে 'জ্ঞানের নিয়ন্ত্রক। এই নিয়ন্ত্রন রেখাকে হাতে নিয়ে, সে নিম্ন অভিমুখ ধরে 'ঋনাত্মক' ভুমিকা পালন করেছেঃ
(১) ডারউইনের পর প্রকৃ্তি বিজ্ঞানকে 'মন' এবং ইতিহাস পর্য্যন্ত বিকশিত হতে দেয় নাই।
(২) 'প্রকৃ্তির দ্বান্দ্বিক রুপ সচেতনতায় প্রয়োগে ঋনাত্মক ভুমিকায়, সে প্রথমতঃ মার্ক্সের  বিপরীতে সাইমন্ড ফ্রয়েডকে পেছনে লাগিয়ে বুঝিয়েছে, 'মন' আসলে 'যৌনতার' চালচিত্রের প্রতিবিম্ব। পরে সে  ভগবান তত্ব আরোপ করেছে।
(৩) উনবিংস শতাব্দী পর্য্যন্ত সে পদার্থ, রসায়ন এবং শরীর বিজ্ঞানের একাত্মতা চেয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে সে সেখান থেকে  সরে এসেছে এবং জ্ঞানকে খন্ড খন্ড করে দেখাতে থাকে।
(৪) ক্রমে বিদ্যালয় সমেত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে জ্ঞান থেকে পৃথক করেছে।এর পর সোভিয়েত ভেংগে  যাওয়ার পর থেকে ফ্যাসিস্ত স্তরে উঠে এসে, পুজিতন্ত্র ডার্বউইনকেই 'অখন্ড জ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলো। অন্যপ্রান্তে মাস কমিউনিকেশনকে 'যৌন সর্বস্য'তায় মুড়ে দিয়ে বিদ্যালয় গুলিকে কীভাবে কারখানায় বদলে দেওয়া হচ্ছে, তা দুর্গাপুরে বসে আমরা রোজ দেখছি।
(৫) শ্রম্য সৃজনীকে সংকুচিত করতে এবং শ্রমঘন্টাকে বাড়িয়ে দিতে এবং সংস্কৃতিকে 'যৌনতায়' বদলে দিয়ে এবং সর্বশেষে 'রোবটের' জন্ম দিয়ে,
------ বৌদ্ধিক শক্তিকে নির্বুদ্ধিতায়, বুদ্ধিজীবিদের সেবাদাসে বদলে দিয়ে সভ্যতার বিপর্য্যয় ডেকে আনতে সাহায্য করেছে।

But the last question is why
the  working class being  the embodiment of
social form of production, most organised social
force and the unity is institutionalized in production
system itself, because of its social position in production
system, it enjoys most respectable position in social
relation
-------- তবু শ্রমজীবিরা ভারতে দাসত্বে ডুবে যাচ্ছে।
তার প্রধান কারনঃ এখানে কদাচিৎ শ্রমিক ধর্মঘটকে শ্রেনী সংগ্রামের
অতি নিম্ন ধাপ থেকে  উপঢ়ে উঠিয়ে এনে জ্ঞানের সাথে যুক্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
------  অন্য যে ভূল করা হয়েছে, তা উন্মত্ততার সামিল। লেনিন যেঁ বিন্দুতে শ্রমিক শ্রেনীকে বিপ্লবী শ্রেনী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, সেই চিহ্নিতকরনকেই মুছে দেওয়া হয়েছে। লেনিনের  কথা অনুযায়ী ফ্যাসিস্ত  শক্তি হিসেবে পুজির বিপরীতে শ্রমিক শ্রেনীই একমাস্ত্র বিপরীত মেরু।
------  লেনিনের  সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শ্রমিক শ্রেনী  সংগঠিত যেমন ট্রেড ইউনিয়নে, সামাজিক সংগঠে, অজস্ত্র সংখ্যক প্রাতিষ্ঠানিক এবং  গোপন সংগঠনে এবং তেমনি লক্ষ লক্ষ ব্রাঞ্চে।
এই প্রাতিষ্ঠানিক সত্যার মুল কাজটাই হোল, শ্রমিক শ্রেনীকে জ্ঞান সত্বার সাথে একাত্ম করা।
চারদিকে তাকিয়ে  দেখলেই দেখা যাবে। We do use
 these structures in all ways
,but cultivation  of knowledge সাধারন বিজ্ঞানের এ তো সাধারন জ্ঞান এর কথা। জ্ঞানালয়গুলিতে যদি 'জ্ঞান' নিজের স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়,
তবে নিশ্চিতভাবে  সেখানে  ভূতের বাড়ী নয়, শত্রু জ্ঞান ঘড় নির্মান করবেই। (ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours