রিয়া ভট্টাচার্য, লেখিকা, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর:
প্রেমিক কাকে বলে কবিবর?
ঘটনার উৎসমাঝে অঘটনের কল্পনা করে যে, নাকি নিংড়ানো হৃদিরক্তে অলতাক্ত পায়ের ছাপ ফেলে যে একদিন মিলিয়ে যায় নগরসভ্যতার ভীড়ে?
জানো সাত্যকি, তোমার কাছে চাইনি কখনো দিস্তা দিস্তা শব্দভরা পুঁথির জড়, কখনো বলিনি রঙতুলি দিয়ে আমায় এঁকে নিও ক্যানভাসে। চাইনি কখনো নীলচে অর্কিড হাতে ছুঁয়ে যাও মনোলীনার কৃষ্ণচূড়া, সপ্তরাগিণী দিয়ে মুড়ে ফেলো মুহূর্তের স্লোগান.....
তবে বলো তো কি চেয়েছিলাম?
চেয়েছিলাম যখন ঘর্মাক্ত কলেবরে চড়া রোদ্দুরে ভীড় করে আসবে অপার ক্লান্তিজনিত অবসাদ, নোনতা কপালে চুম্বনরেখা এঁকে বলো " ভালোবাসি "। যখন অব্যক্ত নিঃস্তব্ধতায় গুমরে উঠবে খেয়ালী মনের কোন, শুকনো চোখ কটকট করবে হৃদিবর্ষার অপেক্ষায় ; হতাশার অন্ধকারে প্রতিপল ডুবতে থাকা অভিনয়পারঙ্গম নির্বাক আমির মাথাটা তোমার বুকে নিয়ে একসমুদ্র কান্নায় ভাসিয়ে দিয়ে বোলো " ভালোবাসি।"
পেরেছ? পারোনি -----
জানি তুমি পারতেও পারো না। আমার অন্দরে প্রতিপল খুঁজে বেড়িয়েছ যে অন্য কারো ছায়া, আমার আদরে মুড়িয়ে নিয়েছ অন্য কারো মায়া। তুমি যে পুরুষ , অতীতবিলাস থেকে বেরোনো কি তোমায় মানায় বলো?
তোমরা মুখে ভালোবাসি বলো একজনকে, অন্তরে পুষে রেখে অন্যকারো পূজাবেদী। তোমার শিরায় শিরায় তার অবস্থান, বলতে পারো সাত্যকি আমি তবে কোথায়?
ঠোঁট ছুঁয়ে আঁকতে চেয়েছ ইমনকল্যান স্বরলিপি, এ অধরে আজ যে গরলসিক্ত অভিমান ; কেমন করে ছুঁয়ে দিই তোমায়! ভালোবাসা যে মরতে শেখায় ; মারতে না।
নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বরাবরই সচেতন আমি, সৌন্দর্য বা বাকচাতুর্যে তাই কখনো বাঁধতে চাইনি তোমায়। আসলে কি জানো, ভালোবাসা আর মোহ দুজনে যেন ঠিক যমজ ভগিনীদ্বয়ের মত, হাত ধরাধরি করে পাশাপাশি হাঁটে ; চট করে দেখে যায় না। কিন্তু যখন কাছাকাছি আসা হয় পুষ্পিকা ও ভ্রমরের ন্যায়..... বোঝা যায় একটির বাস হৃদয়বাড়িতে, অপরটি ক্ষণিকের সময়যাপন মাত্র।
না অভিযোগ নেই কখনো, আছে শুধু গৃহভঙ্গজনিত লিমেরিক অবসাদ। কল্পনার কল্পলোকে বাস করে এখন আর তোমায় সম্পূর্ণ পাওয়ার স্বপ্ন দেখিনা, চাইনা জ্বরের ঘোরে কপালে তোমার স্নেহস্পর্শ। ফিরে যাও সাত্যকি, এই শুখা অরণ্যানীতে এখন আর বাস করে না পদ্মগন্ধ, হেথায় শব্দকল্পদ্রুমে তিতিক্ষারা বেহাগের ছড় কাটে। কখনো মৃত্যুর গান শুনেছ?
শুনে দেখো, ঠিক কতটা আর্তবিষাদ মাখানো থাকে তাতে। আমায় আর প্রেমিকারূপে চেওনা ; মৃত মাধবীলতা কখনো জড়াতে পারে না জীবন্ত অর্জুনের সুঠাম শরীর। রূপকথারা কখনো পৃথিবীর কোলে মেলাতে পারে না বাস্তবাবর্তে।
প্রেমিক কাকে বলে কবিবর?
ঘটনার উৎসমাঝে অঘটনের কল্পনা করে যে, নাকি নিংড়ানো হৃদিরক্তে অলতাক্ত পায়ের ছাপ ফেলে যে একদিন মিলিয়ে যায় নগরসভ্যতার ভীড়ে?
জানো সাত্যকি, তোমার কাছে চাইনি কখনো দিস্তা দিস্তা শব্দভরা পুঁথির জড়, কখনো বলিনি রঙতুলি দিয়ে আমায় এঁকে নিও ক্যানভাসে। চাইনি কখনো নীলচে অর্কিড হাতে ছুঁয়ে যাও মনোলীনার কৃষ্ণচূড়া, সপ্তরাগিণী দিয়ে মুড়ে ফেলো মুহূর্তের স্লোগান.....
তবে বলো তো কি চেয়েছিলাম?
চেয়েছিলাম যখন ঘর্মাক্ত কলেবরে চড়া রোদ্দুরে ভীড় করে আসবে অপার ক্লান্তিজনিত অবসাদ, নোনতা কপালে চুম্বনরেখা এঁকে বলো " ভালোবাসি "। যখন অব্যক্ত নিঃস্তব্ধতায় গুমরে উঠবে খেয়ালী মনের কোন, শুকনো চোখ কটকট করবে হৃদিবর্ষার অপেক্ষায় ; হতাশার অন্ধকারে প্রতিপল ডুবতে থাকা অভিনয়পারঙ্গম নির্বাক আমির মাথাটা তোমার বুকে নিয়ে একসমুদ্র কান্নায় ভাসিয়ে দিয়ে বোলো " ভালোবাসি।"
পেরেছ? পারোনি -----
জানি তুমি পারতেও পারো না। আমার অন্দরে প্রতিপল খুঁজে বেড়িয়েছ যে অন্য কারো ছায়া, আমার আদরে মুড়িয়ে নিয়েছ অন্য কারো মায়া। তুমি যে পুরুষ , অতীতবিলাস থেকে বেরোনো কি তোমায় মানায় বলো?
তোমরা মুখে ভালোবাসি বলো একজনকে, অন্তরে পুষে রেখে অন্যকারো পূজাবেদী। তোমার শিরায় শিরায় তার অবস্থান, বলতে পারো সাত্যকি আমি তবে কোথায়?
ঠোঁট ছুঁয়ে আঁকতে চেয়েছ ইমনকল্যান স্বরলিপি, এ অধরে আজ যে গরলসিক্ত অভিমান ; কেমন করে ছুঁয়ে দিই তোমায়! ভালোবাসা যে মরতে শেখায় ; মারতে না।
নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বরাবরই সচেতন আমি, সৌন্দর্য বা বাকচাতুর্যে তাই কখনো বাঁধতে চাইনি তোমায়। আসলে কি জানো, ভালোবাসা আর মোহ দুজনে যেন ঠিক যমজ ভগিনীদ্বয়ের মত, হাত ধরাধরি করে পাশাপাশি হাঁটে ; চট করে দেখে যায় না। কিন্তু যখন কাছাকাছি আসা হয় পুষ্পিকা ও ভ্রমরের ন্যায়..... বোঝা যায় একটির বাস হৃদয়বাড়িতে, অপরটি ক্ষণিকের সময়যাপন মাত্র।
না অভিযোগ নেই কখনো, আছে শুধু গৃহভঙ্গজনিত লিমেরিক অবসাদ। কল্পনার কল্পলোকে বাস করে এখন আর তোমায় সম্পূর্ণ পাওয়ার স্বপ্ন দেখিনা, চাইনা জ্বরের ঘোরে কপালে তোমার স্নেহস্পর্শ। ফিরে যাও সাত্যকি, এই শুখা অরণ্যানীতে এখন আর বাস করে না পদ্মগন্ধ, হেথায় শব্দকল্পদ্রুমে তিতিক্ষারা বেহাগের ছড় কাটে। কখনো মৃত্যুর গান শুনেছ?
শুনে দেখো, ঠিক কতটা আর্তবিষাদ মাখানো থাকে তাতে। আমায় আর প্রেমিকারূপে চেওনা ; মৃত মাধবীলতা কখনো জড়াতে পারে না জীবন্ত অর্জুনের সুঠাম শরীর। রূপকথারা কখনো পৃথিবীর কোলে মেলাতে পারে না বাস্তবাবর্তে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours