ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
প্রথমে স্হির হয়েছিল তর্কসভার আয়োজন হবে দুর্গাবাড়ীতে! পরে স্হান পরিবর্তন হ'লো বিপুল জনসমাগমের আশঙ্কায়! আলোচনা হবে বিশুদ্ধ সংস্কৃতে , সকলের বোধগম্যও হবে না! তাতে কি হয়েছে! কৌতুহল অন্য কারনে! তর্কসভার একদিকে কাশীর পাঁচজম নব্য পন্ডিত অন্যদিকে প্রতিপক্ষ এক যুবতী! অবিশ্বাস্য! কাশীর অতিবৃদ্ধ নাগরিকেরাও মনে করতে পারলেন না- স্মরনাতীতকালে কোন তর্কসভায় কোন স্ত্রীলোক প্রতিযোগীরূপে আবির্ভুতা হয়েছিলেন কিনা!
তর্কসভার স্হান নির্দ্দিষ্ট হ'ল কুরুক্ষেত্রতলা-এর মুক্তমঞ্চ,এটি নাটোরের রাণী ভবানী নির্মান করান! নব্য পন্ডিতেরা দলে ভারী! তাই তাঁরা নিশ্চিত এক বালখিল্য যুবতীকে তর্কযুদ্ধে হেলায় পরাস্ত করবেন!
হটীর বিরুদ্ধে শুধু টুলো পন্ডিতরা নন ,সোচ্চার বারানসীর কিছু নামী কবিরাজও!যাঁরা কোন চতুস্পাঠী পরিচলনা করেন না! মানুষের রোগ ব্যাধিই যাঁদের উপার্জনের একমাত্র পথ! তাঁদের সন্মানে লেগেছে , এই অর্বাচীন যুবতী দাবী করেছে,কাশীধামের আগমনের পূর্বেই সে নাকি চরক, সুশ্রুত, নিদান আয়ত্ব করে এসেছে! মাত্র ২৫ বছর বয়সে সে কাশীধামে এসেছে! তার পুর্বে বঙ্গদেশে কে ওই মেয়েকে চরক, সুশ্রুত নিদান শিখিয়েছে? কি স্পর্ধা, সে আর্তরোগীর সেবা করতে চায়? কাশীর কবিরাজরা যার অন্তর্জলী যাত্রার নিদান হেঁকেছেন , তাদের সে দ্বায়িত্ব নিয়ে সুস্হ করে তোলার দাবী করছে! দু' একজনকে সুস্হ করে বাড়ী ফিরিয়েছে! দুর্বিনীতা শাস্ত্রও মানে না! অন্তর্জলী যাত্রা থেকে প্রত্যাবর্তন শাস্ত্র বিরূদ্ধ! মেয়েটির মূল উদ্দেশ্য কাশীর প্রতিষ্ঠিত ভেষগাচার্যদের বেইজ্জত করা! তাই তাঁরা মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায় আজ তর্কযুদ্ধের স্হলে উপস্হিত হয়েছেন! হটীর পরাজয় দেখতে! (চলবে)
প্রথমে স্হির হয়েছিল তর্কসভার আয়োজন হবে দুর্গাবাড়ীতে! পরে স্হান পরিবর্তন হ'লো বিপুল জনসমাগমের আশঙ্কায়! আলোচনা হবে বিশুদ্ধ সংস্কৃতে , সকলের বোধগম্যও হবে না! তাতে কি হয়েছে! কৌতুহল অন্য কারনে! তর্কসভার একদিকে কাশীর পাঁচজম নব্য পন্ডিত অন্যদিকে প্রতিপক্ষ এক যুবতী! অবিশ্বাস্য! কাশীর অতিবৃদ্ধ নাগরিকেরাও মনে করতে পারলেন না- স্মরনাতীতকালে কোন তর্কসভায় কোন স্ত্রীলোক প্রতিযোগীরূপে আবির্ভুতা হয়েছিলেন কিনা!
তর্কসভার স্হান নির্দ্দিষ্ট হ'ল কুরুক্ষেত্রতলা-এর মুক্তমঞ্চ,এটি নাটোরের রাণী ভবানী নির্মান করান! নব্য পন্ডিতেরা দলে ভারী! তাই তাঁরা নিশ্চিত এক বালখিল্য যুবতীকে তর্কযুদ্ধে হেলায় পরাস্ত করবেন!
হটীর বিরুদ্ধে শুধু টুলো পন্ডিতরা নন ,সোচ্চার বারানসীর কিছু নামী কবিরাজও!যাঁরা কোন চতুস্পাঠী পরিচলনা করেন না! মানুষের রোগ ব্যাধিই যাঁদের উপার্জনের একমাত্র পথ! তাঁদের সন্মানে লেগেছে , এই অর্বাচীন যুবতী দাবী করেছে,কাশীধামের আগমনের পূর্বেই সে নাকি চরক, সুশ্রুত, নিদান আয়ত্ব করে এসেছে! মাত্র ২৫ বছর বয়সে সে কাশীধামে এসেছে! তার পুর্বে বঙ্গদেশে কে ওই মেয়েকে চরক, সুশ্রুত নিদান শিখিয়েছে? কি স্পর্ধা, সে আর্তরোগীর সেবা করতে চায়? কাশীর কবিরাজরা যার অন্তর্জলী যাত্রার নিদান হেঁকেছেন , তাদের সে দ্বায়িত্ব নিয়ে সুস্হ করে তোলার দাবী করছে! দু' একজনকে সুস্হ করে বাড়ী ফিরিয়েছে! দুর্বিনীতা শাস্ত্রও মানে না! অন্তর্জলী যাত্রা থেকে প্রত্যাবর্তন শাস্ত্র বিরূদ্ধ! মেয়েটির মূল উদ্দেশ্য কাশীর প্রতিষ্ঠিত ভেষগাচার্যদের বেইজ্জত করা! তাই তাঁরা মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায় আজ তর্কযুদ্ধের স্হলে উপস্হিত হয়েছেন! হটীর পরাজয় দেখতে! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours