ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
পাটলিপুত্রের কাছাকাছি এসে আঘাটায় খাঁড়ি পথে গাছগাছালির মধ্যে বজরাটাকে নোঙর করা হয়েছে ! পাঁচ দিন অতিক্রান্ত হলেও নোঙর তুলল না! বজরার সাথে যে ছোট ছোট ছিপ নৌকাগুলি আছে সেগুলি ক্রমাগত শহরের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং রসদও সংগ্রহ করা হচ্ছে! এই ক'দিন রুকমিনী বা রতনলাল কেউ আসেনি! হটী রক্ষীকে প্রশ্ন করে প্রথম দিন কোন উত্তর পায়নি ! দ্বিতীয় দিন তিরস্কৃত হয়েছে!
গোপন আস্তানায় বজরাটা নোঙর করার পরদিন ঘটনাচক্রে হটী সর্দারকে দেখতে পেল! দশাসই পেশীবহুল দৈত্যাকার চেহারা! মাথায় লালশালুর ফেট্টি!একমুখ গোঁফদাাড়ি! একটা চটের ব্যাগ থেকে একটা পায়রা বের করে তার পায়ে একটা চিঠি বেঁধে উড়িয়ে দিল!তারপর একটা বিরাট শঙ্খ ব্যাগ থেকে বের করে আকাশের দিকে মুখ করে জোরে বাজালো! শঙ্খধ্বনী আর প্রতিধ্বনীতে চারদিক কেঁপে উঠলো!
হটী বিস্মিত! এর তাৎপর্য কি? সে শুনেছে পায়রাকে পূর্বে রাজা মহারাজরা চিঠি আদান প্রদানের জন্য ব্যবহার করতেন! বিশেষ করে রানী বা প্রেয়সীর কাছে প্রশিক্ষিত কবুতর মারফৎ চিঠি পাঠাতেন! কিন্তু দস্যু সর্দার কোন প্রেয়সীর কাছে সংবাদ পাঠালো? সে তো বিপত্নীক! তার 'রাখেল ' নিত্য তার অঙ্কশায়িনী! তাহলে কোন অজানা অলকাপুরীতে তার বিরহিনী যক্ষিনীর কাছে বার্তা পাঠালো?
কয়েক দিন ধরে রুকমিনী বা রতনলাল তার কাছে আসেনি! সারারাত বিছানায় বিনিদ্র রাত কাটে হটীর! তৃতীয় দিন এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখল হটী! সর্দার বজরার ছাদে! তার ঊর্ধাঙ্গ নিরাভরন! আকাশের দিকে মুখ তুলে ডাক দিল " আ- আ-আ.." ডাক পেয়ে মেঘের অন্তরাল থেকে নেমে এলো সেই পায়রাটি! সর্দার তাকে লুফে নিয়ে চুম্বন করে চলে গেল তার একান্ত কক্ষে!
হটী দেখল,তারপরই কেমন নিস্তব্ধতা নেমে এলো বজরায়! ছোট নৌকাগুলি একে একে ফিরে এলো! বজরায় অনেক লোক কিন্তু সূচ পড়ার নিস্তব্ধতা...কোন কোলাহল নেই, সকলে কথা বলছে নীচু স্বরে! এক অজানা আশঙ্কায় সকলে উৎকন্ঠিত! কোন এক ভয়াবহ দুঃসংবাদ যেন বজরাকে ভারী করে তুলেছে! (চলবে)
পাটলিপুত্রের কাছাকাছি এসে আঘাটায় খাঁড়ি পথে গাছগাছালির মধ্যে বজরাটাকে নোঙর করা হয়েছে ! পাঁচ দিন অতিক্রান্ত হলেও নোঙর তুলল না! বজরার সাথে যে ছোট ছোট ছিপ নৌকাগুলি আছে সেগুলি ক্রমাগত শহরের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং রসদও সংগ্রহ করা হচ্ছে! এই ক'দিন রুকমিনী বা রতনলাল কেউ আসেনি! হটী রক্ষীকে প্রশ্ন করে প্রথম দিন কোন উত্তর পায়নি ! দ্বিতীয় দিন তিরস্কৃত হয়েছে!
গোপন আস্তানায় বজরাটা নোঙর করার পরদিন ঘটনাচক্রে হটী সর্দারকে দেখতে পেল! দশাসই পেশীবহুল দৈত্যাকার চেহারা! মাথায় লালশালুর ফেট্টি!একমুখ গোঁফদাাড়ি! একটা চটের ব্যাগ থেকে একটা পায়রা বের করে তার পায়ে একটা চিঠি বেঁধে উড়িয়ে দিল!তারপর একটা বিরাট শঙ্খ ব্যাগ থেকে বের করে আকাশের দিকে মুখ করে জোরে বাজালো! শঙ্খধ্বনী আর প্রতিধ্বনীতে চারদিক কেঁপে উঠলো!
হটী বিস্মিত! এর তাৎপর্য কি? সে শুনেছে পায়রাকে পূর্বে রাজা মহারাজরা চিঠি আদান প্রদানের জন্য ব্যবহার করতেন! বিশেষ করে রানী বা প্রেয়সীর কাছে প্রশিক্ষিত কবুতর মারফৎ চিঠি পাঠাতেন! কিন্তু দস্যু সর্দার কোন প্রেয়সীর কাছে সংবাদ পাঠালো? সে তো বিপত্নীক! তার 'রাখেল ' নিত্য তার অঙ্কশায়িনী! তাহলে কোন অজানা অলকাপুরীতে তার বিরহিনী যক্ষিনীর কাছে বার্তা পাঠালো?
কয়েক দিন ধরে রুকমিনী বা রতনলাল তার কাছে আসেনি! সারারাত বিছানায় বিনিদ্র রাত কাটে হটীর! তৃতীয় দিন এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখল হটী! সর্দার বজরার ছাদে! তার ঊর্ধাঙ্গ নিরাভরন! আকাশের দিকে মুখ তুলে ডাক দিল " আ- আ-আ.." ডাক পেয়ে মেঘের অন্তরাল থেকে নেমে এলো সেই পায়রাটি! সর্দার তাকে লুফে নিয়ে চুম্বন করে চলে গেল তার একান্ত কক্ষে!
হটী দেখল,তারপরই কেমন নিস্তব্ধতা নেমে এলো বজরায়! ছোট নৌকাগুলি একে একে ফিরে এলো! বজরায় অনেক লোক কিন্তু সূচ পড়ার নিস্তব্ধতা...কোন কোলাহল নেই, সকলে কথা বলছে নীচু স্বরে! এক অজানা আশঙ্কায় সকলে উৎকন্ঠিত! কোন এক ভয়াবহ দুঃসংবাদ যেন বজরাকে ভারী করে তুলেছে! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours