দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

বন দপ্তরের বিনা অনুমতিতে গাছ কাটানোর অভিযোগ নলহাটি-২ বিডিওর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে রামপুরহাট (তুম্বুনি) রেঞ্জারের নির্দেশে এলাকায় ছুটে যান লক্ষ্মীনারায়ণপুর গার্ড সেখ বুধু। 

জানা গেছে,  নলহাটি- ২ ব্লকের মহেশপুর থেকে  মোস্তফা ডাঙ্গা মণিপুর হয়ে যে ক্যানেলটি  আছে, তার সংস্কারের কাজ চলছিল। সেচবিভাগের দপ্তর থেকে ক্যানেল পাড় সংস্কারের জন্য নলহাটি-১,২ এবং মুরারই ২ ব্লকের ক্যানেল সংস্কারের জন্য অনুরোধ জানানো হয় বিডিওকে। মূলতঃ ভদ্রপুর ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কয়থা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্যানেল সংস্কারের কাজের জন্য গাছগুলো কাটার অনুরোধ আসে। কিন্তু গাছ কাটার পর এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
মণিপুরের এলাকাবাসী দেবনাথ কোনাই বলেন, আমরা দেখেছি স্বনির্ভর গোষ্ঠির মহিলারা ছেলে মানুষ করে গাছগুলোকে বড় করেছে। আজ বিনা অনুমতিতে ইউক্যালিপ্টাস, সোনাঝুড়ি গাছগুলো কেটে নেওয়া হলো।  নলহাটি- ২ বিডিও হুমায়ুন চৌধূরী বলেন, কোন বে আইনী কাজ তিনি করেন নি। সেচ দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছেন তিনি। এই ব্যাপারে ২১ তারিখ সেচ দপ্তরের চিঠি পেয়ে ২২ জানুয়ারী সিউড়ি জেলা ডি এফ ওকে আবেদন মেল করি। তার কোন উত্তর পাই নি। গোটা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, ইউক্যালিপ্টাস গাছ কাটতে কোন  অনুমতি লাগে না।

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সোনাঝুড়ি গাছও কাটা হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, এলাকাবাসীকে গাছ কাটতে দিই নি, তাই একটা রাগ থাকতে পারে। হয়তো ওরাই কেটেছে। কিন্তু ইউ ক্যালিপ্টাস সেটাও তো গাছ। তার উত্তর হিসেবে তিনি একই কথা বলেন। তবে মেল করলেও, বন দপ্তরের লিখিত অনুমতি যে তিনি পান নি, তা জানান।

অন্যদিকে, রামপুরহাট (তুম্বুনি) রেঞ্জার অফিসার সুশেন কর্মকার বলেন, আমি একশ শতাংশ নিশ্চিতভাবে বলছি, বিডিও সাহেব  বিনা অনুমতিতে গাছ কাটিয়েছেন। কোন আবেদন করলেই, অনুমতি নেওয়া হয় না। অনুমতি পত্র উনি দেখাতে পারবেন না। আর কোথায় কোং আইনে আছে যে ইউক্যালিপ্টাস গাছ কাটতে অনুমতি লাগে না? গাছ, গাছ। সেটা যে গাছই হোক। উনি ফেঁসে গিয়ে উল্টোপাল্টা বলছেন।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours