ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
তিনটি আমন্ত্রন এসেছিল হটীর কাছে ! তিনটিই সে প্রত্যাখ্যান করেছিল! প্রথমটি গ্রামের জমিদার তারাপ্রসন্ন ভাদুড়ীর নিকট থেকে তাঁর বাড়ীতে আশ্রয়ের জন্য ! কিন্তু চরম অভিমানে সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল! তবে হটীর তারাসুন্দরী জ্যেঠিমার কাছে প্রত্যহ যায় গল্প করে,আর শোনে বেশী, তার মনটা ভাল রাখার জন্য!
দ্বিতীয় আমন্ত্রনটি এসেছিল অপ্রতাশিতভাবে প্রান্তিক গ্রামের এক জমিদার বাড়ী থেকে চিঠি মারফৎ!পত্রলেখিকা তুলসী!
' মামনী ,আমাকে তোর মনে আছে?আমি তোর মাসি!আমি এ গ্রামের জমিদার মজুমদার পরিবারের ছোট বউ! তোদের সব খবর পেয়েছি বাবার কাছে!তোর সব কথা জেনেছে আমার শ্বশুরবাড়ীর মানুষজন! তুই আমার কাছে চলে আয়! তোকে এঁরা মাথায় করে রাখবেন!কথা দিয়েছেন! আর আমার বুকটাও জুড়াবে! পত্রবাহক মারফৎ জানিয়ে দিবি কবে আসবি ! আমি তোকে আনতে লোক পাঠাবো! ইতি- তোমার মাসী তুলসী
পত্রবাহক মারফৎ হটী জানিয়েছিল -
প্রিয়, মাসীমনি, তোমাকে কি ভুলতে পারি?আমি মাকে চোখে দেখিনি! তুমিই তো আমার প্রকৃত মা! তোমার কোলে ফিরে যেতে পারলে আমার সব জ্বালা জুড়িয়ে যেত! কিন্ত বাবার অসমাপ্ত কাজ আমাকে সম্পুর্ন করতে এই সোঁয়াই গ্রামেই থাকতে হবে!বাবার কাছে শুনে ছিলাম আমার ভাই বা বোন তোমার গর্ভে আসবে তখন প্রসবের জন্য তুমি সোঁয়াই গ্রামে আসবে বাবার কাছে!আজ বাবা নেই কিন্তু তোমার মামনি তো আছে! এতদিনে সেও এক ক্ষুদে কবিরাজ হয়ে উঠেছে! সে সোঁয়াই গ্রামের তেইশজন প্রসূতির কোলে সুস্হ সন্তান তুলে দিতে পেরেছে! তুমি সে সময় যদি আসতে না পারো, আমাকে খবর পাঠিও আমি নিজেই চলে যাবো! প্রনাম নিও -
ইতি - তোমার মামনি!
তৃতীয় আমন্ত্রনটি এসেছিল ত্রিবেনীর স্বনামধন্য পন্ডিত পঞ্চানন ঠাকুরের নিকট খেকে! প্রিয় ছাত্রের অকালপ্রয়ানে তার অনাথ কন্যাটিকে আশ্রয় দিতে চেয়ে ছিলেন!তাঁকে শতরোটি প্রনাম জানিয়ে অভিমানিনী দৃঢ়তার সাথে আমন্ত্রন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিল,সে স্বগ্রামে থেকেই পিতার অসমাপ্ত কাজটি করে যাবে! হিন্দু -মুসলমান নির্বিশেষে সকলের চিকিৎসা করবে! আর আর্থিক সঙ্গতি কিছুটা বৃদ্ধি পেলে সে 'ব্রজসুন্দরী মহিলা বিদ্যালয় টি ' পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করবে ! (চলবে)
তিনটি আমন্ত্রন এসেছিল হটীর কাছে ! তিনটিই সে প্রত্যাখ্যান করেছিল! প্রথমটি গ্রামের জমিদার তারাপ্রসন্ন ভাদুড়ীর নিকট থেকে তাঁর বাড়ীতে আশ্রয়ের জন্য ! কিন্তু চরম অভিমানে সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল! তবে হটীর তারাসুন্দরী জ্যেঠিমার কাছে প্রত্যহ যায় গল্প করে,আর শোনে বেশী, তার মনটা ভাল রাখার জন্য!
দ্বিতীয় আমন্ত্রনটি এসেছিল অপ্রতাশিতভাবে প্রান্তিক গ্রামের এক জমিদার বাড়ী থেকে চিঠি মারফৎ!পত্রলেখিকা তুলসী!
' মামনী ,আমাকে তোর মনে আছে?আমি তোর মাসি!আমি এ গ্রামের জমিদার মজুমদার পরিবারের ছোট বউ! তোদের সব খবর পেয়েছি বাবার কাছে!তোর সব কথা জেনেছে আমার শ্বশুরবাড়ীর মানুষজন! তুই আমার কাছে চলে আয়! তোকে এঁরা মাথায় করে রাখবেন!কথা দিয়েছেন! আর আমার বুকটাও জুড়াবে! পত্রবাহক মারফৎ জানিয়ে দিবি কবে আসবি ! আমি তোকে আনতে লোক পাঠাবো! ইতি- তোমার মাসী তুলসী
পত্রবাহক মারফৎ হটী জানিয়েছিল -
প্রিয়, মাসীমনি, তোমাকে কি ভুলতে পারি?আমি মাকে চোখে দেখিনি! তুমিই তো আমার প্রকৃত মা! তোমার কোলে ফিরে যেতে পারলে আমার সব জ্বালা জুড়িয়ে যেত! কিন্ত বাবার অসমাপ্ত কাজ আমাকে সম্পুর্ন করতে এই সোঁয়াই গ্রামেই থাকতে হবে!বাবার কাছে শুনে ছিলাম আমার ভাই বা বোন তোমার গর্ভে আসবে তখন প্রসবের জন্য তুমি সোঁয়াই গ্রামে আসবে বাবার কাছে!আজ বাবা নেই কিন্তু তোমার মামনি তো আছে! এতদিনে সেও এক ক্ষুদে কবিরাজ হয়ে উঠেছে! সে সোঁয়াই গ্রামের তেইশজন প্রসূতির কোলে সুস্হ সন্তান তুলে দিতে পেরেছে! তুমি সে সময় যদি আসতে না পারো, আমাকে খবর পাঠিও আমি নিজেই চলে যাবো! প্রনাম নিও -
ইতি - তোমার মামনি!
তৃতীয় আমন্ত্রনটি এসেছিল ত্রিবেনীর স্বনামধন্য পন্ডিত পঞ্চানন ঠাকুরের নিকট খেকে! প্রিয় ছাত্রের অকালপ্রয়ানে তার অনাথ কন্যাটিকে আশ্রয় দিতে চেয়ে ছিলেন!তাঁকে শতরোটি প্রনাম জানিয়ে অভিমানিনী দৃঢ়তার সাথে আমন্ত্রন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিল,সে স্বগ্রামে থেকেই পিতার অসমাপ্ত কাজটি করে যাবে! হিন্দু -মুসলমান নির্বিশেষে সকলের চিকিৎসা করবে! আর আর্থিক সঙ্গতি কিছুটা বৃদ্ধি পেলে সে 'ব্রজসুন্দরী মহিলা বিদ্যালয় টি ' পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করবে ! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours