দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
বিশ্বভারতীতে আরেক ফরমান! ২০০৭ সালের এক বিজ্ঞপ্তিকে উল্লেখ করে বিশ্বভারতীর সমস্ত স্টাফ, টিচিং, ননটিচিংকে নির্দেশ দেওয়া হল, কেউ যেন সরাসরি মিডিয়ার কাছে মুখ না খোলেন। এমনিতেই নতুন উপাচার্য আসার পর একের পর এক ফরমান জারি করছেন। সেই চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মী বা শিক্ষকেরা মুখ খোলেন না মিডিয়ার কাছে। এর জন্য জনসংযোগ আধিকারিক আছেন, যিনি হয় ফোন ধরেন না, না হলে মুখ খোলেন না। এবার এই নির্দেশ জারি করে মিডিয়ার সাথে যোগসূত্র ছিন্ন করতে চাইছে বিশ্বভারতী। এক কথায় এই ফরমান “মিডিয়াকে টাইট” দিতেই বলেই মনে করছেন ছাত্র ছাত্রী থেকে অধ্যাপকেরা। আগেও মিডিয়া প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা, কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তা গোপন করা যে হয় নি, তা নয়। নতুন উপাচার্যের এই নির্দেশ কি কণ্ঠ রুদ্ধ করতে চাইছে, বা বিশ্ববিদ্যালয়কে “অমাবস্যার কারা” বা অচলয়াতনে পরিণত করতে চাইছে? - প্রশ্ন উঠছে আশ্রমের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশে।
এই নির্দেশে বলা হয়েছে, তাদের কোন বক্তব্য, থাকলে এবং সেটা মিডিয়াকে জানাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন সংযোগ আধিকারিকের মাধ্যমে জানাবেন। কারণ তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র। বক্তব্যে বলা হয়েছে, জন সমক্ষে প্রচারের আলোকে আসতে বা নিজের গুরুত্ব বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বা কর্মী মিডিয়ার কাছে মুখ খোলেন, সেটা এবার থেকে বন্ধ। বিশ্বভারতী কোন প্রচার চায় না। তাদের কোন ক্ষোভ থাকলে তা সরাসরি কর্মসচিব বা উপাচার্যকে জানাতে পারেন। ১৯৬৪ সালের সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস রুলস অনুযায়ী একমাত্র জন সংযোগ আধিকারিক ছাড়া বিশ্বভারতীর কোন কর্মী অনুমতি না নিয়ে প্রেস পার্সোনেল, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতে পারবে না। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, এই নির্দেশ বিশ্বভারতীর অ্যাক্ট ও স্ট্যাটুটসের পরিপন্থী। এখানে উল্লেখিত সিসিএস নিয়মাবলী কেবলমাত্র সরাসরি সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বয়ংশাসিত সংস্থা কোনভাবেই তা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগু হতে পারেনা, যা অক্টোবর ২০১৮ তে তদানিন্তন মানবসম্পদ উন্নয়ণ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকার পরিষ্কার জানিয়েছিলেন।
বিশ্বভারতীতে আরেক ফরমান! ২০০৭ সালের এক বিজ্ঞপ্তিকে উল্লেখ করে বিশ্বভারতীর সমস্ত স্টাফ, টিচিং, ননটিচিংকে নির্দেশ দেওয়া হল, কেউ যেন সরাসরি মিডিয়ার কাছে মুখ না খোলেন। এমনিতেই নতুন উপাচার্য আসার পর একের পর এক ফরমান জারি করছেন। সেই চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মী বা শিক্ষকেরা মুখ খোলেন না মিডিয়ার কাছে। এর জন্য জনসংযোগ আধিকারিক আছেন, যিনি হয় ফোন ধরেন না, না হলে মুখ খোলেন না। এবার এই নির্দেশ জারি করে মিডিয়ার সাথে যোগসূত্র ছিন্ন করতে চাইছে বিশ্বভারতী। এক কথায় এই ফরমান “মিডিয়াকে টাইট” দিতেই বলেই মনে করছেন ছাত্র ছাত্রী থেকে অধ্যাপকেরা। আগেও মিডিয়া প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা, কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তা গোপন করা যে হয় নি, তা নয়। নতুন উপাচার্যের এই নির্দেশ কি কণ্ঠ রুদ্ধ করতে চাইছে, বা বিশ্ববিদ্যালয়কে “অমাবস্যার কারা” বা অচলয়াতনে পরিণত করতে চাইছে? - প্রশ্ন উঠছে আশ্রমের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশে।
এই নির্দেশে বলা হয়েছে, তাদের কোন বক্তব্য, থাকলে এবং সেটা মিডিয়াকে জানাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন সংযোগ আধিকারিকের মাধ্যমে জানাবেন। কারণ তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র। বক্তব্যে বলা হয়েছে, জন সমক্ষে প্রচারের আলোকে আসতে বা নিজের গুরুত্ব বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বা কর্মী মিডিয়ার কাছে মুখ খোলেন, সেটা এবার থেকে বন্ধ। বিশ্বভারতী কোন প্রচার চায় না। তাদের কোন ক্ষোভ থাকলে তা সরাসরি কর্মসচিব বা উপাচার্যকে জানাতে পারেন। ১৯৬৪ সালের সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস রুলস অনুযায়ী একমাত্র জন সংযোগ আধিকারিক ছাড়া বিশ্বভারতীর কোন কর্মী অনুমতি না নিয়ে প্রেস পার্সোনেল, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতে পারবে না। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, এই নির্দেশ বিশ্বভারতীর অ্যাক্ট ও স্ট্যাটুটসের পরিপন্থী। এখানে উল্লেখিত সিসিএস নিয়মাবলী কেবলমাত্র সরাসরি সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বয়ংশাসিত সংস্থা কোনভাবেই তা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগু হতে পারেনা, যা অক্টোবর ২০১৮ তে তদানিন্তন মানবসম্পদ উন্নয়ণ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকার পরিষ্কার জানিয়েছিলেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours