শ্বেতা ঘোষ, ফিচার রাইটার, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা:
কিন্ত ঘটনার প্রকৃত চিত্রপট আর গুঞ্জন-গসিপ অনেকটাই পৃথক বাস্তবের নিরিখে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একটি বাইক আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির আরোহীর আসনে বসেছিলেন স্থানীয় শহরের বাসিন্দা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক জীবন চট্টোপাধ্যায়। বাইক চালক অক্ষত থাকলেও গাড়ি চালক তৎক্ষণাৎ দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটিকে চালিয়ে সামান্য দূরে রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গা দেখে পার্কিং করতে যান। সেই মতো গাড়ি চালক নিরঞ্জন পাল খানিকটা এগোতে গেলে ঘাবড়ে গিয়ে গাড়ি মুখোমুখি ধাক্কা লাগিয়ে ফেলেন একটি টোটো ও স্কুটির সঙ্গে। এই ঘটনায় জখম হন স্কুটির দুই আরোহী।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেই সময়ে গাড়ি ছেড়ে আচমকা দুর্ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যান গাড়ি চালক। চিকিৎসকও সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে স্কুটির আহত দুই আরোহীকে দেখতে যান। ইতিমধ্যে এই পথ দুর্ঘটনার জেরে এলাকার একাংশ মানুষ ভিড় জমান সেখানে। হঠাৎ কোনও কিছু বোঝার আগেই উত্তেজিত জনতা গাড়ি চালককে হাতের সামনে না পেয়ে চিকিৎসকের উপর চড়াও হন। যথেচ্ছ মারধর করা হয় জীবনবাবুকে। গাড়িটিও যথেষ্ট ভাঙচুর করেন উপস্থিত অনেকে।
ক্রমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জখম দুজনকে নিজের থেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করেন প্রহৃত চিকিৎসক। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ টোটোর মেরামতির ব্যয়ভার বহন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
চিকিৎসক জীবন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দুর্ঘটনা দুর্ভাগ্যের তবু আচমকা ঘটে যায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে। এই পথ দুর্ঘটনাটাও সেরকম। আমি মানবিক কারণে আহত দুইজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তবু আমাকে অযথা আক্রমন করা হল।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, যখন এই ঘটনা ঘটে তার কাছেই আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচমকা সব হতে দেখি। আজব এটাই, পালালেন গাড়ির চালক আর আক্রান্ত হলেন গাড়ি আরোহী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours