ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
তারাপ্রসন্ন হটীর বাড়ীতে এসে হটীর সাথে দেখা করে বললেন " মামনি কাল ভোর রাতে কাশী ধামের উদ্দ্যেশে একটা বজরা রওনা দিচ্ছে!এটাই শেষ সুযোগ, আমি তোকে আদেশ করছি মা, তুই কাশীধামে চলে যা!
হটী পাল্টা প্রশ্ন করে," আর তুমি?"
উত্তরে তারাপ্রসন্ন জানান, তিনি করে যাবেন কুলদেবী মা আনন্দময়ীর নিত্যসেবা আছে! হটীও বলে," জ্যেঠু, আমারও তো সোঁয়াই মায়ের নিত্য সেবা আছে!"
- মামনি, আজ তোকে এই অনুরোধ করতে এসেছি তার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য আছে! ব্রজসুন্দরী আজও জীবিতা! তিনি কাশী ধামের চৌষট্টি যোগিনী ঘাটে তাঁর বাড়ীতে শয্যাশায়নী অবস্হায় আছেন!- বললেন তারাপ্রসন্ন!
হটী কাশী যেতে রাজী হ'ল একটিই কারনে! ব্রজসুন্দরীকে সে কখনো চোখে দেখে নি! তার পিতৃদেবের নিকট এই মহিষসী নারীর অনেক গল্প শুনেছে!তিনিই সম্ভবতঃ সমস্ত বর্ধমানভুক্তির প্রথম সংস্কৃতভাষাজ্ঞানী পন্ডিতা!
হটী তারাপ্রসন্নকে বললেন," জ্যেঠু আমি কাশীধাম যাচ্ছি, আপনি বাবার এই পুঁথিগুলি আপনার নিকট গচ্ছিত রাখুন! যদি কখনো ফিরে আসি ফেরৎ নেবো!"
তারাপ্রসন্ন বললেন," কিন্তু তোর বিয়ের যৌতুক তো আমার কাছে গচ্ছিত আছে ! সেগুলির কি করব?"
হটী বলল," আপনার কাছেই থাক! যদি ফিরে না আসতে পারি তবে সৎকাজে ব্যয় করবেন! মন্বন্তর যতো ভয়াবহ হোক জন্মভুমির টানে, সাতপুরুষের ভিটের প্রতি আবেগে কিছু মানুষতো গ্রামে ফিরে আসবেই! হয়তো তখন স্বর্নের বিনিময়ে হাটে চাল পাওয়া যাবে! সেটাই হবে স্বর্ণালঙ্কারের সঠিক ব্যবহার (চলবে)
তারাপ্রসন্ন হটীর বাড়ীতে এসে হটীর সাথে দেখা করে বললেন " মামনি কাল ভোর রাতে কাশী ধামের উদ্দ্যেশে একটা বজরা রওনা দিচ্ছে!এটাই শেষ সুযোগ, আমি তোকে আদেশ করছি মা, তুই কাশীধামে চলে যা!
হটী পাল্টা প্রশ্ন করে," আর তুমি?"
উত্তরে তারাপ্রসন্ন জানান, তিনি করে যাবেন কুলদেবী মা আনন্দময়ীর নিত্যসেবা আছে! হটীও বলে," জ্যেঠু, আমারও তো সোঁয়াই মায়ের নিত্য সেবা আছে!"
- মামনি, আজ তোকে এই অনুরোধ করতে এসেছি তার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য আছে! ব্রজসুন্দরী আজও জীবিতা! তিনি কাশী ধামের চৌষট্টি যোগিনী ঘাটে তাঁর বাড়ীতে শয্যাশায়নী অবস্হায় আছেন!- বললেন তারাপ্রসন্ন!
হটী কাশী যেতে রাজী হ'ল একটিই কারনে! ব্রজসুন্দরীকে সে কখনো চোখে দেখে নি! তার পিতৃদেবের নিকট এই মহিষসী নারীর অনেক গল্প শুনেছে!তিনিই সম্ভবতঃ সমস্ত বর্ধমানভুক্তির প্রথম সংস্কৃতভাষাজ্ঞানী পন্ডিতা!
হটী তারাপ্রসন্নকে বললেন," জ্যেঠু আমি কাশীধাম যাচ্ছি, আপনি বাবার এই পুঁথিগুলি আপনার নিকট গচ্ছিত রাখুন! যদি কখনো ফিরে আসি ফেরৎ নেবো!"
তারাপ্রসন্ন বললেন," কিন্তু তোর বিয়ের যৌতুক তো আমার কাছে গচ্ছিত আছে ! সেগুলির কি করব?"
হটী বলল," আপনার কাছেই থাক! যদি ফিরে না আসতে পারি তবে সৎকাজে ব্যয় করবেন! মন্বন্তর যতো ভয়াবহ হোক জন্মভুমির টানে, সাতপুরুষের ভিটের প্রতি আবেগে কিছু মানুষতো গ্রামে ফিরে আসবেই! হয়তো তখন স্বর্নের বিনিময়ে হাটে চাল পাওয়া যাবে! সেটাই হবে স্বর্ণালঙ্কারের সঠিক ব্যবহার (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours