রিয়া ভট্টাচার্য, লেখিকা, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর:
আরো একবার.....
এভাবেই প্রতিবার মরতে থাকবো আমরা। ফেসবুক স্ট্যাটাস - মোমবাতি মিছিল আর রাজনৈতিক তরজায় শেষ হয়ে যাবে প্রতিবাদের ইতিহাস। পোড়া শরীর খুবলে খাবে শেয়াল - কুকুরে, সমাজ বিশ্লেষণ করবে পোশাকের স্বল্পতা - বয়ফ্রেন্ড ছিলো কিনা - ফেসবুক করত কিনা ইত্যাদি প্রভৃতি।
ঠিক যতদিন শেষ হবেনা পুরুষতন্ত্র, সমাজ পণ্য বানিয়ে বিক্রি করবে মেয়েদের, " মাল " নয় মানুষ ভাবতে শিখবেনা সমাজ ততদিন এসব চলতে থাকবে, আমরা মরতে থাকবো। " শরীরসর্বস্ব ভোগ্যপণ্য " নয়, মানুষ হিসাবে একবার ভেবেই দেখুন না মেয়েদের, খাটে তোলার ফ্যান্টাসি না করে কোলে মাথা রেখে দেখুন ; সত্যি বলছি ভালো থাকবেন, কমে যাবে নোংরামি। সমাজ বদলাতে হলে আগে নিজেকে বদলানো উচিত, নয়ত একদিন সত্যিই পৃথিবীতে আর একটি মেয়েও বাঁচবে না। কিকরে সেদিন বাঁচাবেন পুরুষতন্ত্র, তুলবেন কাকে খাটে!
" সব পুরুষ সমান নয়, পুরুষরাও অত্যাচারিত হয় " এসব তরজা অনেক হলো, আসুন না বদলানোর চেষ্টা করুন সমাজটাকে। বারবার আমরাই কেন মরবো? কেন শুধুমাত্র যোনির জন্য আমাদের খুবলে খাবে সভ্যতা! যদি এরপর কোনো মা পুরুষসন্তানের জন্ম দিতে না চান দায়ী করতে পারবেন তাঁকে! মেয়েদের টার্গেট করা বড্ড সোজা, তাদের অবমাননা বড্ড সহজ ; সমাজ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে তার পর্যদুস্ত ভাব। কিন্তু একবার ভাবুন তো, নারীহীন সমাজ টেকাতে পারবেন তো আপনারা!
ফেসবুকীয় তরজা নয়, পথে নামুন এবার। মোমবাতি নয় মশাল জ্বালান, রক্ষা করুন ভবিষ্যতের গর্ভিণীদের। ওরা বাঁচলে তবেই আপনারা জন্মাবেন, বাসে - ট্রেনে কনুই মারতে পারবেন - ফেসবুক - টুইটারে নোংরামি করতে পারবেন - তার চরিত্র নিয়ে তরজা করতে পারবেন - তাকে দেখে জিভ চাটতে পারবেন, সর্বোপরি ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারতে পারবেন।
আমি নারীবাদী নই, পুরুষদের আজও আমি বাবা - দাদা - ভাই - বন্ধু - স্বামী - প্রেমিকের বাইরে কিচ্ছু ভাবতে চাইনা। কিন্তু এই প্রতিটি ঘটনা আমায় ভাবতে বাধ্য করছে, ধীরে ধীরে কমে আসছে বিশ্বাস। আমরা বাঁচতে চাই, নিরাপদভাবে ঘুরে বেড়াতে চাই। আমরা চাই মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পেতে, বলুন দেবেন কি? নাকি অপেক্ষা করবেন পৃথিবী থেকে নারীসমাজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার! উত্তর আপনাদের হাতেই।
আরো একবার.....
এভাবেই প্রতিবার মরতে থাকবো আমরা। ফেসবুক স্ট্যাটাস - মোমবাতি মিছিল আর রাজনৈতিক তরজায় শেষ হয়ে যাবে প্রতিবাদের ইতিহাস। পোড়া শরীর খুবলে খাবে শেয়াল - কুকুরে, সমাজ বিশ্লেষণ করবে পোশাকের স্বল্পতা - বয়ফ্রেন্ড ছিলো কিনা - ফেসবুক করত কিনা ইত্যাদি প্রভৃতি।
ঠিক যতদিন শেষ হবেনা পুরুষতন্ত্র, সমাজ পণ্য বানিয়ে বিক্রি করবে মেয়েদের, " মাল " নয় মানুষ ভাবতে শিখবেনা সমাজ ততদিন এসব চলতে থাকবে, আমরা মরতে থাকবো। " শরীরসর্বস্ব ভোগ্যপণ্য " নয়, মানুষ হিসাবে একবার ভেবেই দেখুন না মেয়েদের, খাটে তোলার ফ্যান্টাসি না করে কোলে মাথা রেখে দেখুন ; সত্যি বলছি ভালো থাকবেন, কমে যাবে নোংরামি। সমাজ বদলাতে হলে আগে নিজেকে বদলানো উচিত, নয়ত একদিন সত্যিই পৃথিবীতে আর একটি মেয়েও বাঁচবে না। কিকরে সেদিন বাঁচাবেন পুরুষতন্ত্র, তুলবেন কাকে খাটে!
" সব পুরুষ সমান নয়, পুরুষরাও অত্যাচারিত হয় " এসব তরজা অনেক হলো, আসুন না বদলানোর চেষ্টা করুন সমাজটাকে। বারবার আমরাই কেন মরবো? কেন শুধুমাত্র যোনির জন্য আমাদের খুবলে খাবে সভ্যতা! যদি এরপর কোনো মা পুরুষসন্তানের জন্ম দিতে না চান দায়ী করতে পারবেন তাঁকে! মেয়েদের টার্গেট করা বড্ড সোজা, তাদের অবমাননা বড্ড সহজ ; সমাজ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে তার পর্যদুস্ত ভাব। কিন্তু একবার ভাবুন তো, নারীহীন সমাজ টেকাতে পারবেন তো আপনারা!
ফেসবুকীয় তরজা নয়, পথে নামুন এবার। মোমবাতি নয় মশাল জ্বালান, রক্ষা করুন ভবিষ্যতের গর্ভিণীদের। ওরা বাঁচলে তবেই আপনারা জন্মাবেন, বাসে - ট্রেনে কনুই মারতে পারবেন - ফেসবুক - টুইটারে নোংরামি করতে পারবেন - তার চরিত্র নিয়ে তরজা করতে পারবেন - তাকে দেখে জিভ চাটতে পারবেন, সর্বোপরি ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারতে পারবেন।
আমি নারীবাদী নই, পুরুষদের আজও আমি বাবা - দাদা - ভাই - বন্ধু - স্বামী - প্রেমিকের বাইরে কিচ্ছু ভাবতে চাইনা। কিন্তু এই প্রতিটি ঘটনা আমায় ভাবতে বাধ্য করছে, ধীরে ধীরে কমে আসছে বিশ্বাস। আমরা বাঁচতে চাই, নিরাপদভাবে ঘুরে বেড়াতে চাই। আমরা চাই মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পেতে, বলুন দেবেন কি? নাকি অপেক্ষা করবেন পৃথিবী থেকে নারীসমাজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার! উত্তর আপনাদের হাতেই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours