ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
গোপালকে দাওয়ায় শুইয়ে দেওয়ার পর রূপেন্দ্র তার চিকিৎসা শুরু করলেন! ক্ষত স্হানে মুখ দিয়ে রক্ত টেনে রাইরে ফেলতে থাকে! যতক্ষন না সমস্ত বিষ বেরিয়ে আসে! এতে কবিরাজের কোন বিপদের আশঙ্কা নেই, যদি না মুখগহ্বর , খাদ্যনালী বা পাকস্হলীতে কোন ক্ষত না থাকে!
কিছুক্ষন পর রূপেন্দ্র বলললেন," এ যাত্রায় গোপালের বিপদ কেটে গেছে! তোমরা যে যার বাড়ী ফিরে যাও! এখানে প্রহ্লাদ আর গোপালের মা যমুনা থাক! " হটীকে উদ্দেশ্য করে বললেন," এদের জন্যও দু মুঠো চাল নিস মা "
ডোম পাড়ার সবাই একে একে ফিরে যায়! শুধু প্রহ্লাদ আর যমুনা ছাড়া!
রূপেন্দ্র পাতকুয়ার জল নিয়ে যতবার মুখ ধুচ্ছেন জলের রং লাল ই থাকছে স্বচ্ছ হচ্ছে না! হঠাৎ তাঁর মাথাটা ঘুরে গেল! চমকে উঠলেন,তাঁর মুখে তো একটা ক্ষত আছে গত কালই একটা দাঁত তুলিয়ে ছেন! টলমল করতে করতে দাওয়ার দিকে এগিয়ে গেলেন! বাবাকে টলতে দেখে চালের হাঁড়িটা নামিয়ে দ্রুত বাবার বাহুমুলে ধরে উৎকন্ঠিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল," কি হয়েছে বাবা? শরীর খারাপ লাগছে? বালিশটা এনে দেবো? শোবে?...."
" না মা শয়ন নিষিদ্ধ এখন ...জীবন আর শোভাকে ডাকতে বল "
হটী চিৎকার করে প্রহ্লাদকে বললে" জীবনদা কে আর শোভাদিকে ডেকে আনো তাড়াতাড়ি "
রূপেন্দ্র ইশারায় কন্যাকে পাশে বসতে বলল!
বাবার কোল ঘেঁসে বসে জিজ্ঞাসা করল " বাবা কি হলো তোমার? দেখি নাড়ীটা"
হটী লক্ষ্য করল, রূপেন্দ্র নিজেই নিজের নাড়ী দেখছেন! উচ্চ রক্তচাপ! নাড়ী দেখা শেষ হতেই প্রবল ভাবাবেগে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন! হটী বিহ্বল হয়ে শুধালো," বাবা কি হয়েছে তোমার?"
আতঙ্কগ্রস্হ কন্যার মুখটি দুহাতে ধরে তার শুভ্র সিঁথিমূলে এঁকে দিলেন নিবিড় চুম্বন চিহ্ন!
(চলবে)
গোপালকে দাওয়ায় শুইয়ে দেওয়ার পর রূপেন্দ্র তার চিকিৎসা শুরু করলেন! ক্ষত স্হানে মুখ দিয়ে রক্ত টেনে রাইরে ফেলতে থাকে! যতক্ষন না সমস্ত বিষ বেরিয়ে আসে! এতে কবিরাজের কোন বিপদের আশঙ্কা নেই, যদি না মুখগহ্বর , খাদ্যনালী বা পাকস্হলীতে কোন ক্ষত না থাকে!
কিছুক্ষন পর রূপেন্দ্র বলললেন," এ যাত্রায় গোপালের বিপদ কেটে গেছে! তোমরা যে যার বাড়ী ফিরে যাও! এখানে প্রহ্লাদ আর গোপালের মা যমুনা থাক! " হটীকে উদ্দেশ্য করে বললেন," এদের জন্যও দু মুঠো চাল নিস মা "
ডোম পাড়ার সবাই একে একে ফিরে যায়! শুধু প্রহ্লাদ আর যমুনা ছাড়া!
রূপেন্দ্র পাতকুয়ার জল নিয়ে যতবার মুখ ধুচ্ছেন জলের রং লাল ই থাকছে স্বচ্ছ হচ্ছে না! হঠাৎ তাঁর মাথাটা ঘুরে গেল! চমকে উঠলেন,তাঁর মুখে তো একটা ক্ষত আছে গত কালই একটা দাঁত তুলিয়ে ছেন! টলমল করতে করতে দাওয়ার দিকে এগিয়ে গেলেন! বাবাকে টলতে দেখে চালের হাঁড়িটা নামিয়ে দ্রুত বাবার বাহুমুলে ধরে উৎকন্ঠিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল," কি হয়েছে বাবা? শরীর খারাপ লাগছে? বালিশটা এনে দেবো? শোবে?...."
" না মা শয়ন নিষিদ্ধ এখন ...জীবন আর শোভাকে ডাকতে বল "
হটী চিৎকার করে প্রহ্লাদকে বললে" জীবনদা কে আর শোভাদিকে ডেকে আনো তাড়াতাড়ি "
রূপেন্দ্র ইশারায় কন্যাকে পাশে বসতে বলল!
বাবার কোল ঘেঁসে বসে জিজ্ঞাসা করল " বাবা কি হলো তোমার? দেখি নাড়ীটা"
হটী লক্ষ্য করল, রূপেন্দ্র নিজেই নিজের নাড়ী দেখছেন! উচ্চ রক্তচাপ! নাড়ী দেখা শেষ হতেই প্রবল ভাবাবেগে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন! হটী বিহ্বল হয়ে শুধালো," বাবা কি হয়েছে তোমার?"
আতঙ্কগ্রস্হ কন্যার মুখটি দুহাতে ধরে তার শুভ্র সিঁথিমূলে এঁকে দিলেন নিবিড় চুম্বন চিহ্ন!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours