শুভ্রা গুপ্ত, ফিচার রাইটার ও আইনজীবী, বারাসাত, কলকাতা:
অগ্রাধিকার কথাটা শুনলেই সবার আগে মনে পড়ে পিছিয়ে পরা জাতিদের কথা। কেমন একটা পিছিয়ে পড়া গন্ধ লেগে আছে শব্দটির সাথে। এখন আপনারা ভাববেন আমি সেই বস্তাপচা কিছু একঘেয়ে কথার ঝাঁপি খুলে বসব বা জ্ঞানীজনদের নীতিকথা আওড়াবো। কারণ এই শব্দটির প্রতি আমার বিশেষ এক অনীহা কাজ করে। চলুন না সাধারণ মানুষ হিসেবে ভেবে দেখি অগ্রাধিকার আসলেই কোথায় প্রয়োগ করব।
এখন দেখা যাক অগ্রাধিকার শব্দের অর্থ কি! অগ্রাধিকার মানেই হল প্রাধান্য দেওয়া, পিছিয়ে পড়াকে এগিয়ে আনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো প্রাধান্য কিসের এবং পিছিয়ে পড়া কেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হওয়া স্বত্ত্বেও কিছু মানুষের এগিয়ে থাকা ও কিছু মানুষের পিছিয়ে থাকা আমাকে খুব অবাক করে। মানুষের মত স্বার্থান্বেষী জীব হয়তো প্রাণীকুলে আর দ্বিতীয় নেই। এই স্বার্থ বিভেদেই মানুষকে মানুষের থেকে আলাদা করেছে। সমাজ প্রধানরা নিজেদের মতো করে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগের পর যখন দেখে যে, তারা যাদেরকে পিসে ফেলে নিজেদের প্রধান করেছে, তাদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি হল, তারা প্রতিবাদী হলে তখনই স্বঘোষিত হয় " অগ্রাধিকার "। কিন্তু, প্রতিবাদের পর কেন! আগে থাকতে মানুষের মত করে ভাবতে পারলে তো আর এই পরিস্থিতিই থাকতো না। ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, চাকরী, বিভাজিত সামাজিক কাজ সর্বত্রই ভেবে দেখতে গেলে এই অতি প্রাধান্যের ফলেই প্রচুর বিভেদ সৃষ্টি করেছে।
দেখা যায় সমাজে কিছু পিছিয়ে পড়া জাতি ও নারীদের ক্ষেত্রেই আলাদা করে আইন তৈরি হয়। আইন প্রণয়নের পর দেখা যায় কখনও কখনও বীপরিত আচরণও পাওয়া যায়। তখন হয় সমস্যা। আমি কখনও একপেশে কথা বলব না কারণ সমাজে কেবল পুরুষরাই একাধারে খারাপ নন, মহিলারাও খারাপ হন। মোদ্দাকথা হল মানুষ তো আমরা, তাই যারা ভালো হওয়ার তারা ভালোই হয় আর যারা খারাপ তারা খারাপ। তখন আবারও প্রণয়ন হয় নতুন আইন।
আমি ভাবি, এই আইন আলাদা করে আসতোই না যদি আমরা মানুষ হয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করতাম।
এখনও সময় আছে আমরা শুরু করতে পারি নিজেদের ঘর থেকেই। প্রাধান্য পাওয়ার প্রথম অধিকার হল শিশুদের, তাদেরকে ভালোভাবে মানুষ করলে একটা ভালো ভবিষ্যত সমাজ পাবো আমরা। সুস্থ সুন্দর পরিবেশ তাদেরকে দিলে আসল অগ্রাধিকার শব্দটির প্রয়োগ করা হয়। এভাবেই সে বুঝে যাবে বাড়িতে গুরুজন, বাবা মা, ভাইবোন, বন্ধু বান্ধব, পাড়াতুতো সম্পর্ক ও সর্বোপরি জীবনসঙ্গীকে কিভাবে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশ সুস্থ রাখতে হবে।
আশাকরি বোঝাতে পারলাম। পাঠকের মতামত চাই।
অগ্রাধিকার কথাটা শুনলেই সবার আগে মনে পড়ে পিছিয়ে পরা জাতিদের কথা। কেমন একটা পিছিয়ে পড়া গন্ধ লেগে আছে শব্দটির সাথে। এখন আপনারা ভাববেন আমি সেই বস্তাপচা কিছু একঘেয়ে কথার ঝাঁপি খুলে বসব বা জ্ঞানীজনদের নীতিকথা আওড়াবো। কারণ এই শব্দটির প্রতি আমার বিশেষ এক অনীহা কাজ করে। চলুন না সাধারণ মানুষ হিসেবে ভেবে দেখি অগ্রাধিকার আসলেই কোথায় প্রয়োগ করব।
এখন দেখা যাক অগ্রাধিকার শব্দের অর্থ কি! অগ্রাধিকার মানেই হল প্রাধান্য দেওয়া, পিছিয়ে পড়াকে এগিয়ে আনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো প্রাধান্য কিসের এবং পিছিয়ে পড়া কেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হওয়া স্বত্ত্বেও কিছু মানুষের এগিয়ে থাকা ও কিছু মানুষের পিছিয়ে থাকা আমাকে খুব অবাক করে। মানুষের মত স্বার্থান্বেষী জীব হয়তো প্রাণীকুলে আর দ্বিতীয় নেই। এই স্বার্থ বিভেদেই মানুষকে মানুষের থেকে আলাদা করেছে। সমাজ প্রধানরা নিজেদের মতো করে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগের পর যখন দেখে যে, তারা যাদেরকে পিসে ফেলে নিজেদের প্রধান করেছে, তাদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি হল, তারা প্রতিবাদী হলে তখনই স্বঘোষিত হয় " অগ্রাধিকার "। কিন্তু, প্রতিবাদের পর কেন! আগে থাকতে মানুষের মত করে ভাবতে পারলে তো আর এই পরিস্থিতিই থাকতো না। ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, চাকরী, বিভাজিত সামাজিক কাজ সর্বত্রই ভেবে দেখতে গেলে এই অতি প্রাধান্যের ফলেই প্রচুর বিভেদ সৃষ্টি করেছে।
দেখা যায় সমাজে কিছু পিছিয়ে পড়া জাতি ও নারীদের ক্ষেত্রেই আলাদা করে আইন তৈরি হয়। আইন প্রণয়নের পর দেখা যায় কখনও কখনও বীপরিত আচরণও পাওয়া যায়। তখন হয় সমস্যা। আমি কখনও একপেশে কথা বলব না কারণ সমাজে কেবল পুরুষরাই একাধারে খারাপ নন, মহিলারাও খারাপ হন। মোদ্দাকথা হল মানুষ তো আমরা, তাই যারা ভালো হওয়ার তারা ভালোই হয় আর যারা খারাপ তারা খারাপ। তখন আবারও প্রণয়ন হয় নতুন আইন।
আমি ভাবি, এই আইন আলাদা করে আসতোই না যদি আমরা মানুষ হয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করতাম।
এখনও সময় আছে আমরা শুরু করতে পারি নিজেদের ঘর থেকেই। প্রাধান্য পাওয়ার প্রথম অধিকার হল শিশুদের, তাদেরকে ভালোভাবে মানুষ করলে একটা ভালো ভবিষ্যত সমাজ পাবো আমরা। সুস্থ সুন্দর পরিবেশ তাদেরকে দিলে আসল অগ্রাধিকার শব্দটির প্রয়োগ করা হয়। এভাবেই সে বুঝে যাবে বাড়িতে গুরুজন, বাবা মা, ভাইবোন, বন্ধু বান্ধব, পাড়াতুতো সম্পর্ক ও সর্বোপরি জীবনসঙ্গীকে কিভাবে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশ সুস্থ রাখতে হবে।
আশাকরি বোঝাতে পারলাম। পাঠকের মতামত চাই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours