শ্বেতা ঘোষ, ফিচার রাইটার, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা:

ঘরের বিছানায় গলার নলিকাটা অবস্থায় শুয়ে আছেন আমায় আশ্রয়দাত্রী ভদ্রমহিলা ও তাঁর কন্যা, কালচে রক্তের ছিটে ছড়িয়ে আছে দেওয়ালে - মেঝেতে। কড়িকাঠে শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন ভদ্রলোক৷ ঘাড়টা ভেঙে কাত হয়ে গেছে, চোখ বিস্ফারিত ; জিভটা বেরিয়ে এসেছে কিছুটা। ভদ্রলোক ও তাঁর পরিবারের পরনে তখনও সেই শীতপোশাকগুলি, এমনকি বাচ্চা মেয়েটির মাথার টুপিটি পর্যন্ত! সবচেয়ে বড় কথা ওঁদের মৃত্যু যে সদ্য হয়নি বোঝা যাচ্ছে, শরীর পচে গলে পড়ছে মাংস... পচা দুর্গন্ধে গুলিয়ে উঠছে শরীর।
এক অপার্থিব আর্তচিৎকার ঠিকরে বেরোল আমার গলা চিরে। উলটো দৌড় শুরু করলাম সদর দরজার দিকে। পায়ের কাছেই পড়েছিল ধুলোমাখা রেজিস্টারটা, তুলে নিয়ে দেখি তাতে লেখা শ্রী অমল মুখার্জি, শ্রীমতী অন্তরা মুখার্জি ও ইন্দ্রাণী মুখার্জী, শ্যামবাজার কলকাতা। তারিখ দেখে চমকে উঠলাম, তেসরা মে, উনিশশো আটানব্বই! অর্থাৎ আজ থেকে পুরো একুশ বছর আগে শেষ অতিথি এসেছিল এই গেস্টহাউজে। অমলবাবুর গোটা পরিবার কিভাবে মারা পড়ল জানিনা, তবে আমার মস্তিষ্ক আমায় সজাগ করল, পালাতে হবে!

আসছে #অশনিসংকেত, স্টল নং ১৯৮ তে, এই বইমেলায়।
প্রকাশনায় অক্ষর সংলাপ, প্রচ্ছদ:-- নচিকেতা মাহাতো।

প্রিবুকিং লিঙ্ক:-- https://boitoi.in/product/ashani-sangket/


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours