জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা: 

জ্ঞান যতসময় জনসত্বায়, সেই সত্বাকে উৎপাদন-বন্ঠন নীতিতে,যাকে আমরা আর্থসামাজিক প্রকৃয়াতে না বদলানো যাচ্ছে, ততসময় সেই জ্ঞান ক্রমবিকশিত হওয়ার সুযোগ হারিয়ে, নিশ্চিতভাবে
------  প্রস্তরিভূত হয়ে যাওয়ার কারন হয়ে দাঁড়াবে।
যতটুকু বুঝেছি, মার্ক্সের মুলতঃ  সব কাজের অভিমুখে এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে, জ্ঞানের নিরন্তরতাকে, পুঁজি কেন্দ্রীভবন থেকে রক্ষা করার প্রশ্নকে সামনে রেখেই
দর্শনের মানবিক রুপটিকে ক্রমাগত উদঘাটিত করার সংগ্রামকেই 'বৌদ্ধিক মুক্তি' হিসেবে বর্ণন করেছেন।
------ এই মুক্তিকেই রবীন্দ্রনাথ 'চিত্তমুক্তি'  হিসেবে বর্নন করেছেন। তিনি নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ' কবিতায় 'মরিচিকা' থেকে 'চিত্তের মুক্তির' প্রশ্নেই শিরা-উপসিরার প্রতিটি কর্মপ্রনালীকে ভেংগে দিয়েই নতুনের মুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
------- কার্লমার্ক্স রবীন্দ্রনাথের অনেক পূর্বেই, মুক্তির কার্য্য কারন সম্পর্কেকে আবিস্কার করতেই  বোঝালেন -------
 বিদ্যমান আর্থ-রাজনীতিকে ভেংগে দিয়ে সামাজিক সম্পর্কগুলির রুপান্তর প্রকৃয়া এবং রুপান্তরের সারথি হিসেবে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি থেকে  উদিয়মান শ্রেনীটিকে চিহ্নিত করেছেন এবং এই ভাবে জ্ঞানসত্বা বিকাশের সর্ত হিসেবে 'শ্রেনী সংগ্রামের তত্ব'কে হাজির করেছেন।
------ এইভাবে জ্ঞান সৃজন এবং বিকাশের সুত্র ধরে এগুতে গিয়েই, মার্ক্সকে পুজিগ্রন্থ (এক একটি বিপুলাকার তিন ভ্যলুমের) প্রকাশ করেছেন, মানবজাতীর পুরো ইতিহাসকে, বিজ্ঞানের অখন্ড বিকাশের সাথে যুক্ত করে জ্ঞান তত্ব যে নির্মান করেছেন
----   তেমনি ইতিহাসের অভমুখে উৎপাদন সম্পর্কে নিরন্তর বদলের সাথে, এক প্রান্তে বিভিন্ন শ্রেনী উত্থান ও সংঘাতের এবং বিলয়ের সাথে সাথে সমাজের রুপান্তর প্রকৃয়াক চিহ্নিত করলেন।

দর্শন তার সর্বোচ্চ শিখরকে খুজে পেলো
এই গবেষনার সুত্র ধরেই। এই আবিস্কারের
সুত্র ধরেই তিনি 'চিত্ত' নামক বস্তুটার organic রুপটিকে
চিহ্নত করে  ফেললেন। বস্তু  চরিত্র হিসবে 'মন' কে
হাত এবনং প্রকৃতির পারস্পরিকতায় নির্মিত এবনং ক্রমবিকশিত
রুপ হিসেবে দেখলেন। আমৃত্যু সহচর ফেড্রিক এঙ্গেলস,প্রকৃ্তিতে
দ্বান্দ্বিকতার  ভূমিকায়
----- বাদর থেকে মানুষ, আবিস্কাটিকে  সামনে রেখে, একপ্রান্তে পুজিবাদী ব্যবস্তথার প্রযুক্তিগত বিকাশকে পেছন দিকে এগয়ে নিয়ে প্রমান করে দিলেন বাদঢ়েরের  সামনের  দু'হাত চারপা'  থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রকৃয়াটাই শুরু হয়েছে উৎপাদন  প্রকৃয়া শুরু হওঃয়ার সাথে সাথে।  এইবভাবেহাতের ব্যবহার  থেকে সৃজন । সৃজন  মুখীনতা বিস্তারের সাথে চেতনা । এইবভাবে,জড় থেকে - পদার্তথ,রসায়ন এবনং শরীর বিদ্যা (ডারউইন) সংক্রান্ত তিন 'গতির' ভাঙ্গা- গড়া, সংযোজন এবনং বিয়োজনের মধ্য দিয়ে  প্রান এবনং শরীর  বিবর্তনের  এই ধারায়    যখন বাদর আসলো, খাদ্য আহারনের  প্রকৃয়া তেই  হাত পৃথক হোল।
-----  এখান থেকেই মার্ক্স  গতির  চতুর্তথরুপ হিসেবে  'মন' এবং  'মনের' সমাজবদ্দধ  রুপকে 'সামাজিক চেতনা 'সব শেষে বোজঝালেন, 'মন' এখন এই চার গতির দ্বন্দ্বের আবভ্যন্রীন এবং বাইরের ঘাত-প্রতিঘাতের প্রতিরুপ।
মজার  বিষয়  লক্ষনীয় সৃজনী যত সময়  না  এগুতে এগুতে যান্ত্রিক ব্যবহার পর্য্যন্ত  অর্থাৎ রাজনীতির  দিক দিয়ে  সামন্ততন্ত্র পর্য্যন্ত না পৌছেছে, ততদিন    শ্রেনী সংরামের দ্বান্দ্বিকতায় শাসক শ্রেণী এবনং শোষেকরা ভাবপ্রবাহের অবচেতনতাকে কাজে লাগিয়ে শারিরীক বলপ্রোয়োগেই,  উৎপাদন কাঠামোকে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাকখতে পারতো।
ইত্যাদির মধ্যেই উনবিংশ শতাব্দির মধ্যভাগে একজন জার্মান মনস্তত্ববিদের  আবির্বভাব ঘটলো, যার তত্বকে সারা ইউরোপে কারর্লমারর্ক্সের বিপরীত মেরুতে দাড় করানোর চেষ্টা  হোল।
এই সুত্রেই সমাজবিজ্ঞানী কিংবা  রাজনীতিকদের  দর্শনের আলোতে ইতিহাসকে  অধ্যয়নের   সাথে সাথে গনশিক্ষাতে ইতিহাসবোধ নির্মানে এবনং  ইতিহাস বোজঝনোটাকে  দর্শনের আলোতে দেকখার পরামর্শ দেবে  ইতিহাস  নিজেই।
-----দর্শনের  সরর্বোচ্চ শিখ র, - কার্ক্স পৌছেই জানা যাবে, কেন  দাঁস থেকে  দাঁসতন্ত্র, রাজ থেকে রাজতন্ত্রের কোন কিছুই  টিকে থাকতে হলে মানুষকে বোকা বানিয়েই টিকে  থাকতে হবে। ইতিহাস এবনং বিজ্ঞান চেতনাকে  বিকৃত করেই - কালে কালে শাসকরা শাসনের  অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। 

ইতিমদধ্যে  দর্শন তার সর্বোচ্চ শিখরে উঠে যাওয়া এবনং বিজ্ঞানতার অনুমান  ধর্মীতা   অতিক্রম করে এক অখন্ড সত্বার উঠে এসে ইতিহাসকে বিজ্ঞানের স্তথানে উঠিয়ে এনেছে তখন
----------  রাজতক্তকেও, ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়েও শাসক শ্রেনীটিকে এখন    জ্ঞানকে  সংকুচিত ও খন্ডিত   করতে  গবেশষনার প্রয়োজন হোল।
সেদিক  থেকে  'ম ন'কে বস্তুর  মর্য্যাদা  না দেওয়ার কাজে লাগানো হোল
ফ্রূয়েড তত্বকে। উনার জন্ম মার্ক্সের কমিউনষ্ট  মাই্যানিফেষ্টো লেখার ১০ বছর পরে ঃ 
 " Freud proposed that the human psyche could be divided into three parts: Id, ego and super-ego. Freud discussed this model in the 1920 essay Beyond the Pleasure Principle, and fully elaborated upon it in The Ego and the Id (1923), in which he developed it as an alternative to his previous topographic schema (i.e., conscious, unconscious and preconscious). The id is the completely unconscious, impulsive, childlike portion of the psyche that operates on the "pleasure principle" and is the source of basic impulses and drives; it seeks immediate pleasure and gratification.[156]" (Wiklypedia)   

এইবভাবেইতিহাসে  প্রথম বিপরীত  মেরু থেকে  মারর্ক্সের জ্ঞানত্বত্বের  উপ র আক্রমন শুরু হোল, মূলতঃ অতীতের  স্বতস্ফুর্ততার  ধারনা থেকেই । বোঝানো হোল 'মন' বলে কোন বস্তু নেই। ওঃটা মানুষের  অবচেতন প্রতিক্রিয়া।শরীরের রাগ,  ইগো  ইত্যাদি  অনুভূতির  ঘাত-প্রতিগঘাত।তিনি এই সুত্রে  যৌনতাকে ব্যক্তির চরিত্রানংকনে  গুরুত্ব দিলেন।

মার্ক্স  ইতিমদধ্যে   ইতিহইতিহাসকে  পেতে  মন, বিজ্ঞান এবং বিশেষতঃ  ফলিত বিজ্ঞানের আলোকে অবচেতনতা    থেকে  সচেতনতা
-----  অন্যপ্রান্তে  অর্তথনীতির উৎপাদন এবং বন্ঠনের  সংঘাতের  সুত্রেও ইতিহাসকে শ্রেনী সংগ্রাম ইতিহাস  হিসেবে চিহ্নিত  ক রলেন।
----এইবভাবে,সামন্ততন্ত্র থেকে পুজিতন্ত্রে  উত্তোরনে রাজনৈ্তিক মঞ্চ হিসেবে জাতীয়তা ('মন'  ব্যতিরেখে অন্য তিন গতির একাত্মতায়  জ্ঞান  সত্বা)
------সেখান থেকে  তিনি সাম্যে কে  খুজে পেলেন। ,  অখন্ড জ্ঞানকে  পাওয়া গেলো 'চিত্ত মুক্তি'  হিসেবে।    কমিউনিষ্ট  মাই্যানিফেষ্টো তাকেই বোঝানো হোল, বৌদ্দধিকমুক্তি হিসেবে।  ইংরাজীতে বলা হোল, লিবারর্টি ফ্রম,ব্যুরজুইজ ইনটেলেক্টুয়াল স্লেবভারী।
এইভাবে,   অখন্ড  জ্ঞান  (মন সমেত), সাম্য, আন্তর্জাতীকতা, বৌদ্দধিক মুক্তি এবং  দুনিয়ার মজদুর এক হোক
----   একে অপরের পরিচিতিতে, একে অপরের সম্পর্কে একাত্ম  ।

লেনিন অক্টোবর বিপ্লবের  পর সমাজতন্ত্রন্ত্রকে 'পুজিতন্ত্র এবং'  সাম্যের'
অন্তবরর্তী  'সেতু'  হিসেবে   সমাজতন্ত্রকে চিহ্নিত   করলেন।  আন্তরর্জাতীকতাকে  তিনি  চিহ্নিত  করলেন
------  জাতীয়তার   সরর্বোচ্চরুপ। এই রুপ  একদিন বিশ্বকে সাম্যের রাজনীতির  পথে এগিয়ে   দেবে।

'চিন'  তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে - 
সমাজতন্ত্রের  দেশ  হিসেবে, বিপ্লবের
পর সমাজতন্ত্রে পৌছুতে অন্য একটি  সেতু নিরর্মান  করা হোল। তার নামো  দেওয়া হোল ,   প্রজাতন্ত্র । কিন্তু বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্র থেকে তফাৎ দুটি। প্রথমতঃ এই প্রজাতন্ত্রের অভিমুখ  আন্তর্জাতীকতা। সেটা  যেহেতু  জাতীয়য়তার 
সরর্বোচ্চ  ধাপ এবং অর্থনীতির উপরে শ্রমিক রাজনীতির নিয়ন্ত্রন। সেখানে প্রাইভেট অর্থনীতি ব্যপকভাবে থাকলেও,
-------  রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি থাকবে নিয়ন্ত্রক।
ভারতে সি পি আই এন কর্মসূচীর দিক থেকে পৃথক। ভারতের সাম্যবাদীরা যেহেতু ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্টে স্বাধীনতা হয়েছে বলে স্বিকার করে --
এদেশের বিপ্লবে যেহেতু, শ্রমিক শ্রেনী প্রধান ভূমিকা নেবে, সেজন্যে - এই কর্মসূচীতে
------ প্রজাতন্ত্রের রুপ হিসেবে, 'জনগনতান্ত্রিক' বিপ্লব বলে মানা হয়েছে।

ইতিমধ্যে মার্ক্সবাদে  তিন মন্ত্রের  উল্লেখ করা হয়েছে।
----- দুনিয়াস্র মজদূর এক হোক
----- আন্তর্জাতীকতা জাতীয়তার চালিকা এবং সর্বোচ্চ রুপ।
----- ইনকিলাব - জিন্দাবাদ। (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours