উত্তীয় ভট্টাচার্য, লেখক, কৃষ্ণনগর, নদিয়া:
ইতিহাসের পাতার অন্যতম বিখ্যাত চরিত্র নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । প্রবল-পরাক্রমী ব্যক্তি । যুদ্ধে দক্ষতা ও বুদ্ধি প্রশ্নাতীত । তবে নেপোলিয়নের খ্যাতি, শৌর্য ও তাঁর উচ্চতা নিয়ে প্রচলিত নানা কাহিনীর আড়ালে চাপা পড়ে গেছে আরো একটি মজার উপাখ্যান...
1821 সালে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নেপোলিয়ান মারা যান। তারপরই হয় জব্বর কান্ড । নেপোলিয়ানের চিকিৎসক মৃতদেহের অটোপসি করার জন্যে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সহ নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটিও কেটে নেন । এবং সেই বীভৎস ঘটনাটি নাকি ঘটে নেপোলিয়ানের সতেরোজন অনুগামীর সামনেই।
চিকিৎসকটির নাম ফ্রান্সিসকো অটোম্মারচি। অটোম্মারচি এরপর সেই কাটা যৌনাঙ্গটি প্রধান পুরোহিত ভিগনালিকে দিয়ে দেন । কি খচ্চর মাইরি!
ভিগনালি সেটাকে নিজের পরিবারের কাছে রেখে দেয় । পরে যৌনাঙ্গটিকে ভিগনালি কর্সিকায় নিয়ে আসেন । এর পরপরই রহস্যজনকভাবে খুন হয়ে যান ভিগনালি । প্রায় একশো বছর পর 1924 সাল নাগাদ জানা যায় যে লন্ডনের এক বইবিক্রেতা এ. রোজেনবাচের কাছে নেপোলিয়ানের পেনিসটি আছে । কিভাবে সেটা রোজেনবাচের কাছে পৌঁছয়, সেটা জানা যায় না । রোজেনবাচের ক্যাটালগে পেনিসটির বর্ণনায় লেখা ছিলো, “ আ মমিফায়েড টেন্ডন ”।
টনি পেরোট্টেট, যিনি “ Napoleon’s Privates: 2,500 Years of History Unzipped ” বইটি লিখে গেছেন, তিনি দাবী করেছেন যে সেই সময়ে ফরাসি সরকার সুযোগ পেয়েও নেপোলিয়ানের পেনিসটি কিনে নেয়নি । এর ফলস্বরূপ পেনিসটি পাবলিক রেলিক হিসেবে থেকে যায়।
1927 সালে নিউ ইয়র্কের “ মিউজিয়াম অফ ফ্রেঞ্চ আর্ট ”-এর প্রদর্শনীতে অন্যান্য আরো অনেক সামগ্রীর সাথে নেপোলিয়ানের পেনিসটিও রাখা হয় । বহু লোকে এসে দেখে যান সেটা।
এরপর আরো নানা হাত, নানা দেশ ঘুরে অবশেষে ফ্রান্সে আসেন ছোটো নেপোলিয়ান । 1977 সালে প্যারিসের এক নিলাম থেকে আমেরিকান ইউরোলজিস্ট জন লাটিমার নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটি তিনহাজার ডলারে কিনে নেন । তারপর থেকে নেপোলিয়ানের পেনিস লাটিমার পরিবারেই রয়েছে । জন লাটিমার নাকি নেপোলিয়ানের পেনিসটি বিছানার তলায় সুটকেসে রাখতেন এবং কাউকে দেখাতেন না সেটি।
বর্তমান মালিক লাটিমারের মেয়ে এলভিস পেনিসটিকে ঐতিহাসিক সামগ্রী মনে করেন এবং সেই জন্য আজ পর্যন্ত মাত্র দশজনকে নাকি নেপোলিয়ানের পেনিসটি দেখিয়েছেন । তার মধ্যে একজন পেরোট্টেটও। পেরোট্টেট যৌনাঙ্গটি দেখে বলেন যে নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটি নাকি একটা বাচ্চার আঙুলের আকারের।
2014 সালে চ্যানেল ফোর নেপোলিয়ানের পেনিসের ওপর একটা ডকুমেন্টারি বানায় । পেনিসের ওপর নানা রকম পরীক্ষা করে তারা জানায় যে নেপোলিয়ানের পেনিসটি “ভেরি স্মল ”, খুবই ছোটো । তারা এ-ও জানায় যে নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গের পূর্ণ দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় ইঞ্চি । স্বাভাবিক বা গড়ের চেয়ে যা অনেকটাই কম।
আজও নিউ জার্সিতে এলভিস লাটিমারের বাড়িতে ভেলভেটে মোড়া বক্সে কাপড় জড়ানো নেপোলিয়ানের পেনিসটি আছে । পেনিসটি বেচার জন্য বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব পেলেও বেচেননি তিনি।
এক সংস্থা হিসেব করে দেখিয়েছে যে বাজারে নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটির যা দাম, সেই দামে যদি এলভিস পেনিসটি বিক্রি করে দেন, তাহলে ফেসবুক , অ্যাপেল এমনকি গুগলের মূল্যের চেয়েও বেশি লাভদায়ক ডিল হবে সেটা । এতোটাই কদর নেপোলিয়ানের পেনিসের।
নেটে বা ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে নেপোলিয়ানের পেনিস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য । মজার মজার তথ্য নিয়ে প্রচুর আর্টিকল ও ভিডিও ছড়িয়ে আছে।
নেপোলিয়ানের পেনিসের কাহিনীটি যে কতোটা চিত্তাকর্ষক, তা এলভিস লাটিমারের একটি উক্তিতেই জানা যাবে:
“ স্বয়ং নেপোলিয়ানও ততো দেশ ঘোরেননি, যতো দেশ এই লিটল নেপোলিয়ান ঘুরেছে। "
তাহলে এবার নেপোলিয়ন নামটি মাথায় এলে আগে কী ভাববেন? তাঁর বীরত্ব, প্রতিপত্তি নাকি তাঁর যৌনাঙ্গের ভ্রমণকাহিনী?
ইতিহাসের পাতার অন্যতম বিখ্যাত চরিত্র নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । প্রবল-পরাক্রমী ব্যক্তি । যুদ্ধে দক্ষতা ও বুদ্ধি প্রশ্নাতীত । তবে নেপোলিয়নের খ্যাতি, শৌর্য ও তাঁর উচ্চতা নিয়ে প্রচলিত নানা কাহিনীর আড়ালে চাপা পড়ে গেছে আরো একটি মজার উপাখ্যান...
1821 সালে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নেপোলিয়ান মারা যান। তারপরই হয় জব্বর কান্ড । নেপোলিয়ানের চিকিৎসক মৃতদেহের অটোপসি করার জন্যে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সহ নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটিও কেটে নেন । এবং সেই বীভৎস ঘটনাটি নাকি ঘটে নেপোলিয়ানের সতেরোজন অনুগামীর সামনেই।
চিকিৎসকটির নাম ফ্রান্সিসকো অটোম্মারচি। অটোম্মারচি এরপর সেই কাটা যৌনাঙ্গটি প্রধান পুরোহিত ভিগনালিকে দিয়ে দেন । কি খচ্চর মাইরি!
ভিগনালি সেটাকে নিজের পরিবারের কাছে রেখে দেয় । পরে যৌনাঙ্গটিকে ভিগনালি কর্সিকায় নিয়ে আসেন । এর পরপরই রহস্যজনকভাবে খুন হয়ে যান ভিগনালি । প্রায় একশো বছর পর 1924 সাল নাগাদ জানা যায় যে লন্ডনের এক বইবিক্রেতা এ. রোজেনবাচের কাছে নেপোলিয়ানের পেনিসটি আছে । কিভাবে সেটা রোজেনবাচের কাছে পৌঁছয়, সেটা জানা যায় না । রোজেনবাচের ক্যাটালগে পেনিসটির বর্ণনায় লেখা ছিলো, “ আ মমিফায়েড টেন্ডন ”।
টনি পেরোট্টেট, যিনি “ Napoleon’s Privates: 2,500 Years of History Unzipped ” বইটি লিখে গেছেন, তিনি দাবী করেছেন যে সেই সময়ে ফরাসি সরকার সুযোগ পেয়েও নেপোলিয়ানের পেনিসটি কিনে নেয়নি । এর ফলস্বরূপ পেনিসটি পাবলিক রেলিক হিসেবে থেকে যায়।
1927 সালে নিউ ইয়র্কের “ মিউজিয়াম অফ ফ্রেঞ্চ আর্ট ”-এর প্রদর্শনীতে অন্যান্য আরো অনেক সামগ্রীর সাথে নেপোলিয়ানের পেনিসটিও রাখা হয় । বহু লোকে এসে দেখে যান সেটা।
এরপর আরো নানা হাত, নানা দেশ ঘুরে অবশেষে ফ্রান্সে আসেন ছোটো নেপোলিয়ান । 1977 সালে প্যারিসের এক নিলাম থেকে আমেরিকান ইউরোলজিস্ট জন লাটিমার নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটি তিনহাজার ডলারে কিনে নেন । তারপর থেকে নেপোলিয়ানের পেনিস লাটিমার পরিবারেই রয়েছে । জন লাটিমার নাকি নেপোলিয়ানের পেনিসটি বিছানার তলায় সুটকেসে রাখতেন এবং কাউকে দেখাতেন না সেটি।
বর্তমান মালিক লাটিমারের মেয়ে এলভিস পেনিসটিকে ঐতিহাসিক সামগ্রী মনে করেন এবং সেই জন্য আজ পর্যন্ত মাত্র দশজনকে নাকি নেপোলিয়ানের পেনিসটি দেখিয়েছেন । তার মধ্যে একজন পেরোট্টেটও। পেরোট্টেট যৌনাঙ্গটি দেখে বলেন যে নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটি নাকি একটা বাচ্চার আঙুলের আকারের।
2014 সালে চ্যানেল ফোর নেপোলিয়ানের পেনিসের ওপর একটা ডকুমেন্টারি বানায় । পেনিসের ওপর নানা রকম পরীক্ষা করে তারা জানায় যে নেপোলিয়ানের পেনিসটি “ভেরি স্মল ”, খুবই ছোটো । তারা এ-ও জানায় যে নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গের পূর্ণ দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় ইঞ্চি । স্বাভাবিক বা গড়ের চেয়ে যা অনেকটাই কম।
আজও নিউ জার্সিতে এলভিস লাটিমারের বাড়িতে ভেলভেটে মোড়া বক্সে কাপড় জড়ানো নেপোলিয়ানের পেনিসটি আছে । পেনিসটি বেচার জন্য বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব পেলেও বেচেননি তিনি।
এক সংস্থা হিসেব করে দেখিয়েছে যে বাজারে নেপোলিয়ানের যৌনাঙ্গটির যা দাম, সেই দামে যদি এলভিস পেনিসটি বিক্রি করে দেন, তাহলে ফেসবুক , অ্যাপেল এমনকি গুগলের মূল্যের চেয়েও বেশি লাভদায়ক ডিল হবে সেটা । এতোটাই কদর নেপোলিয়ানের পেনিসের।
নেটে বা ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে নেপোলিয়ানের পেনিস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য । মজার মজার তথ্য নিয়ে প্রচুর আর্টিকল ও ভিডিও ছড়িয়ে আছে।
নেপোলিয়ানের পেনিসের কাহিনীটি যে কতোটা চিত্তাকর্ষক, তা এলভিস লাটিমারের একটি উক্তিতেই জানা যাবে:
“ স্বয়ং নেপোলিয়ানও ততো দেশ ঘোরেননি, যতো দেশ এই লিটল নেপোলিয়ান ঘুরেছে। "
তাহলে এবার নেপোলিয়ন নামটি মাথায় এলে আগে কী ভাববেন? তাঁর বীরত্ব, প্রতিপত্তি নাকি তাঁর যৌনাঙ্গের ভ্রমণকাহিনী?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours